ভূঞাপুরে থানা পুলিশ তৎপর, অপরাধীদের গায়ে জ্বর

- আপডেট সময় : ৫৩ বার পড়া হয়েছে
ভূঞাপুরে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় যমুনা নদীতে জলদস্যদের তান্ডব বন্ধ হয়েছে। সেই সাথে হ্রাস পেয়েছে চুরি-ডাকাতি-জুয়া-ছিনতাই-চাঁদাবাজি। পাশাপাশি সারাদেশ খ্যাত গোবিন্দাসী গরুর হাট ও ঘাট ঘিরে গড়ে ওঠা গরু চোর দলের সদস্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের গায়েও যেন জ¦র উঠেছে। পুলিশের এই অভাবনীয় সফলতার পিছনের রহস্য জানতে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দক্ষ ও অভিজ্ঞ সাহসী পুলিশ ইন্সপেক্টর এ.কে.এম রেজাউল করিম এর তীক্ষ বুদ্ধি, সেবার মনোভাব ও স্টাফদের মাঝে বিরাজমান বিশ্বাস-ভালোবাসা, পেশার প্রতি দ্বায়িত্বশীলতা আর জনগণের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কই এই অভাবনীয় সফলতা এনে দিয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহল বলাবলি করছেন।
টাঙ্গাইল জেলাল মধ্যে আয়তনের দিক দিয়ে বৃহত্তম থানা হিসেবে পরিচিত গোপালপুর থানার একটি অংশ ভাগ হয়ে ১৯৭৪ সনের ৭ আগস্ট ভূঞাপর থানা নামে আত্ম প্রকাশ করার পর ১৯৮৩ সনে এরশাদ শাসনামলে প্রথমে উন্নীত থানা ও পরে উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করা ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ২১৬.৩৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলায় ২ লাখ ১৭ হাজার ৩শ ২৭জন মানুষের নিরাপত্তায় ২জন চৌকস ইন্সপেক্টরসহ ভূঞাপুর থানায় কর্মরত রয়েছেন ৮ জন দক্ষ সাব-ইন্সপেক্টর (এস.আই), ১ জন নারীসহ সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর (এ.এস.আই) রয়েছেন ৮ জন এবং পুরুষ কনস্টোবল ২৯ জন এবং নারী কনস্টোবল ৫ জন। সেই সাথে গোবিন্দাসী গরুর হাট-ঘাট ও যমুনা নদীতে জলদস্যুদের তান্ডব প্রতিরোধে তৎপর ভূঞাপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে ১ জন আই.সিসহ কর্মরত রয়েছেন ২ জন সাব-ইন্সপেক্টর (এস.আই), ১ জন সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর (এ.এস.আই) ও মাত্র ৬ জন কনস্টোবল। যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য। কারণ ইতি পূর্বে যমুনা নদীতে জলদস্যুদের ধাওয়া করতে গিয়ে বুলেটবিদ্ধ হয়েছিলেন ভূঞাপুর থানার তৎকালিন অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন। এর ২২ বছর পর ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দু’পক্ষের মারামারি ঠেকাতে গিয়ে নিজেই রক্তাক্ত হয়েছিলেন ভূঞাপুর থানার তৎকালিন অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব। বালু ঘাট নামের সোনার খনির দখল নিয়ে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে নিজেই রক্তাক্ত হয়ে ভূঞাপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
সারাদেশ খ্যাত গরুর হাট ও ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা বালু ঘাটগুলোর বদৌলতে কাঁচা পয়সার গরমে ক্রাইম জোন হিসেবে চিহ্নিত গোবিন্দাসী হাট-ঘাট ও বালু ঘাট এলাকায় সংঘটিত নানা অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে লোমহর্ষক ঘটনাটি ছিল গোবিন্দাসী ঘাট থেকে নৌকা যোগে বাড়ি ফেরার পথে ৩ গামেন্টসকর্মী তরুণীকে তাদের বাবার সামনে পালাক্রমে ধর্ষণ। যা পুরো দেশবাসীর বিবেককে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। আর সেই ঘটনা মনে করে আজো শিউরে ওঠে ভূঞাপুরের চরাঞ্চলের মানুষ। মানুষরূপী হিংস্র দানবগুলোর বিষাক্ত থাবায় আর যেন কোন অসহায় নারীর আর্তচিৎকারে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত না হয় তার জন্য ভূঞাপুর থানা ও নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে জনবল বৃদ্ধিসহ ভূঞাপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়িকে একটি শক্তিশালী পুলিশ ঘাটিতে উন্নীত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ভূঞাপুরের সচেতন মহল।