ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলন :হত্যা মামলায় ভাণ্ডারিয়ায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:০৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় নিহত আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এন.আই.এইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ভাণ্ডারিয়া পৌরশহরের দক্ষিণ ভাণ্ডারিয়া মহল্লার বাসা থেকে পুলিশ ডেকে নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষককের পরিবারের দাবি তাকে হয়রাণিমূলক আসামী করা হয়েছে। ঘটনার দিন ৪ আগস্ট প্রধান শিক্ষক ভাণ্ডারিয়ায় নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এ মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যনপত্র রয়েছে।

জানাগেছে, গত ৪ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭ টায় ঢাকায় মিরপুর মডেল থানার অদুরে সড়কে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র জনতার মিছিলে অংশ নেয়া আশরাফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। নিহতের ভাই আমিনুল ইসলাম ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান ১৯৯জন নামীয় ও অজ্ঞাতনাম ২০০জনকে আসামী করা হয়। আদালত মিরপুর মডেল থানায় মামলাটি এজাহারভূক্ত কর্রা নির্দেশ দেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলাটি মিরপুর মডেল থানায় এজাহারভূক্ত। ওই মামলায় ভাণ্ডারিয়ার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুককে ৪০ নম্বর আসামী করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ফাতিমা খানমের বলেন, আমার শিক্ষক স্বামী ওমর ফারুক একজন নিরিহ মানুষ। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ভাণ্ডারিয়ায় ছিলেন। তিনি ঢাকায় যাননি। এছড়া তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগ এর তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন মাসুম এর সঙ্গে বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জেরে এডভোকেট মাছুম বিদ্যায়লয়ে সভাপতি না হতে পেরে তিনি ষড়যন্ত্র করে আমার শিক্ষক স্বামী ওমর ফারুককে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে। শুধু তাই নয় আমার স্বামীকে হয়রাণির জন্য আরও দুইটি মামলায় মিথ্যা আসামী করেছে। আমি সরকারের এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচারের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ আনওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকায় বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশরাফুল ইসলাম এর মিরপুর থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় শিক্ষক ওমর ফারুককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া-ভাণ্ডারিয়া সার্কেল) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারু কে মিরপুর মডেল থানার আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলার ৪০ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে। ওই মামালায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান আসামী। এছাড়া ওই মামলায় মোট ১৯৯ জন নামীয় এবং ১০০-২০০ অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তিকে আসামী রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলন :হত্যা মামলায় ভাণ্ডারিয়ায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০১:০৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় নিহত আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এন.আই.এইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ভাণ্ডারিয়া পৌরশহরের দক্ষিণ ভাণ্ডারিয়া মহল্লার বাসা থেকে পুলিশ ডেকে নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষককের পরিবারের দাবি তাকে হয়রাণিমূলক আসামী করা হয়েছে। ঘটনার দিন ৪ আগস্ট প্রধান শিক্ষক ভাণ্ডারিয়ায় নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এ মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যনপত্র রয়েছে।

জানাগেছে, গত ৪ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭ টায় ঢাকায় মিরপুর মডেল থানার অদুরে সড়কে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র জনতার মিছিলে অংশ নেয়া আশরাফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। নিহতের ভাই আমিনুল ইসলাম ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান ১৯৯জন নামীয় ও অজ্ঞাতনাম ২০০জনকে আসামী করা হয়। আদালত মিরপুর মডেল থানায় মামলাটি এজাহারভূক্ত কর্রা নির্দেশ দেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলাটি মিরপুর মডেল থানায় এজাহারভূক্ত। ওই মামলায় ভাণ্ডারিয়ার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুককে ৪০ নম্বর আসামী করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ফাতিমা খানমের বলেন, আমার শিক্ষক স্বামী ওমর ফারুক একজন নিরিহ মানুষ। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ভাণ্ডারিয়ায় ছিলেন। তিনি ঢাকায় যাননি। এছড়া তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগ এর তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন মাসুম এর সঙ্গে বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জেরে এডভোকেট মাছুম বিদ্যায়লয়ে সভাপতি না হতে পেরে তিনি ষড়যন্ত্র করে আমার শিক্ষক স্বামী ওমর ফারুককে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে। শুধু তাই নয় আমার স্বামীকে হয়রাণির জন্য আরও দুইটি মামলায় মিথ্যা আসামী করেছে। আমি সরকারের এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচারের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ আনওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকায় বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশরাফুল ইসলাম এর মিরপুর থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় শিক্ষক ওমর ফারুককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া-ভাণ্ডারিয়া সার্কেল) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারু কে মিরপুর মডেল থানার আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলার ৪০ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে। ওই মামালায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান আসামী। এছাড়া ওই মামলায় মোট ১৯৯ জন নামীয় এবং ১০০-২০০ অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তিকে আসামী রয়েছে।