বুড়িগঙ্গার জমিতে অবৈধ ডকইয়ার্ডসহ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি
- আপডেট সময় : ০৪:৪২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার ফুসফুস বুড়িগঙ্গার অবস্থা নাজুক। গর্বের এই নদীটিকে রীতিমত ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। নদীর দুই তীর সংকুচিত হয়ে আসছে। অনেক স্থানে ভরাট করে নানা রকমের স্থাপনা করা হয়েছে।
দিনে দিনে পরিস্থিতি উন্নতির চেয়ে অবণতি হয়েছে। আইন প্রণেতারাও বুড়িগঙ্গার দখলের স্বাদ নিতে ভুল করেনি। অবশ্য সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কিন্তু বুড়িগঙ্গার তীরে নদীর জমি বেদখল নিয়ে গড়ে তোলা ডকইয়ার্ডসহ সব ধরনের স্থাপনা রয়ে গেছে। এর মধ্যে জাহাজ নির্মাণ ও তৈরি কাজ এলাকা ছাড়াও নদীর মারাত্মক দূষণ ঘটাচ্ছে।
এ অবস্থায় এসব অবৈধ স্থাপনা অভিলম্বে উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (ন্যাশনাল কমিটি টু প্রোটেক্ট শিপিং, রোডস এ্যান্ড রেলওয়েজ-এনসিপিএসআরআর)।
রোববার (৩০ জুন) সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) প্রতি এই দাবি জানান।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের বরাত দিয়ে নাগরিক সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা খাল ও বুড়িগঙ্গা নদীর মধ্যবর্তী তীরের চর কালীগঞ্জের তেলঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ২৭টি ডকইয়ার্ড (নৌযান নির্মাণ ও মেরামত কারখানা) রয়েছে।
এসব ডকইয়ার্ড অবৈধভাবে নদীসীমার মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে। অথচ উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী, নদীর জায়গায় কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে জাতীয় কমিটি বলছে, বুড়িগঙ্গার সীমানা পিলারের মধ্যে ডকইয়ার্ডগুলো গড়ে ওঠায় নদীর সেখানকার বিপুল পরিমাণ কঠিন ও তরল বর্জ্য প্রতিনিয়ত নদীতে পড়ছে। এতে বুড়িগঙ্গার পানি মারাত্মক দূষিত হচ্ছে। এছাড়া পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে নদীর প্রশস্ততা কমছে।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, বুড়িগঙ্গার মতো সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ অনেক নদীর জায়গায় শত শত অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআইডব্লিউটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের এক শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারির উদাসীনতা, দায়িত্বে গাফিলতি ও অসততার কারণে নদ-নদীগুলো দখলমুক্ত হচ্ছে না বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।