ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

মানবিক ডিসির স্পর্শে ফিরল শিশুর জীবনে আলো

জাহাঙ্গীর আলম
  • আপডেট সময় : ৭২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া আবারও প্রমাণ করলেন, কেন তিনি ‘মানবিক ডিসি’ নামে পরিচিত। বিরল রোগে আক্রান্ত নয় বছর বয়সী শিশু মান্তাহার মাহমুদ এবার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে মানবিক ডিসির উদ্যোগে।

জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিশুটিকে একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক হুইলচেয়ার উপহার দেওয়া হয়েছে।
মান্তাহারের মা মিতু বেগম আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “ডিসি স্যার তার প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। উনি সত্যিই খুব মানবিক মানুষ। আমরা অনেক খুশি।” মান্তাহার নিজেও আনন্দে জানাল, “এবার আমি মাদ্রাসায় যেতে পারবো, সারাক্ষণ মায়ের কোলেই থাকতে হবে না।”

শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মান্তাহার আগে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ত। পরে খোরশেদ আলম ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। হঠাৎ তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সমস্যা দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে হাঁটাচলাও বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটি Duchenne Muscular Dystrophy (DMD) নামে বিরল রোগে আক্রান্ত।
জেলা প্রশাসক নিজে শিশুটির পরিবারকে ডেকে নেন এবং নগদ অর্থ সহায়তার পাশাপাশি অত্যাধুনিক হুইলচেয়ার উপহার দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান সরদার বলেন, “ডিসি জাহিদুল ইসলাম শুধু বলেন না, কাজও করেন। প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যাণে ইতিমধ্যেই তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।”

ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিয়া বলেন, “প্রতিবন্ধী শিশুদের বাইরের আলো-বাতাসে থাকার সুযোগ যেন আমরা কখনো বন্ধ না করি। শিশুটির হাসি ও স্বপ্নে আমি খুব খুশি।”
মানবিক ডিসির উদ্যোগে এবার মান্তাহারের জীবনে নতুন সূর্যোদয়, আর জেলা প্রশাসকের ভালোবাসায় শিশুর মুখে ফিরে এসেছে হাসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মানবিক ডিসির স্পর্শে ফিরল শিশুর জীবনে আলো

আপডেট সময় :

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া আবারও প্রমাণ করলেন, কেন তিনি ‘মানবিক ডিসি’ নামে পরিচিত। বিরল রোগে আক্রান্ত নয় বছর বয়সী শিশু মান্তাহার মাহমুদ এবার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে মানবিক ডিসির উদ্যোগে।

জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিশুটিকে একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক হুইলচেয়ার উপহার দেওয়া হয়েছে।
মান্তাহারের মা মিতু বেগম আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “ডিসি স্যার তার প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। উনি সত্যিই খুব মানবিক মানুষ। আমরা অনেক খুশি।” মান্তাহার নিজেও আনন্দে জানাল, “এবার আমি মাদ্রাসায় যেতে পারবো, সারাক্ষণ মায়ের কোলেই থাকতে হবে না।”

শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মান্তাহার আগে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ত। পরে খোরশেদ আলম ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। হঠাৎ তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সমস্যা দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে হাঁটাচলাও বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটি Duchenne Muscular Dystrophy (DMD) নামে বিরল রোগে আক্রান্ত।
জেলা প্রশাসক নিজে শিশুটির পরিবারকে ডেকে নেন এবং নগদ অর্থ সহায়তার পাশাপাশি অত্যাধুনিক হুইলচেয়ার উপহার দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান সরদার বলেন, “ডিসি জাহিদুল ইসলাম শুধু বলেন না, কাজও করেন। প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যাণে ইতিমধ্যেই তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।”

ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিয়া বলেন, “প্রতিবন্ধী শিশুদের বাইরের আলো-বাতাসে থাকার সুযোগ যেন আমরা কখনো বন্ধ না করি। শিশুটির হাসি ও স্বপ্নে আমি খুব খুশি।”
মানবিক ডিসির উদ্যোগে এবার মান্তাহারের জীবনে নতুন সূর্যোদয়, আর জেলা প্রশাসকের ভালোবাসায় শিশুর মুখে ফিরে এসেছে হাসি।