সংবাদ শিরোনাম ::
মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে কবরস্থান ভাঙচুর : জমি দখলের চেষ্টা

মঠবাড়িয়া পিরোজপুর প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০২:১০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":2},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে সকলেই সম্মান করেন। আর সে যদি হয় সনাতনী ধর্মের তাহলে তো আর কথাই নেই। বিগত আ.লীগ সরকার আমলে তাদের স্থান ছিলো অনেক উঁচুতে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সকল মহলেই সম্মানের সাথে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর এই মুক্তিযোদ্ধা সাইনবোর্ড ব্যবহার করে কবরস্থান ভাঙচুর এবং জমি দখলের বারবার চেষ্টা করছেন কথিত মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র শীল (৭০)। তিনি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের সূর্যমনি গ্রামের মৃত. অতুল চন্দ্র শীলের ছেলে।
গত ১৫ বছর ধরে নির্যাতিত ওই সূর্যমনি গ্রামের চাঁন মিয়া হাওলাদারের ছেলে, ভুক্তভোগী আল-আমিন জানান, আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে পাওয়া বসত বাড়ির সামনে পারিবারিক কবরস্থান নির্মাণ কাজ শুরু করলে অনিল চন্দ্র শীল বাধা প্রদান করেন। আমার বাড়ির মধ্যে জমি পাবে, দাবি করে ক্ষমতাবলে তার লোকজন নিয়ে কবরস্থান ভাংচূর করে এবং রাস্তার পাশে থাকা জীবিত গাছে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বারবার জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এ সকল ঘটনায় একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও এ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তা মানছেন না। উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রিপন জমাদ্দারের সহায়তায় আমার উপর বারবার হামলা চালিয়েছে এবং আমার নামে থানা ও বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে আসছে। রবিবার (১১’মে) দুপুরে ঘটনাস্থলে গেলে ভুক্তভোগী আল আমিন আরো জানান, উপায়ান্তু না পেয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেন। অভিযোগটি নির্বাহী কর্মকর্তা আমলে নিয়ে উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাচ্চু আকন কে তদন্তপূর্বক মীমাংসার দায়িত্ব দেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু আকন বলেন, উপজেলার সূর্যমনি গ্রামে এমনকি নাম পিতার নাম অনুযায়ী আমাদের পার্শ্ববর্তী উপজেলায়ও অনিল চন্দ্র শীল নামে কোন মুক্তিযোদ্ধা নেই। জমির বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করি কিন্তু অনিল চন্দ্র শীল সালিশ ব্যবস্থায় বসেননি। এ মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরেও প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কথিত মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র শীল বলেন আমি কখনো নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেইনি। তার স্বাক্ষরিত বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র শীল কাগজটি তার সামনে দেখিয়ে জবাব চাইলে তিনি, কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। ভুক্তভোগী আল-আমিন হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।