ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোলার গ্যাস এলএনজিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভোলায় উৎপাদিত গ্যাস এলএনজিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। দ্বীপ জেলা ভোলার সঙ্গে সরাসরি কোনো পাইপ লাইন না থাকায় সেখানকার গ্যাস বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে যোগ করা যাচ্ছে না। ফলে ভোলায় অতিরিক্ত গ্যাস থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না। যদিও সাবেক সরকারের সময় ভোলার সিএনজির বদলে এলএনজি করে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিলো। তবে ওই সরকার এলএনজি করে গ্যাস আনাকে লাভজনক বিবেচনা করেনি। জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ভোলা ছাড়া দেশের স্থলভাগে আর কোথাও বড় কোনো গ্যাসের মজুত পাওয়া যাচ্ছে না। সিলেট অঞ্চলের গ্যাস ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। আর সাগরে তেল-গ্যাস উত্তোলনেও আপাতত তেমন আশা নেই। কারণ সাগরের তেল-গ্যাস উত্তোলনের সব শেষ বিডিং রাউন্ডে অংশ নেয়নি কোনো দেশই। আর আবার বিডিং রাউন্ড করে কোনো কোম্পানিকে কাজ দিতে অন্তত দুই বছরের বেশি সময় প্রয়োজন।

সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ২৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ৭৫০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করা হয়। বাকিটা দেশের খনি থেকে সরবরাহ করা হয়। গত কয়েক বছরে ভোলায় তিনটি কূপ খনন করেছে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম। এর আগে ভোলায় গ্যাস আবিষ্কারের পর কূপ খনন করেছে বাপেক্স। ভোলায় পাওয়া গ্যাসে সেখানকার চাহিদা পূরণ করে প্রতিদিন ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে বড় আকারের এলএনজি জাহাজের পরিবর্তে ছোট আকারের এলএনজি জাহাজ প্রয়োজন হবে। একইসঙ্গে ভোলায় গ্যাসকে এলএনজিতে রূপান্তরের জন্য প্ল্যান্ট বসাতে হবে। আবার আশুগঞ্জেও এলএনজিকে রিগ্যাসিফিকেশনের জন্য পৃথক ইউনিট বসাতে হবে।

সূত্র আরো জানায়, ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত রয়েছে। এর মধ্যে শাহবাজপুর এবং ইলিশায় ২ দশমিক ৪২৩ টিসিএফ এবং চর ফ্যাশনে ২ দশমিক ৬৮৬ টিসিএফ মজুত গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এর বাজার মূল্য সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা। গ্যাস উত্তোলনের হিসাবে এক টিসিএফ গ্যাস দিয়ে এক বছরের চাহিদা পূরণ সম্ভব। এদিকে এ বিষয়ে জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ভোলা থেকে সিএনজির বদলে এলএনজি করে গ্যাস আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ওই গ্যাস আশুগঞ্জ দিয়ে জাতীয় গ্রিডে দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভোলার গ্যাস এলএনজিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা

আপডেট সময় :

ভোলায় উৎপাদিত গ্যাস এলএনজিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। দ্বীপ জেলা ভোলার সঙ্গে সরাসরি কোনো পাইপ লাইন না থাকায় সেখানকার গ্যাস বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে যোগ করা যাচ্ছে না। ফলে ভোলায় অতিরিক্ত গ্যাস থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না। যদিও সাবেক সরকারের সময় ভোলার সিএনজির বদলে এলএনজি করে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিলো। তবে ওই সরকার এলএনজি করে গ্যাস আনাকে লাভজনক বিবেচনা করেনি। জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ভোলা ছাড়া দেশের স্থলভাগে আর কোথাও বড় কোনো গ্যাসের মজুত পাওয়া যাচ্ছে না। সিলেট অঞ্চলের গ্যাস ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। আর সাগরে তেল-গ্যাস উত্তোলনেও আপাতত তেমন আশা নেই। কারণ সাগরের তেল-গ্যাস উত্তোলনের সব শেষ বিডিং রাউন্ডে অংশ নেয়নি কোনো দেশই। আর আবার বিডিং রাউন্ড করে কোনো কোম্পানিকে কাজ দিতে অন্তত দুই বছরের বেশি সময় প্রয়োজন।

সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ২৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ৭৫০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করা হয়। বাকিটা দেশের খনি থেকে সরবরাহ করা হয়। গত কয়েক বছরে ভোলায় তিনটি কূপ খনন করেছে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম। এর আগে ভোলায় গ্যাস আবিষ্কারের পর কূপ খনন করেছে বাপেক্স। ভোলায় পাওয়া গ্যাসে সেখানকার চাহিদা পূরণ করে প্রতিদিন ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে বড় আকারের এলএনজি জাহাজের পরিবর্তে ছোট আকারের এলএনজি জাহাজ প্রয়োজন হবে। একইসঙ্গে ভোলায় গ্যাসকে এলএনজিতে রূপান্তরের জন্য প্ল্যান্ট বসাতে হবে। আবার আশুগঞ্জেও এলএনজিকে রিগ্যাসিফিকেশনের জন্য পৃথক ইউনিট বসাতে হবে।

সূত্র আরো জানায়, ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত রয়েছে। এর মধ্যে শাহবাজপুর এবং ইলিশায় ২ দশমিক ৪২৩ টিসিএফ এবং চর ফ্যাশনে ২ দশমিক ৬৮৬ টিসিএফ মজুত গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এর বাজার মূল্য সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা। গ্যাস উত্তোলনের হিসাবে এক টিসিএফ গ্যাস দিয়ে এক বছরের চাহিদা পূরণ সম্ভব। এদিকে এ বিষয়ে জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ভোলা থেকে সিএনজির বদলে এলএনজি করে গ্যাস আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ওই গ্যাস আশুগঞ্জ দিয়ে জাতীয় গ্রিডে দেয়া হবে।