ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বেগুন খেতে মোজাইক ভাইরাস, দুশ্চিন্তায় কৃষক

মো. তারিফুল প্রধান, সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা)
  • আপডেট সময় : ৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিভৃত গ্রামের কৃষক জোবায়দুল ইসলাম। কৃষির ওপর নির্ভর করে চলে তার সংসার। চলতি মৌসুমে আবাদ করেছেন হাইব্রিড জাতের গোল বেগুন। এখান থেকে ৮ লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখেন তিনি। এরই মধ্যে মোজাইক নামের একটি ভাইরাস আক্রমণ করেছে তার বেগুন খেতে। এ কারণে মরে যাচ্ছে বেগুনগাছ। ঝরে পড়ছে ফুল, মরে যাচ্ছে গাছ। ক্ষতির শঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন এই কৃষক।সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মাঠে দেখা গেছে- বেগুন খেতের এমন চিত্র। এ সময় আক্রান্ত খেত বাঁচাতে বিভিন্ন কীটনাশক দিয়ে ফসল রক্ষার চেষ্টা করেছেন জোবায়দুল।
কৃষক জোবায়দুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করেই চলে তার সংসার। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে ৫০ শতক জমিতে মালতি, ভেনুচূড়া ও ৪২২ হাইব্রিড জাতের গোল বেগুন আবাদ করেন। নাটোর জেলা থেকে এই চারা সংগ্রহ করছিলেন। এতে দেখা দেয় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। ইতোমধ্যে ফসল সংগ্রহও শুরু করা হয়। এ ফসল বিক্রি করে প্রায় ৭ লাখের বেশি টাকা লাভের স্বপ্ন দেখেন। এরই মধ্যে অধিকাংশ বেগুন গাছ মোজাইক ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গাছের পাতাগুলো সবুজ থেকে হলদে বর্ণ ধারণের পর দেখা দিয়েছে গাছের মড়ক। পঁচন ধরে ঝরে পড়ছে সম্ভাব্য বেগুনগুলো। এতে করে ক্ষতির শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে প্রান্তিক কৃষক জোবায়দুলের।অন্য কৃষকরা বলছেন, বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করেন তারা। কিন্তু এ বছর বেগুন খেতে নানা রোগবালাই আক্রমণ করছে। এতে করে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জোবায়দুল ইসলাম জানান, তিনি ৫০ শতক জমিতে বেগুন আবাদ করেছেন। এখানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাভের দেখছিলেন। কিন্তু মোজাইক ভাইরাসের কারণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এ রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক প্রয়োগে কাজ হচ্ছে না বলে এ কৃষকের অভিযোগ।
সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইউনুছ আলী মণ্ডল বলেন, জোবায়দুলের বেগুনখেতে মোজাইক ভাইরাস লেগেছে। তারখেত পরিদর্শন করে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বেগুন খেতে মোজাইক ভাইরাস, দুশ্চিন্তায় কৃষক

আপডেট সময় :

নিভৃত গ্রামের কৃষক জোবায়দুল ইসলাম। কৃষির ওপর নির্ভর করে চলে তার সংসার। চলতি মৌসুমে আবাদ করেছেন হাইব্রিড জাতের গোল বেগুন। এখান থেকে ৮ লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখেন তিনি। এরই মধ্যে মোজাইক নামের একটি ভাইরাস আক্রমণ করেছে তার বেগুন খেতে। এ কারণে মরে যাচ্ছে বেগুনগাছ। ঝরে পড়ছে ফুল, মরে যাচ্ছে গাছ। ক্ষতির শঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন এই কৃষক।সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মাঠে দেখা গেছে- বেগুন খেতের এমন চিত্র। এ সময় আক্রান্ত খেত বাঁচাতে বিভিন্ন কীটনাশক দিয়ে ফসল রক্ষার চেষ্টা করেছেন জোবায়দুল।
কৃষক জোবায়দুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করেই চলে তার সংসার। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে ৫০ শতক জমিতে মালতি, ভেনুচূড়া ও ৪২২ হাইব্রিড জাতের গোল বেগুন আবাদ করেন। নাটোর জেলা থেকে এই চারা সংগ্রহ করছিলেন। এতে দেখা দেয় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। ইতোমধ্যে ফসল সংগ্রহও শুরু করা হয়। এ ফসল বিক্রি করে প্রায় ৭ লাখের বেশি টাকা লাভের স্বপ্ন দেখেন। এরই মধ্যে অধিকাংশ বেগুন গাছ মোজাইক ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গাছের পাতাগুলো সবুজ থেকে হলদে বর্ণ ধারণের পর দেখা দিয়েছে গাছের মড়ক। পঁচন ধরে ঝরে পড়ছে সম্ভাব্য বেগুনগুলো। এতে করে ক্ষতির শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে প্রান্তিক কৃষক জোবায়দুলের।অন্য কৃষকরা বলছেন, বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করেন তারা। কিন্তু এ বছর বেগুন খেতে নানা রোগবালাই আক্রমণ করছে। এতে করে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জোবায়দুল ইসলাম জানান, তিনি ৫০ শতক জমিতে বেগুন আবাদ করেছেন। এখানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাভের দেখছিলেন। কিন্তু মোজাইক ভাইরাসের কারণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এ রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক প্রয়োগে কাজ হচ্ছে না বলে এ কৃষকের অভিযোগ।
সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইউনুছ আলী মণ্ডল বলেন, জোবায়দুলের বেগুনখেতে মোজাইক ভাইরাস লেগেছে। তারখেত পরিদর্শন করে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।