বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, রুখতে পারেনি পুলিশ

- আপডেট সময় : ০৮:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪ ৩১৮ বার পড়া হয়েছে
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যে কোটা রয়েছে, সেটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। চেষ্টা করেও রুখতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে বিকাল ৫টা নাগাদ শাহবাগে গিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন আন্দোলনকারীরা।
তাদের একটি অংশ বাংলামোটরের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়। অন্যরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। পরে তারা শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় পর্যন্ত সড়ক ব্লক করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধে যোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তিতুমীর কলেজ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের গাড়ি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আজ চতুর্থ দিনের মতো সারা দেশে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হতে থাকেন। পরে সাড়ে ৪টার দিকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে তারা আন্দোলনের মূল পয়েন্ট শাহবাগের দিকে অগ্রসর হন।
আন্দোলনকারীদের বাধা দেওয়ার জন্য আগে থেকেই শাহবাগ থানার কাছে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নিয়েছিল পুলিশ। শিক্ষার্থীদের মিছিলের মুখে পুলিশ পরে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগসহ বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।
যানবাহন আটকে দেওয়ায় গত কয়েক দিনের মতো আজও বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হওয়া লোকজন ভোগান্তিতে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ক্যাম্পাসের চাঁনখারপুল মোড় ও ঢাকা মেডিক্যাল মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল ও অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত ও সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। স্লোগানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশাত্মবোধক গান, কবিতা পরিবেশন করতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের পূর্বে চার দফা দাবি ছিল। তবে সেটি এক দফায় দাঁড়িয়েছে। তাদের এক দফা দাবি হলো, সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যে কোটা রয়েছে, সেটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।