বিশৃঙ্খলা, অরজকতা বন্ধই হবে প্রধান কাজ : ড. ইউনূস

- আপডেট সময় : ০৪:০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪ ২০৫ বার পড়া হয়েছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানেরর দায়িত্ব নিতে দেশে ফিরে বিমান বন্দরে স্পষ্ট ভাষায়উচ্চারণরণ করেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করাই হবে তার প্রধান কাজ। সর্বধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে আহ্বান জানান ইউনূস। কারও ওপর যাতে হামলা না হয়, বার বার সেই আহ্বানও উচ্চারিত হয় ইউনূসের কণ্ঠে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, আমার ওপর আস্থা রাখুন। আমার কথা শুনতে হবে।
যদি আমার কথা না শোনেন তাহলে এখানে আমার কোন প্রয়োজন নেই। দমন-পীড়ণ নয়, নতুন সরকার মানুষকে রক্ষা করবে। বৃহস্পতিবার সোয়া ২টা নাগাদ ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছালে তিন বাহিনীর প্রধান, ছাত্র প্রতিনিধি, সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা তাকে অভিনন্দন জানান। কয়েক মিনিট বিশ্রাম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন, নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এ স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতেই হবে। প্রবল গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর যে বিশৃঙ্খলা, অরজকতা দেশে চলছে তা বন্ধেরও আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
তিনি বলেছেন, আপনারা যদি আমার ওপর আস্থা রাখেন, আমার ওপর ভরসা রাখেন, তাহলে দেশের কারো ওপর আর কোনো হামলা হবে না। আর আমার কথা যদি আপনারা না শোনেন, তাহলে আমার কোনো প্রয়োজন এখানে নাই। বিশৃঙ্খলা থেকে সহিংসতা থেকে দেশকে রক্ষা করুন। ছাত্ররা যে পথ দেথায়, সেই পথে যাতে আমরা এগিয়ে যেতে পারি। পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের কথা সরণ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ড. ইউনূস। কন্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, এই দেশ আমাদের সকলের। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সকল ধরণের সহায়তা করতে হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, যে তরুণ সমাজ এটাকে সম্ভব করেছে, তাদের প্রতি আমি আমার সমস্ত প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এরা এদেশকে রক্ষা করেছে। এ দেশকে পুনর্জন্ম দিয়েছে, এ পুনর্জন্ম যে বাংলাদেশ পেল, সে বাংলাদেশ যেন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলতে পারে, সেটাই আমাদের শপথ। সেটা আমরা রক্ষা করতে চাই, আমরা এগিয়ে যেতে চাই। বিমান বন্দরে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন।