ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

বৈরী হাতিয়ায় ১০ ট্রলারডুবি, ৫ ট্রলারসহ নিখোঁজ ৮ মাঝি

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৭২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঝড়ের কবলে পড়ে গতকাল শুক্রবার নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ১০টি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১৮ জন জেলেকে নদীতে থাকা মাছ ধরা ট্রলারের অন্য জেলেরা জীবিত উদ্ধার করেছে। এখনো পাঁচটি ট্রলারসহ আটজন মাঝি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাতিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মনিরজ্জামান।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে মেঘনা নদীর কয়েকটি এলাকায় এ সব ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিকেরা হলেন বাবর মাঝি, জান মিয়া, দেলোয়ার মাঝি, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মাঝি, মেহরাজ মাঝি ও ইউনুছ মাঝি। উদ্ধার হওয়া এবং নিখোঁজ জেলেদের নাম তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনে মাছ ধরার জন্য উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে গভীর সাগরে যায় বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার। সাগর উত্তাল থাকায় বিকেল থেকে মাছ ধরার ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরতে শুরু করে। ঘাটে ফেরার সময় ট্রলার গুলো বৈরী আবহাওয়ায় ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে

মেঘনা নদীর মোহনায় বিভিন্ন সময়ে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। পরে পাশে থাকা মাছ ধরার অন্য ট্রলারগুলো কিছু জেলেকে উদ্ধার করে। তবে জেলেদের মাছ ধরার জাল ট্রলারসহ নদীতে তলিয়ে যায়। এছাড়া মেঘনা নদীতে আরও কয়েকটি ট্রলার রয়েছে। সেগুলোর এখনও কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় দেলোয়ার মাঝি নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তাৎক্ষণিক কিছু জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও পাঁচটি ট্রলারসহ আটজন মাঝি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বৈরী হাতিয়ায় ১০ ট্রলারডুবি, ৫ ট্রলারসহ নিখোঁজ ৮ মাঝি

আপডেট সময় : ০২:০২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঝড়ের কবলে পড়ে গতকাল শুক্রবার নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ১০টি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১৮ জন জেলেকে নদীতে থাকা মাছ ধরা ট্রলারের অন্য জেলেরা জীবিত উদ্ধার করেছে। এখনো পাঁচটি ট্রলারসহ আটজন মাঝি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাতিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মনিরজ্জামান।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে মেঘনা নদীর কয়েকটি এলাকায় এ সব ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিকেরা হলেন বাবর মাঝি, জান মিয়া, দেলোয়ার মাঝি, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মাঝি, মেহরাজ মাঝি ও ইউনুছ মাঝি। উদ্ধার হওয়া এবং নিখোঁজ জেলেদের নাম তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনে মাছ ধরার জন্য উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে গভীর সাগরে যায় বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার। সাগর উত্তাল থাকায় বিকেল থেকে মাছ ধরার ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরতে শুরু করে। ঘাটে ফেরার সময় ট্রলার গুলো বৈরী আবহাওয়ায় ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে

মেঘনা নদীর মোহনায় বিভিন্ন সময়ে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। পরে পাশে থাকা মাছ ধরার অন্য ট্রলারগুলো কিছু জেলেকে উদ্ধার করে। তবে জেলেদের মাছ ধরার জাল ট্রলারসহ নদীতে তলিয়ে যায়। এছাড়া মেঘনা নদীতে আরও কয়েকটি ট্রলার রয়েছে। সেগুলোর এখনও কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় দেলোয়ার মাঝি নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তাৎক্ষণিক কিছু জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও পাঁচটি ট্রলারসহ আটজন মাঝি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।