ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মাদকের অপব্যবহারে ফেনী শীর্ষে

এম এ রহমান দুলাল ভুইয়া, ফেনী
  • আপডেট সময় : ৪৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে উদ্ধারসর্বাধিক ২৭ হাজার ৯৮টি ইয়াবা উদ্ধার। ৪৬ দশমিক ৭৭০ কে জি গাঁজা উদ্ধার ।
মাদকের প্রধান প্রধান ফেনীর শহরের হাট সমুহ, রেল ষ্টেশন এলাকা, রাজাঝির দিঘির পাড় এলাকা, লালপুলের বেদে পল্লী এলাকা, সহদেবপুরের রেল লাইন সংলগ্ন এলাকা সহ বেশ কয়েকটি বস্তি, বিরিঞ্চি হাংন্কার সহ সুফিয়া নুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশ্ববর্তী এলাকা, হাসপাতালে মোড় থেকে ক্যাডেট কলেজ এলাকা। এছাড়া শতাধিক অটোরিকশা, সিএনজি চালকও ভ্রাম্যমান বিক্রেতা হিসাব শহর শষে বেড়ায়, ধর্মপুরের আশ্রয়ন এলাকা ।
মাদকের অপব্যবহারে ফেনী শীর্ষে । মাদকাসক্ত ব্যাক্তি ফেনীতে সর্বোচ্চ গ্রেফতার । বর্তমানে মাদকের ট্রনজিট রুট ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগনিত অভিযান ধরপাকড় সহ মাদকবিরোধী অভিযান প্রতিনিয়ত চলমান থাকার পরেও মাদক বিপননের জন্য মাদকব্যবসায়ীরা মরিয়া । বিগত ২৬ শে জুন – ২০২৫ ইং বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মাদকের অপব্যাবহারে ও অবৈধ পাচার বিরোধী দিবসে উঠে আসে অগনিত এহেন তথ্য। দিবসটিতে জেলা প্রশাষকের সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাদকের বিস্তার ও অপব্যবহারের এক আলোচনা সভা ও এবং স্কুল পর্যায়ের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনীর জেলা প্রশাষক সাইফুল ইসলাম । এ দিবসটি উপলক্ষে ফেনী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে মাদকের অপব্যাবহারে সর্বাধিক জেলা শহরের মধ্যে ফেনী শীর্ষে । এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কতৃক এই জেলায় সর্বাধিক মাদকাসক্ত ব্যাক্তি ও মাদকদ্রব্য এই ফেনী জেলাতেই গ্রেফতার ও আটক করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে ।
জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রেকর্ডীয় তথ্য মতে ২০২৪ ইং সালের ১লা জুলাই হতে ২০২৫ সালের ২৬ শে জুন পর্যন্ত ১হাজার ৫৯১ টি মাদকের অপব্যবহার বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে । এবং এসকল অভিযানের আলোকে ২৩৮ টি মামলা দায়ের সহ ২৩৮ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে । এবং এসকল অভিযানে ২৭ হাজার ৯৮ পিষ ইয়াবা সহ ৪৬ দশমিক ৭৭০ কে জি গাঁজা উদ্ধার এবং ১০৭ বোল ফেনসিডিল , ৪ হাজার ৫২০ পিস টপেনটাউল ( ব্যাথানাশক), ৪০ লিটার চোলাই মদ , ৭৩ বোতল বিলাতী মদ , ১৭ বোতল বিদেশী মদ , ২৮৮ বোতল এলকোহল যুক্ত এনার্জি ড্রিন্ক , ১১ ক্যান বিয়ার , ২’ ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ , ৫ টি তরতাজা বুলেট সহ নগদ ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৭০ টাকা সম পরিমান অর্থ । এছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য । গত ২৭শে জুন শুক্রবারেও ৪ – বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়ানের গোপন সংবাদে ছাগলনাইয়া উপজেলা সীমান্তে আটককরা হয়েছে প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা মুল্যমানের ভারতীয় মাদকদ্রব্য । এমনকি ভারত হতে পাচারকারী এদেশের যারা বহন করে মাদক সিন্ডিকেটের হাতে এনে তুলে দেয় তাদের মধ্যেও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নিজস্ব ইনফরমেশন প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন ইনফর্মা র নিয়োগ দিয়ে মাদক সিন্ডিকেট ব্যাক্তিদের আটক করে পারছেনা সামলদিতে বা রোধ করা যাচ্ছে না মাদকের অবৈধ চোরাচালান কারণ অজ্ঞাত বলে জানালেও বিভিন্ন সুএমতে প্রাপ্ত তথ্য মতে এর আরেকটি কারন রাজনৈতিক দূবৃত্যায়ণ বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে ।
তবে ফেনীর মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন মাদক সেবীদের মারফতে জানা যায় যে, গাঁজা ফেনীতে মাদকাসক্তরা সর্বাধিক ব্যাবহার করলেও ইয়াবা সেবনও তেমন একটা কম নয়। এছাড়াও বর্তমানে ফেনসিডিল সহ ইয়াবার মুল্য বৃদ্ধিতে বিকল্প হিসাবে ভারতীয় পেইন কিলার অর্থাৎ ব্যাথা নাশক হিসাবে নামকরণ কৃত টাপেনটাউল নামের একটি ট্যাবলেট যা কুমিল্লা সিমান্ত পথে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ফেনীতে আসছে তা বিভিন্ন জায়গার ফার্মেসিতে পাওয়া যায় এবং বেশ কিছু ফার্মেসি থেকেও বিগত দিনে জব্দ করা গেছে । তা মাদকাসক্তরা বিভিন্ন সফট এনার্জি ড্রিন্কে মিশিয়ে পান করে । যা বর্তমানে ফেনসিডিলের বিকল্প হিসাবে মাঠ পর্যায়ের মাদক সেবীদের কাজ করছে ।
সীমান্ত ঘেরা ফেনীর ৬ টি উপজেলার মধ্যে ছাগলনাইয়া , ফুলগাজী, পরশুরাম এই ৩টি উপজেলা সীমান্তবর্তী হওযায় এসব এলাকার চোরাচালানের বিভিন্ন রুট দিয়ে এসব মাদক প্রতিনিয়ত ফেনী জেলার অভ্যান্তরে প্রবেশ করে ফেনী সদর , দাগনভুইয়া, সোনাগাজী সহ পাশ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ও সরবরাহ করা হয়ে থাকে । তবে টাপেনটাউল নামীয় (ব্যাথানাশক) কুমিল্লা সিমান্ত পথে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কুমিল্লা হতে ফেনীতে আসে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে ফেনীর অধিকাংশ মাদকাসক্ত বা মাদকসেবী ২০ হতে ৩৫ বা ৪০ বৎসর বয়সী । এক জরিপে দেখা গেছে যারা মাদক ব্যাবসায় জড়িত তারাও প্রায় সকলেই যুবক বয়সি এর মাঝে সংখ্যা গরিষ্ঠরা মাদকাসক্ত হয়ে সর্বশান্ত হয়ে মাদকের নেশাগ্রস্তের কারণে এই ব্যবসায় পর্দার আড়ালের মাদক ব্যাবসায়ীরা এদের মাঠ পর্যায়ে মাদক বিপননের জন্য ব্যবহিত হয় । মাদকের অর্থের সংস্হানে বিফল ও অনোন্নপায় হয়ে তারা তাদের নেশার চাহিদা মিটাতে এব্যবসায় যুক্ত । এবং এরা মাদক সহ যতবারই ধরা পড়ুক তাদের ছাড়িয়ে অদৃশ্য অর্থে ছাড়িয়ে নেয়া হয় খুব দ্রুত সর্বচ্চো সপ্তা হতে পনের দিন। তারপর আবার তারা মাদক ব্যবসায় নিয়োজিত হয়ে পড়ে । এমনকি তাদের পরিবার পরিজনের আয় রোজগারের মাধ্যম ও এই মাদক । যদি এক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত মুলক সাজার ব্যবস্হা গ্রহন পুর্বক এই মাদক ব্যবসায়ীদের জামিন অযোগ্য ধারায় ব্যবস্হা গ্রহন সহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা যায় তবে এদৃশ্য পাল্টাতে পারে ।
এছাড়া এই ফেনী প্রবাসী অধ্যুসিত জেলা হওয়ায় সন্তানেরা অত্যাধিক নগদ অর্থ মায়েদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত পাচ্ছে । আর মায়েরাও সন্তানদের সঠিক খোঁজ খবর রাখেন না বিধায় তারা পথভ্রষ্টদের লোকদের প্ররোচনায় নেশার জগতে পা বাড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত । এদের মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে ওদেখা যায় অনেককে কিন্ত আবারও মা বাবাদের সঠিক তদারকি নাথাকায় দ্রুত মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে । তবে এইসকল মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের অভিনব পন্থা অবলম্বনে কিছুটা রোধ করা যায় । সামাজিক ভাবে তাদের বাড়ীর সম্মুখে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে বা সিমানা প্রাচীরে মাদকাসক্ত বাড়ী অথবা মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি লিখে সামাজিক ভাবে নাজেহাল করলে এতে মনে হয় সামাজিক মান সন্মান রক্ষার জন্য পিতা মাতা সহ সকলে এহীন কার্যে নিবৃত্ত করতে খুব বেশী কার্যকর ব্যবস্হাও হতে পারে । এমনকি এলাকার মোড়ে মোড়ে তাদের ছবিসহ ব্যানার টানিয়ে দিলে লোক লজ্যায় বেশ কার্য়কর ব্যবস্হাও হতে পারে ।
তবে আশার তথ্য হল বিগত বছরে ফেনীতে মাদকের আপব্যবহার বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসাবে প্রচার প্রচারনা জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর হতে শুরু হয়েছে । এসংক্রান্ত ৩ টি সেমিনার সহ মাদক বিরোধী সচেতনা সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন স্কুলে ৩০ জন প্রশিক্ষক সৃষ্টি ৭ টি স্কুল ভিক্তিক আলোচনা সভা, ১০ টি ডকুমেন্টারী উপস্থাপনা, ৩ হাজারের অধিক মাদকের কুফল প্রিন্ট প্রচারনা , স্কুল কলেজ সমুহে মাদকের ক্ষতিকর দিকসমুহ সন্বিলিত উল্লেখ করে খাতা স্কেল জ্যামিতি বস্ক বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ১হাজার ৯৫৬ জনকে ।
এত কিছু করেও মাদকের প্রাপ্যতা সহজলভ্য হওয়ায় ফেনী জেলার উপজেলা সমুহে রোধ করা যাচ্ছে না । সন্তানদের হাতে পিতামাতা কতৃক ব্যাপক অর্থ প্রদানে এর ব্যাপকতা ছড়াচ্ছে তীব্র গতিতে । বর্তমানে এর প্রাপতা এতই সহজলভ্য যে অলি গলি পাড়া মহল্লায় ভ্রাম্যমান বিক্রেতা টমটম সিএন জি রিকসাচালকেরা ও অধিক মুনাফায় বিপনন করে চলছে সর্বএ ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাদকের অপব্যবহারে ফেনী শীর্ষে

আপডেট সময় :

জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে উদ্ধারসর্বাধিক ২৭ হাজার ৯৮টি ইয়াবা উদ্ধার। ৪৬ দশমিক ৭৭০ কে জি গাঁজা উদ্ধার ।
মাদকের প্রধান প্রধান ফেনীর শহরের হাট সমুহ, রেল ষ্টেশন এলাকা, রাজাঝির দিঘির পাড় এলাকা, লালপুলের বেদে পল্লী এলাকা, সহদেবপুরের রেল লাইন সংলগ্ন এলাকা সহ বেশ কয়েকটি বস্তি, বিরিঞ্চি হাংন্কার সহ সুফিয়া নুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশ্ববর্তী এলাকা, হাসপাতালে মোড় থেকে ক্যাডেট কলেজ এলাকা। এছাড়া শতাধিক অটোরিকশা, সিএনজি চালকও ভ্রাম্যমান বিক্রেতা হিসাব শহর শষে বেড়ায়, ধর্মপুরের আশ্রয়ন এলাকা ।
মাদকের অপব্যবহারে ফেনী শীর্ষে । মাদকাসক্ত ব্যাক্তি ফেনীতে সর্বোচ্চ গ্রেফতার । বর্তমানে মাদকের ট্রনজিট রুট ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগনিত অভিযান ধরপাকড় সহ মাদকবিরোধী অভিযান প্রতিনিয়ত চলমান থাকার পরেও মাদক বিপননের জন্য মাদকব্যবসায়ীরা মরিয়া । বিগত ২৬ শে জুন – ২০২৫ ইং বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মাদকের অপব্যাবহারে ও অবৈধ পাচার বিরোধী দিবসে উঠে আসে অগনিত এহেন তথ্য। দিবসটিতে জেলা প্রশাষকের সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাদকের বিস্তার ও অপব্যবহারের এক আলোচনা সভা ও এবং স্কুল পর্যায়ের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনীর জেলা প্রশাষক সাইফুল ইসলাম । এ দিবসটি উপলক্ষে ফেনী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে মাদকের অপব্যাবহারে সর্বাধিক জেলা শহরের মধ্যে ফেনী শীর্ষে । এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কতৃক এই জেলায় সর্বাধিক মাদকাসক্ত ব্যাক্তি ও মাদকদ্রব্য এই ফেনী জেলাতেই গ্রেফতার ও আটক করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে ।
জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রেকর্ডীয় তথ্য মতে ২০২৪ ইং সালের ১লা জুলাই হতে ২০২৫ সালের ২৬ শে জুন পর্যন্ত ১হাজার ৫৯১ টি মাদকের অপব্যবহার বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে । এবং এসকল অভিযানের আলোকে ২৩৮ টি মামলা দায়ের সহ ২৩৮ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে । এবং এসকল অভিযানে ২৭ হাজার ৯৮ পিষ ইয়াবা সহ ৪৬ দশমিক ৭৭০ কে জি গাঁজা উদ্ধার এবং ১০৭ বোল ফেনসিডিল , ৪ হাজার ৫২০ পিস টপেনটাউল ( ব্যাথানাশক), ৪০ লিটার চোলাই মদ , ৭৩ বোতল বিলাতী মদ , ১৭ বোতল বিদেশী মদ , ২৮৮ বোতল এলকোহল যুক্ত এনার্জি ড্রিন্ক , ১১ ক্যান বিয়ার , ২’ ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ , ৫ টি তরতাজা বুলেট সহ নগদ ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৭০ টাকা সম পরিমান অর্থ । এছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য । গত ২৭শে জুন শুক্রবারেও ৪ – বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়ানের গোপন সংবাদে ছাগলনাইয়া উপজেলা সীমান্তে আটককরা হয়েছে প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা মুল্যমানের ভারতীয় মাদকদ্রব্য । এমনকি ভারত হতে পাচারকারী এদেশের যারা বহন করে মাদক সিন্ডিকেটের হাতে এনে তুলে দেয় তাদের মধ্যেও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নিজস্ব ইনফরমেশন প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন ইনফর্মা র নিয়োগ দিয়ে মাদক সিন্ডিকেট ব্যাক্তিদের আটক করে পারছেনা সামলদিতে বা রোধ করা যাচ্ছে না মাদকের অবৈধ চোরাচালান কারণ অজ্ঞাত বলে জানালেও বিভিন্ন সুএমতে প্রাপ্ত তথ্য মতে এর আরেকটি কারন রাজনৈতিক দূবৃত্যায়ণ বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে ।
তবে ফেনীর মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন মাদক সেবীদের মারফতে জানা যায় যে, গাঁজা ফেনীতে মাদকাসক্তরা সর্বাধিক ব্যাবহার করলেও ইয়াবা সেবনও তেমন একটা কম নয়। এছাড়াও বর্তমানে ফেনসিডিল সহ ইয়াবার মুল্য বৃদ্ধিতে বিকল্প হিসাবে ভারতীয় পেইন কিলার অর্থাৎ ব্যাথা নাশক হিসাবে নামকরণ কৃত টাপেনটাউল নামের একটি ট্যাবলেট যা কুমিল্লা সিমান্ত পথে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ফেনীতে আসছে তা বিভিন্ন জায়গার ফার্মেসিতে পাওয়া যায় এবং বেশ কিছু ফার্মেসি থেকেও বিগত দিনে জব্দ করা গেছে । তা মাদকাসক্তরা বিভিন্ন সফট এনার্জি ড্রিন্কে মিশিয়ে পান করে । যা বর্তমানে ফেনসিডিলের বিকল্প হিসাবে মাঠ পর্যায়ের মাদক সেবীদের কাজ করছে ।
সীমান্ত ঘেরা ফেনীর ৬ টি উপজেলার মধ্যে ছাগলনাইয়া , ফুলগাজী, পরশুরাম এই ৩টি উপজেলা সীমান্তবর্তী হওযায় এসব এলাকার চোরাচালানের বিভিন্ন রুট দিয়ে এসব মাদক প্রতিনিয়ত ফেনী জেলার অভ্যান্তরে প্রবেশ করে ফেনী সদর , দাগনভুইয়া, সোনাগাজী সহ পাশ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ও সরবরাহ করা হয়ে থাকে । তবে টাপেনটাউল নামীয় (ব্যাথানাশক) কুমিল্লা সিমান্ত পথে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কুমিল্লা হতে ফেনীতে আসে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে ফেনীর অধিকাংশ মাদকাসক্ত বা মাদকসেবী ২০ হতে ৩৫ বা ৪০ বৎসর বয়সী । এক জরিপে দেখা গেছে যারা মাদক ব্যাবসায় জড়িত তারাও প্রায় সকলেই যুবক বয়সি এর মাঝে সংখ্যা গরিষ্ঠরা মাদকাসক্ত হয়ে সর্বশান্ত হয়ে মাদকের নেশাগ্রস্তের কারণে এই ব্যবসায় পর্দার আড়ালের মাদক ব্যাবসায়ীরা এদের মাঠ পর্যায়ে মাদক বিপননের জন্য ব্যবহিত হয় । মাদকের অর্থের সংস্হানে বিফল ও অনোন্নপায় হয়ে তারা তাদের নেশার চাহিদা মিটাতে এব্যবসায় যুক্ত । এবং এরা মাদক সহ যতবারই ধরা পড়ুক তাদের ছাড়িয়ে অদৃশ্য অর্থে ছাড়িয়ে নেয়া হয় খুব দ্রুত সর্বচ্চো সপ্তা হতে পনের দিন। তারপর আবার তারা মাদক ব্যবসায় নিয়োজিত হয়ে পড়ে । এমনকি তাদের পরিবার পরিজনের আয় রোজগারের মাধ্যম ও এই মাদক । যদি এক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত মুলক সাজার ব্যবস্হা গ্রহন পুর্বক এই মাদক ব্যবসায়ীদের জামিন অযোগ্য ধারায় ব্যবস্হা গ্রহন সহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা যায় তবে এদৃশ্য পাল্টাতে পারে ।
এছাড়া এই ফেনী প্রবাসী অধ্যুসিত জেলা হওয়ায় সন্তানেরা অত্যাধিক নগদ অর্থ মায়েদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত পাচ্ছে । আর মায়েরাও সন্তানদের সঠিক খোঁজ খবর রাখেন না বিধায় তারা পথভ্রষ্টদের লোকদের প্ররোচনায় নেশার জগতে পা বাড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত । এদের মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে ওদেখা যায় অনেককে কিন্ত আবারও মা বাবাদের সঠিক তদারকি নাথাকায় দ্রুত মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে । তবে এইসকল মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের অভিনব পন্থা অবলম্বনে কিছুটা রোধ করা যায় । সামাজিক ভাবে তাদের বাড়ীর সম্মুখে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে বা সিমানা প্রাচীরে মাদকাসক্ত বাড়ী অথবা মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি লিখে সামাজিক ভাবে নাজেহাল করলে এতে মনে হয় সামাজিক মান সন্মান রক্ষার জন্য পিতা মাতা সহ সকলে এহীন কার্যে নিবৃত্ত করতে খুব বেশী কার্যকর ব্যবস্হাও হতে পারে । এমনকি এলাকার মোড়ে মোড়ে তাদের ছবিসহ ব্যানার টানিয়ে দিলে লোক লজ্যায় বেশ কার্য়কর ব্যবস্হাও হতে পারে ।
তবে আশার তথ্য হল বিগত বছরে ফেনীতে মাদকের আপব্যবহার বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসাবে প্রচার প্রচারনা জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর হতে শুরু হয়েছে । এসংক্রান্ত ৩ টি সেমিনার সহ মাদক বিরোধী সচেতনা সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন স্কুলে ৩০ জন প্রশিক্ষক সৃষ্টি ৭ টি স্কুল ভিক্তিক আলোচনা সভা, ১০ টি ডকুমেন্টারী উপস্থাপনা, ৩ হাজারের অধিক মাদকের কুফল প্রিন্ট প্রচারনা , স্কুল কলেজ সমুহে মাদকের ক্ষতিকর দিকসমুহ সন্বিলিত উল্লেখ করে খাতা স্কেল জ্যামিতি বস্ক বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ১হাজার ৯৫৬ জনকে ।
এত কিছু করেও মাদকের প্রাপ্যতা সহজলভ্য হওয়ায় ফেনী জেলার উপজেলা সমুহে রোধ করা যাচ্ছে না । সন্তানদের হাতে পিতামাতা কতৃক ব্যাপক অর্থ প্রদানে এর ব্যাপকতা ছড়াচ্ছে তীব্র গতিতে । বর্তমানে এর প্রাপতা এতই সহজলভ্য যে অলি গলি পাড়া মহল্লায় ভ্রাম্যমান বিক্রেতা টমটম সিএন জি রিকসাচালকেরা ও অধিক মুনাফায় বিপনন করে চলছে সর্বএ ।