ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ময়মনসিংহে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬-ট্রাক জব্দ

জহির রায়হান, ময়মনসিংহ
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে ডাকাতির ঘটনায় ৬ সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আহমেদ। এর আগে অভিযান চালিয়ে নারায়ণঞ্জ, গাজীপুর ও নেত্রকোনা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। একইসাথে লুট করা রড বহনকারী ট্রাক ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- শরীফ হোসেন, নাঈম আহম্মেদ, ইয়াসিন, রাজন, হাসান ও মামুন মিয়া।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২৯ জানুয়ারি বিকালে রাজীব পরিবহনের ট্রাক ড্রাইভার জুয়েল মিয়া ও হেলপার আলম মিয়াসহ চট্টগ্রামের মীরেশ্বরাই বারুইহাট বাজার হতে ১৫ টন রড বোঝাই করে শেরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রাকটি পরদিন ভোরে ময়মনসিংহের ত্রিশালের রায়মনি এলাকায় পৌঁছা মাত্রই ডাকাত দলের সদস্যরা একটি খালি ট্রাক দিয়ে মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রড বুঝাই ট্রাকটি থামাতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে খালি ট্রাক থেকে ৫ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাত ধারালো দা, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রড বোঝাইকৃত ট্রাকের কাছে এসে ড্রাইভার জুয়েলকে মারধর গুরুতর জখম করে এবং তার সহযোগী আলম মিয়াকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে রডভর্তি ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় রাজীব পরিবহনের ম্যানেজার লুৎফর রহমান বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় অজ্ঞাতনামা ডাকাত দলের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানার মামলা দায়ের করে। পুলিশির ব্যাপক তৎপরতায় ভালুকা-গফরগাও রাস্তার ধীতপুর বাওয়ারগ্রাম নামক স্থানে লুণ্ঠিত ট্রাক এবং ট্রাকে থাকা ১৩ টন ৪১৫ কেজি রড রেখে এবং প্রায় দেড় টন রড নিয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।

শামীম আহমেদ আরো জানান, মামলা রুজুর পর ত্রিশাল থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ সুপারের নির্দেশে একটি চৌকস টিম গত ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারী নারায়ণঞ্জ, গাজীপুর ও নেত্রকোনায় টানা অভিযান পরিচালনা করে ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। পরে ডাকাতদের দেয়া তথ্যমতে, ডাকাতির ব্যবহৃত ট্রাকটি উদ্ধারপূর্বক জব্দ এবং ডাকাতির পন্য (রড) ক্রয়কারী দোকানদার ইদ্রিস আলীকেও গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে ডাকাতির কথা স্বীকার করেন এবং ডাকাতির মালামাল জেনেও রড ক্রয় করেছেন বলে ব্যবসায়ী স্বীকার করেন। সংবাদ সম্মেলনে ডিবির ওসি আবুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ময়মনসিংহে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬-ট্রাক জব্দ

আপডেট সময় : ০১:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে ডাকাতির ঘটনায় ৬ সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আহমেদ। এর আগে অভিযান চালিয়ে নারায়ণঞ্জ, গাজীপুর ও নেত্রকোনা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। একইসাথে লুট করা রড বহনকারী ট্রাক ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- শরীফ হোসেন, নাঈম আহম্মেদ, ইয়াসিন, রাজন, হাসান ও মামুন মিয়া।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২৯ জানুয়ারি বিকালে রাজীব পরিবহনের ট্রাক ড্রাইভার জুয়েল মিয়া ও হেলপার আলম মিয়াসহ চট্টগ্রামের মীরেশ্বরাই বারুইহাট বাজার হতে ১৫ টন রড বোঝাই করে শেরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রাকটি পরদিন ভোরে ময়মনসিংহের ত্রিশালের রায়মনি এলাকায় পৌঁছা মাত্রই ডাকাত দলের সদস্যরা একটি খালি ট্রাক দিয়ে মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রড বুঝাই ট্রাকটি থামাতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে খালি ট্রাক থেকে ৫ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাত ধারালো দা, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রড বোঝাইকৃত ট্রাকের কাছে এসে ড্রাইভার জুয়েলকে মারধর গুরুতর জখম করে এবং তার সহযোগী আলম মিয়াকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে রডভর্তি ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় রাজীব পরিবহনের ম্যানেজার লুৎফর রহমান বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় অজ্ঞাতনামা ডাকাত দলের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানার মামলা দায়ের করে। পুলিশির ব্যাপক তৎপরতায় ভালুকা-গফরগাও রাস্তার ধীতপুর বাওয়ারগ্রাম নামক স্থানে লুণ্ঠিত ট্রাক এবং ট্রাকে থাকা ১৩ টন ৪১৫ কেজি রড রেখে এবং প্রায় দেড় টন রড নিয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।

শামীম আহমেদ আরো জানান, মামলা রুজুর পর ত্রিশাল থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ সুপারের নির্দেশে একটি চৌকস টিম গত ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারী নারায়ণঞ্জ, গাজীপুর ও নেত্রকোনায় টানা অভিযান পরিচালনা করে ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। পরে ডাকাতদের দেয়া তথ্যমতে, ডাকাতির ব্যবহৃত ট্রাকটি উদ্ধারপূর্বক জব্দ এবং ডাকাতির পন্য (রড) ক্রয়কারী দোকানদার ইদ্রিস আলীকেও গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে ডাকাতির কথা স্বীকার করেন এবং ডাকাতির মালামাল জেনেও রড ক্রয় করেছেন বলে ব্যবসায়ী স্বীকার করেন। সংবাদ সম্মেলনে ডিবির ওসি আবুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।