ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জে ফরহাদ গংয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

ছাবিনা দিলরুবা, মানিকগঞ্জ
  • আপডেট সময় : ১৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তিন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রবাসীর স্ত্রী মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলশী ইউনিয়নের খলশী গ্রামের প্রবাসী মো. জুমাত আলীর স্ত্রী মোছা. সীমা বেগম ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী ফরহাদ খান, রবিন খান, ফরিদ খান, বাদশা খান, সোহেল খান, মহিদুর খানসহ অজ্ঞাত আরও চার–পাঁচজনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করেন।
অভিযোগে সীমা বেগম জানান, আওয়ামী দোসর ফরহাদ গং এর চক্র পুকুরের চালা না দিয়ে এবং অবৈধ ভেকু মেশিন ব্যবহার করে প্রবাসীর বাড়ির একতলা ভবনের গা ঘেঁষে প্রায় দুই শতাংশ জমি থেকে মাটি কেটে নেয়। পরে এসব মাটি অবৈধ হাইড্রোলিক ট্রাক্টরে পরিবহন করতে গিয়ে গ্রামীণ রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়—যা সরকারি কোটি টাকার সম্পদের অপচয় হচ্ছে এবং তার বসত বাড়ি ভেঙে পড়ছে। বিষয়টি আদালতে রায় অমান্য করে নির্মাণ কাজে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক বাঁধা প্রদান করে আসছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এর ফলে প্রবাসীর স্ত্রী সীমা বেগমের বসতবাড়ির একতলা ভবনে গুরুতর ফাটল দেখা দেয় এবং এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে তিনি দাবি করেন। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনায় মেরামতের উদ্যোগ নিলে অভিযুক্ত চক্ররা তার নিকট পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় বাড়িটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং তিন সন্তানসহ তিনি চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সীমা বেগম অভিযোগ করেন, এর আগের অভিযোগে ও কোনো প্রতিকার পায়নি। তিনি বলেন,
“প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখেই আবারও অভিযোগ করেছি। আর নয় আতঙ্ক, আর নয় ভয়—আমি শুধু আমার নিজের বাড়িতে থাকতে চাই।”
এবিষয়ে মুঠোফোনে ফরহাদ , দায়সারা কথা বলে এড়িয়ে যান। বাকি বিবাদীর ফোন নাম্বার না পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: শাহিনুল ইসলাম বলেন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মানিকগঞ্জে ফরহাদ গংয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

আপডেট সময় :

তিন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রবাসীর স্ত্রী মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলশী ইউনিয়নের খলশী গ্রামের প্রবাসী মো. জুমাত আলীর স্ত্রী মোছা. সীমা বেগম ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী ফরহাদ খান, রবিন খান, ফরিদ খান, বাদশা খান, সোহেল খান, মহিদুর খানসহ অজ্ঞাত আরও চার–পাঁচজনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করেন।
অভিযোগে সীমা বেগম জানান, আওয়ামী দোসর ফরহাদ গং এর চক্র পুকুরের চালা না দিয়ে এবং অবৈধ ভেকু মেশিন ব্যবহার করে প্রবাসীর বাড়ির একতলা ভবনের গা ঘেঁষে প্রায় দুই শতাংশ জমি থেকে মাটি কেটে নেয়। পরে এসব মাটি অবৈধ হাইড্রোলিক ট্রাক্টরে পরিবহন করতে গিয়ে গ্রামীণ রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়—যা সরকারি কোটি টাকার সম্পদের অপচয় হচ্ছে এবং তার বসত বাড়ি ভেঙে পড়ছে। বিষয়টি আদালতে রায় অমান্য করে নির্মাণ কাজে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক বাঁধা প্রদান করে আসছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এর ফলে প্রবাসীর স্ত্রী সীমা বেগমের বসতবাড়ির একতলা ভবনে গুরুতর ফাটল দেখা দেয় এবং এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে তিনি দাবি করেন। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনায় মেরামতের উদ্যোগ নিলে অভিযুক্ত চক্ররা তার নিকট পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় বাড়িটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং তিন সন্তানসহ তিনি চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সীমা বেগম অভিযোগ করেন, এর আগের অভিযোগে ও কোনো প্রতিকার পায়নি। তিনি বলেন,
“প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখেই আবারও অভিযোগ করেছি। আর নয় আতঙ্ক, আর নয় ভয়—আমি শুধু আমার নিজের বাড়িতে থাকতে চাই।”
এবিষয়ে মুঠোফোনে ফরহাদ , দায়সারা কথা বলে এড়িয়ে যান। বাকি বিবাদীর ফোন নাম্বার না পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: শাহিনুল ইসলাম বলেন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।