ভেটেরিনারি হাসপাতালের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ কসাইখানা

- আপডেট সময় : ০২:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
মানিকগঞ্জ জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের নাকের ডগায় ( বিপরীত পাশেই) সরকারি আইন অমান্য করে লাইসেন্সবিহীন কসাইখানা/মাংসের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, অবৈধ, ধুলোবালিযুক্ত অনিরাপদ গরুর মাংস রমরমা বিক্রির বানিজ্য চলছে। জেলা প্রাণিসম্পদ সহ প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে সরকারি লাইসেন্সবিহীন অবৈধ কসাই পট্টির নামধারী সভাপতি আবুল কাসেমের নেতৃত্বে অনিরাপদ মাংসের দোকানে হরহামেশ বেচা বিক্রি চলছে। জানা যায় কসাই কাশেম অনিরাপদ মাংস বিক্রির নেতৃত্ব দিতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে জেলার বিভিন্ন দপ্তরে সশরীরে উপস্থিত থেকে বড় গলায় বক্তৃতা দিয়ে থাকেন।
শুধু তাই নয় কিছু সাংবাদিক, নামধারী কসাই আবুল কাসেমের লাইসেন্সবিহীন, স্বাস্থ্যসম্মত নয়, অনিরাপদ মাংসের সংবাদ প্রকাশ করতে গেলে, তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে কিছু হলুদ সাংবাদিক ও প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তাদের সাথে লিয়াজু করে সাংবাদিকদের মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন। লাইসেন্সবিহীন অবৈধ কসাই পট্টির সিন্ডিকেটের মূল হোতা নামধারী অবৈধ ক্ষমতাধর আবুল কাসেমের অসুস্থ মৃতপ্রায় অনিরাপদ গরুর মাংসের ফুটেজ ও তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে,কসাইখানার তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে জোর করে দুই সাংবাদিককে আটক করে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ঢাকা আরিচা বিশ্বরোডের জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের নাকের ডগায় সরকারি লাইসেন্সবিহীন,সড়ক ও জনপদের জায়গায় ডাস্টবিনের ধুলোবালি যুক্ত অনিরাপদ মাংসের রমরমা সিন্ডিকেট বাণিজ্য প্রশাসন কি দেখছে না? ডাস্টবিনের ধুলোবালিযুক্ত, অনিরাপদ মাংস খেয়ে শিশু-কিশোর খেকে শুরু করে মানিকগঞ্জ জেলা বাসি জটিল মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালের বেডে মানবেতর জীবন যাপন করলেও দেখার কি কেউ নেই?
মিনিস্ট্রি অফ এগ্রিকালচার কর্মকর্তা মোঃ মোরশেদ আল মাহমুদ এ বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক এর সাথে কথা বলবেন। জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি অফিসার ডা:এ.এম রেজ্জাকুল হায়দার বলেন, আমাদের কাজ কসাই কাশেমের সিন্ডিকেট বাহিনীর গরু সুস্থ থাকলে,জবাইয়ের অনুমতি দিয়ে দেই, ডাস্টবিনের নোংরা ধুলোবালি যুক্ত, অনিরাপদ স্থানে মাংস বিক্রি করলে,সরকারের লাইসেন্স না থাকলে, এগুলো আমাদের দেখার দায়িত্ব না।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফারহানা ইসলাম অজন্তা ফোন রিসিভ করেন নি।নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো: নুর-এ- আলম সোহাগ বলেন দুই-একদিনের ভিতরে ভোক্তা অধিকার কে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।