ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নালিতাবাড়ীতে শিশুর গলায় লিচুর বিচি আটকে মৃত্যু  Logo নোহরগঞ্জে রাস্তা সংষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন Logo বান্দরবানে খেয়াং নারীর লাশ উদ্ধার,তদন্তে নেমেছে পুলিশ Logo কুড়িগ্রাম পৌর শহরে পানি ও জলাবন্ধাতা নিষ্কাশনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  Logo পাটকেলঘাটা কপোতাক্ষ নদের চর ভরাটের ১৫০ বিঘা জমি প্রভাবশালীদের দখলে Logo জামালপুরে বিচার বিভাগ কর্মচারিদের কর্ম বিরতি পালন Logo তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করতে বাগেরহাটে যুবদলের প্রস্তুতি সভা Logo সিংড়ায় কৃষকদের প্রযুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লাইট হাউজের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত Logo বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন Logo জামালপুরে ৩৫ বিজিবি বাঘারচর বিওপি ক্যাম্পের অভিযানে ১ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার মালামাল সহ আটক-১

ভান্ডারিয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করেছে চা বিক্রেতা

ভান্ডারিয়া(পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করেছে এক চা বিক্রেতা। সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-  ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২) হত্যাকান্ডের ঘটনার পর অভিযুক্ত মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছে। তবে কি কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি নিহতের স্বজন কিংবা স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান এর আগে ৩ বার বিয়ে করেছিল। সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করে সে। এরপর থেকেই সে স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা বেগম এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বাসবাস করত। সোমবার রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন ঘর থেকে পালিয়ে এক প্রতিবেশীকে জানায় যে, তার বাবা সৎ মা চম্পা এবং সৎ নানী অর্থাৎ চম্পার মাকে হত্যা করেছে। এ খবর বলে ছেলে আত্মগোপনে চলে যায় তার পরে তাকে আর এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত  তার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে চম্পার মামাতো বোন এবং প্রতিবেশী নাছিমা বেগমের ঘরের মধ্যে গিয়ে দুইজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ¦লছিল। তখন তিনি টয়লেটের পানি দিয়ে অগুন নিয়ন্ত্র করে এবং এলাকা বাসী  ও পুলিশ কে খবর দেন।  কি কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারেনি। হত্যা কান্ডঘটনার পর থেকে অবুঝ শিশু পুত্র ইয়াসিনকে কে পাওয়া যাচ্ছে না। অবুঝ সন্তানকে পাওয়া গেলে হয়ত হত্যার কোন রহস্য পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ, ডিবি পুলিশ এবং সিআইডি পুলিশের একধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছ। অভিযুক্ত হত্যাকারী মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান  ধাওয়া বাজারে একটি চায়ের দোকান আছে।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ আহমদ আনওয়ার জানায়  পারিবারিক কারণে এ হত্যা কান্ড হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারনা করা যাচ্ছে। তিনি ২০দিন আগে ৪র্থ বিবাহ করেন  এখানে অন্য কোন কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভান্ডারিয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করেছে চা বিক্রেতা

আপডেট সময় : ০২:৪৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করেছে এক চা বিক্রেতা। সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-  ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২) হত্যাকান্ডের ঘটনার পর অভিযুক্ত মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছে। তবে কি কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি নিহতের স্বজন কিংবা স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান এর আগে ৩ বার বিয়ে করেছিল। সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করে সে। এরপর থেকেই সে স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা বেগম এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বাসবাস করত। সোমবার রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন ঘর থেকে পালিয়ে এক প্রতিবেশীকে জানায় যে, তার বাবা সৎ মা চম্পা এবং সৎ নানী অর্থাৎ চম্পার মাকে হত্যা করেছে। এ খবর বলে ছেলে আত্মগোপনে চলে যায় তার পরে তাকে আর এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত  তার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে চম্পার মামাতো বোন এবং প্রতিবেশী নাছিমা বেগমের ঘরের মধ্যে গিয়ে দুইজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ¦লছিল। তখন তিনি টয়লেটের পানি দিয়ে অগুন নিয়ন্ত্র করে এবং এলাকা বাসী  ও পুলিশ কে খবর দেন।  কি কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারেনি। হত্যা কান্ডঘটনার পর থেকে অবুঝ শিশু পুত্র ইয়াসিনকে কে পাওয়া যাচ্ছে না। অবুঝ সন্তানকে পাওয়া গেলে হয়ত হত্যার কোন রহস্য পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ, ডিবি পুলিশ এবং সিআইডি পুলিশের একধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছ। অভিযুক্ত হত্যাকারী মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান  ধাওয়া বাজারে একটি চায়ের দোকান আছে।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ আহমদ আনওয়ার জানায়  পারিবারিক কারণে এ হত্যা কান্ড হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারনা করা যাচ্ছে। তিনি ২০দিন আগে ৪র্থ বিবাহ করেন  এখানে অন্য কোন কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।