ঢাকা ০৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের উচিত জুলাই ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ভারতীয় সংস্থা জুলাই বিপ্লবকে কিছু জঙ্গি, হিন্দুবিরোধী, এবং ইসলামপন্থিদের ক্ষমতা দখল হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করলেও তাদের অপপ্রচার ও উসকানি ব্যর্থ হচ্ছে

ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করে জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া। এটি দিয়েই শুরু করতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে নতুন বাংলাদেশের ভিত রচনা করা হলে তা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হবে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে একথা বলেন তিনি।

ভারত ও বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক বিষয়ে শিরোনামে ইংরেজিতে লেখা এই পোস্টে মাহফুজ আলম বলেন, ভারতের উচিত পোস্ট-৭৫ প্লেবুক পাল্টে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা। এটা ’৭৫-পরবর্তী পরিস্থিতি নয়।

জুলাই বিপ্লব ছিল একটি গণতান্ত্রিক, প্রজন্মভিত্তিক ও দায়িত্বশীল সংগ্রাম। আর এই সংগ্রাম চলবে দীর্ঘ সময় ধরে। বাংলাদেশি জনগণ আগের মতো নেই, তারা এখন ঐক্যবদ্ধ ও মর্যাদাবান। তারা মরার আগ পর্যন্ত তাদের মর্যাদার জন্য লড়াই করবে।

মাহফুজ বলেন, বাংলার এই অংশে ভারতপ্রেমী বা ভারতীয় মিত্ররা ভাবছে যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে এবং জুলাই বিপ্লব এবং ফ্যাসিবাদীদের নৃশংসতাকে এড়িয়ে গেলে তাদের কিছুই হবে না। এটা একটা ভুল ধারণা। মানুষ সব দেখছে!

ভারতীয় সংস্থা জুলাই বিপ্লবকে কিছু জঙ্গি, হিন্দুবিরোধী, এবং ইসলামপন্থিদের ক্ষমতা দখল হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করলেও তাদের অপপ্রচার ও উসকানি ব্যর্থ হচ্ছে।

এই উপদেষ্টা বলেন, দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা! ও স্বদেশ না শাহাদাত!’- এই স্লোগানগুলো বাংলাদেশকে একক অঙ্গে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এদেশের প্রতিটি কোণে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। আর ভারত যেন এই ঐক্যবদ্ধ, মর্যাদাবান ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে তার শত্রু না করে।

দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর বাংলাদেশের জনগণ বিনা বাধায় গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করছে। সত্য এসেছে, মিথ্যা ধ্বংস হবে। চিরকাল’

মাহফুজ আলম দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন,’৭১-এর পর রাষ্ট্র হিসেবে আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম, কিন্তু এবার নয়! আল্লাহ ভরসা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারতের উচিত জুলাই ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

আপডেট সময় : ১২:১৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

ভারতীয় সংস্থা জুলাই বিপ্লবকে কিছু জঙ্গি, হিন্দুবিরোধী, এবং ইসলামপন্থিদের ক্ষমতা দখল হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করলেও তাদের অপপ্রচার ও উসকানি ব্যর্থ হচ্ছে

ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করে জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া। এটি দিয়েই শুরু করতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে নতুন বাংলাদেশের ভিত রচনা করা হলে তা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হবে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে একথা বলেন তিনি।

ভারত ও বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক বিষয়ে শিরোনামে ইংরেজিতে লেখা এই পোস্টে মাহফুজ আলম বলেন, ভারতের উচিত পোস্ট-৭৫ প্লেবুক পাল্টে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা। এটা ’৭৫-পরবর্তী পরিস্থিতি নয়।

জুলাই বিপ্লব ছিল একটি গণতান্ত্রিক, প্রজন্মভিত্তিক ও দায়িত্বশীল সংগ্রাম। আর এই সংগ্রাম চলবে দীর্ঘ সময় ধরে। বাংলাদেশি জনগণ আগের মতো নেই, তারা এখন ঐক্যবদ্ধ ও মর্যাদাবান। তারা মরার আগ পর্যন্ত তাদের মর্যাদার জন্য লড়াই করবে।

মাহফুজ বলেন, বাংলার এই অংশে ভারতপ্রেমী বা ভারতীয় মিত্ররা ভাবছে যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে এবং জুলাই বিপ্লব এবং ফ্যাসিবাদীদের নৃশংসতাকে এড়িয়ে গেলে তাদের কিছুই হবে না। এটা একটা ভুল ধারণা। মানুষ সব দেখছে!

ভারতীয় সংস্থা জুলাই বিপ্লবকে কিছু জঙ্গি, হিন্দুবিরোধী, এবং ইসলামপন্থিদের ক্ষমতা দখল হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করলেও তাদের অপপ্রচার ও উসকানি ব্যর্থ হচ্ছে।

এই উপদেষ্টা বলেন, দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা! ও স্বদেশ না শাহাদাত!’- এই স্লোগানগুলো বাংলাদেশকে একক অঙ্গে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এদেশের প্রতিটি কোণে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। আর ভারত যেন এই ঐক্যবদ্ধ, মর্যাদাবান ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে তার শত্রু না করে।

দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর বাংলাদেশের জনগণ বিনা বাধায় গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করছে। সত্য এসেছে, মিথ্যা ধ্বংস হবে। চিরকাল’

মাহফুজ আলম দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন,’৭১-এর পর রাষ্ট্র হিসেবে আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম, কিন্তু এবার নয়! আল্লাহ ভরসা।