বিয়ের ১০ বছর পর একইসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম দিলেন পলিরানী

- আপডেট সময় : ২৭ বার পড়া হয়েছে
প্রতিটি শিশুর জন্মের মুহূর্তটি আনন্দঘন। তবে সেখানেও মিশে থাকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কারণ শিশু পৃথিবীতে না আসা পর্যন্ত মা ও শিশু উভয়ে থাকেন ঝুঁকিতে। আর সন্তান ধারণের পর থেকে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করেন একজন মা। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবার একইসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন পলিরানী সরকার নামের এক গৃহবধূ। এখন এই শিশুদের স্বাস্থ্যসেবায় দুশ্চিন্তায় এ পরিবারটি।
সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর জামুডাঙ্গা (সরকারপাড়া) গ্রামের তপন চন্দ্র সরকারের স্ত্রী পলিরানী সরকার একই সঙ্গে জন্ম দিয়েছেন ৩ সন্তান।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ১০ বছর আগে জামুডাঙ্গা (সরকারপাড়া) গ্রামের অনুকুল সরকারের মেয়ে পলিরানী সরকারকে বিয়ে করেন একই গ্রামের তপন চন্দ্র সরকার। সেই থেকে সন্তান সম্ভাব্য না হওয়ায় বিভিন্ন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় এই দম্পতি। এরই একপর্যায়ে পলিরানী গর্ভধারণ করেন। গত ২৮ জুন প্রসবের জন্য রংপুর নবজাতক, শিশু ও প্রসূতিসেবা হাসপাতালে পলিরানীকে ভর্তি করায় স্বজনরা। সেখানে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে একে-একে তিন শিশুর জন্ম হয়। এর মধ্যে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এ হাসপাতালে ১৮ দিন চিকিৎসাসেবার পর এখন নিজ বাড়িতে রয়েছে মা ও শিশুরা।
এদিকে, বিয়ের ১০ বছর পর একই সঙ্গে তিন শিশু জন্মের খবর পেয়ে একনজর দেখতে উৎসুক নারী-পুরুষের ঢল নামছে ওই বাড়িতে। আর প্রতিদিন তাদের খাওয়ানো হচ্ছে মিষ্টি।
শিশুদের দেখতে আসা পূর্ণিমা রানী সরকার বলেন, একইসঙ্গে তিন শিশু জন্মের খবর পেয়ে একনজর দেখতে এসেছি। দেখে অনেকটা ভালো লাগলো। আশির্বাদ করি মা ও শিশুরা যেনো সুস্থ থাকেন।
এ বিষয়ে তপন চন্দ্র সরকার বলেন, সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক প্রার্থনা করে একইসঙ্গে তিন সন্তান পেয়ে অনেকটা খুশি আমরা। তবে ইতোমধ্যে চিকিৎসাসেবায় প্রায় ৭ লাখের বেশি টাকা খরচ হয়েছে। এখন প্রায় নিঃশ্ব। শুধুমাত্র বুকে দুধপানে শিশুরা বেঁচে আছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে উপকৃত হতাম।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় বলেন, একইসঙ্গে তিন সন্তানের জন্মের খবর শুনে অনেকাটা ভালো লাগলো। খোঁজ নিয়ে মা ও শিশুর সহযোগীতার চেষ্টা করা হবে।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহিনুল ইসলাম মন্ডলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কিন্তু রিসিভ না করে একাধিকবার কল কেটে দিয়েছেন তিনি।