গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ময়লার স্তূপ, দূর্নীতি, অনিয়মও অপরিছন্নতার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ৪০ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতর ও আশপাশে ময়লার স্তূপ পড়ে রয়েছে যত্রতত্র। রোগীদের বেডের আশপাশে প্রতিদিনের খাবারের উচ্ছিষ্টসহ নানা আবর্জনা দীর্ঘদিন পরিস্কার না করার কারনে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। দীর্ঘ দিন ফেলে রাখা এসব আবর্জনা থেকে তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়াসহ বর্তমানে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেন নিজেই রোগী হিসেবে রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকা রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, এখানে রোগীর চেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা করানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
সরজমিনে হাসপাতাল এলাকা ঘুরে ময়লার বিভিন্ন স্তুপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
হাসপাতালের ২য় তলার সিঁড়ির সামনেই, ছড়িয়ে ছিটিয়েপড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকাসহ সচেতনতার অভাবে সেখানে প্রতিনিয়ত খাবারের উচ্ছিষ্ট সিঁড়ির আশেপাশে ফেলছেন রোগীর স্বজনরা। ভবনের ৩য় তলার রোগীদের প্রত্যেক বেডের নিচে ময়লার স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। রুগীদের বেডে পড়ে আছে বিড়ালের মল। অনেক দিন পর্যন্ত পরিস্কার না করার কারণে ময়লার স্তূপ পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে দুর্গন্ধের সহ্য করে রোগী ও তার স্বজনরা কষ্ট করে বেডে থাকতে হচ্ছে। বালিশ গুলো ছিড়ে যাচ্ছে কিন্তু মেরামত করা হচ্ছে না। দীর্ঘদিনের ময়লা পরিষ্কার না করার কারণে এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ রোগী এবং তাদের স্বজন ও এলাকাবাসী।
রোগীর স্বজনরা বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ চরম অস্বাস্থ্যকর। সবদিকেই শুধু ময়লা আবর্জনার স্তূপের পচা গন্ধে এখানে থাকাই কষ্টকর হচ্ছে। তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এখানে রোগীর চেয়ে হাসপাতালকে চিকিৎসা করানো জরুরি।
রোগীর বেডের পাশে ময়লা পড়ে রয়েছে এবং সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আমাদের রোগীকে কি চিকিৎসা করাবো আমরা নিজেরাই দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।
এদিকে দূর্নীতি, অনিয়ম, অপরিছন্নতা, আধুনিকরণ ও উন্নতির দাবিতে প্রতিবাদ সভা আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা দূত গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর দূর্নীতি ও অনিয়ম তদন্ত করে ব্যবস্থা করে ও আধুনিকরণ ও উন্নতি করার দাবী জানান।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন বলেন, হাসপাতালের ৪ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মির প্রয়োজন থাকলে আমাদের এখানে আছেন মাত্র ২ জন। তাই একটু সমস্যা হচ্ছে, এতবড় একটি হাসপাতালে ২ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী কিভাবে পরিষ্কার রাখবে। আশা করছি খুব কম সময়েই এর সমাধান হয়ে যাবে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া আছে যে হাসপাতালের ওয়ার্ড সার্বক্ষণিক পরিষ্কার থাকবে। ভিতরে কোথাও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থাকার কথা নয়। তারপরও যদি নির্দিষ্ট স্থানে ছাড়া কোথাও বর্জ্য পড়ে থাকে, তা মনিটরিং করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




















