ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মোংলাকে শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা Logo ফুলপুর পৌরসভার নাগরিক ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময় সভা Logo ইসলামপুরে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভা Logo ভেদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান Logo ভালুকায় ৫ শতাধিক মানুষে চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ Logo মধুখালীতে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত Logo ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেয়ার প্রতিবাদে পঞ্চগড়ে জাগপার বিক্ষোভ Logo নিয়ামতপুরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা Logo কেশবপুরে সামাজিক বনায়নের উদ্দেশ্যে ব্র্যাকের গাছ বিতরণ Logo যায়যায়দিনের প্রকাশক সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ৭০৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’

রাত পোহালেই একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত বাঙালি জাতি। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে জাতি মঙ্গলবার অমর একুশে, ভাষা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে। মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপরই সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। লগ্ন পায়ে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে বাঙালি জাতি মহান ভাষা শহীদদের প্রতি অবনত মস্তকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে, ভাষা নিয়ে নানা কবিতার অংশ, স্লোগান এবং উক্তি। শহীদ মিনারের চারিদিক ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী। দূরদুরান্ত থেকে সপরিবারে অনেকেই ছুটে এসেছেন শহীদ মিনারে। তেমন একজন সৈয়দ আতিকুর রহমান। সপরিবারে সুদুর চট্টগ্রাম তেকে শহীদ মিনারে এসেছেন।

জানালেন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভাষা শহীদদের স্মরক শহীদ মিনারে দেখাতে নিয়ে এসেছেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুদা খাতুন জুঁই। চারুকলায় থাকা অবস্থায় শহীদ মিনারে আল্পনা থেকে শুরু করে দেওয়াল লিখনসহ নানা কাজে নিজের সম্পৃক্ততার কথা জানালেন। আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, এখানে কাজ করার আনন্দটাই আলাদা। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দুকে মাতৃভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকার ছাত্র ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে আসে।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ায় একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়। ১৯৫২ সালের মাতৃভাষার অধিকার আদায়ে অকাতরে প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন, বরকত, সালাম, রফিকসহ আরও অনেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি

আপডেট সময় :

 

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’

রাত পোহালেই একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত বাঙালি জাতি। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে জাতি মঙ্গলবার অমর একুশে, ভাষা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে। মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপরই সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। লগ্ন পায়ে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে বাঙালি জাতি মহান ভাষা শহীদদের প্রতি অবনত মস্তকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে, ভাষা নিয়ে নানা কবিতার অংশ, স্লোগান এবং উক্তি। শহীদ মিনারের চারিদিক ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী। দূরদুরান্ত থেকে সপরিবারে অনেকেই ছুটে এসেছেন শহীদ মিনারে। তেমন একজন সৈয়দ আতিকুর রহমান। সপরিবারে সুদুর চট্টগ্রাম তেকে শহীদ মিনারে এসেছেন।

জানালেন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভাষা শহীদদের স্মরক শহীদ মিনারে দেখাতে নিয়ে এসেছেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুদা খাতুন জুঁই। চারুকলায় থাকা অবস্থায় শহীদ মিনারে আল্পনা থেকে শুরু করে দেওয়াল লিখনসহ নানা কাজে নিজের সম্পৃক্ততার কথা জানালেন। আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, এখানে কাজ করার আনন্দটাই আলাদা। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দুকে মাতৃভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকার ছাত্র ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে আসে।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ায় একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়। ১৯৫২ সালের মাতৃভাষার অধিকার আদায়ে অকাতরে প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন, বরকত, সালাম, রফিকসহ আরও অনেকে।