ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিএনপির সংবাদ সম্মেলন Logo রাজশাহী বিএনপির নতুন নেতৃত্বে মামুন-রিটন Logo সুন্দরগঞ্জে গরু চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা, এক নারী আটক Logo ২০২৬ সালের নির্বাচন বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ-কাজী নাজমুল হোসেন তাপস Logo শেরপুর জেলার বরবটি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে,কৃষকের মূখে হাসি Logo রামগতিতে অর্থের অভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেনা, স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া Logo মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের আসামিরা উপদেষ্টার হেফাজতে, আসামি ধরছে না পুলিশ Logo জয়পুরহাটে অসময়ে টানা তিনদিনের বৃষ্টি, আমন-সবজির ক্ষতির আশঙ্কা Logo আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক Logo পঞ্চগড়ে স্বাস্থ্য তহবিলে জামায়াতের ১০ লাখ টাকা অনুদান

মানিকগঞ্জে সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

ছাবিনা দিলরুবা, মানিকগন্জ 
  • আপডেট সময় : ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

filter: 0; jpegRotation: 0; fileterIntensity: 0.000000; filterMask: 0; module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: Auto; cct_value: 0; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 0.0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান  ২৩/০৪/২০২৫ তারিখে সেনা সদস্য মোঃ আবুল কাশেম এর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ সেনাপ্রধান বরাবর  প্রেরণ করেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা,  বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।যার ফলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্ত ক্ষুন্ন হয়েছে বলে জানা যায়, এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এমন মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে হাবিবুর রহমান উল্লেখ করেছে যে, মোঃ আবুল কাশেম নামের ওই সেনা সদস্য নিজেকে ‘মেজর’ পরিচয় দিয়ে এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে।  এছাড়া কাশেম তার আত্মীয় বিডিআরের সাবেক কর্মকর্তা রহমত আলীর সহায়তায় বেআইনি ও অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত।
অভিযোগে কাশেমের বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং জমি জোরপূর্বক দখলের মতো গুরুতর বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে। হাবিবুর রহমানের দাবি, বর্তমানে ওই জমিতে কাশেম ভবন নির্মাণ করছে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে।কিন্তু সাংবাদিকরা ঘটনা সম্পর্কে ওই এলাকায় জানতে গেলে,এলাকাবাসী বলেন হাবিবুর রহমান অনেক খারাপ প্রকৃতির লোক, থানা সহ বিভিন্ন স্থানে আট বার সালিশ করা হয়েছে, সব সালিশেই হাবিবুর রহমান অপমান অপদস্ত হয়েছেন, তারপরও একজন নিরপরাধ সেনা সদস্য কে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ এবং অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
 তথ্য নিয়ে জানা যায়, সেনা সদস্য আবুল কাশেম হলেন হাবিবুর রহমানের বড় ভাইয়ের ছেলে অর্থাৎ ভাতিজা। মূলত জমি সংক্রান্ত শত্রুতায় তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য এ মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেন । স্থানীয় মৃত আদারী বেপারির ৫ পুত্রের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত থানায় ২টি ও গ্রাম্য ভাবে ৭টি বড় ধরনের সালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে গত২০দিন আগে গ্রাম্য ৮ম সালিশের তারিখ ২৬ শে এপ্রিল ধার্য করা হলেও এরই মাঝে গত ৩দিন আগে এমন বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগপত্রের অনুলিপি মানিকগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং দুর্নীতি দমন কমিশনেও পাঠানো হয়েছে । যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মান ও ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন করা হয়েছে  অনেকে দাবি করেন ।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী হাবিবুর রহমান কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, মূলত  জমি নিয়েই এমন বিরোধ । জমি সংক্রান্ত বিরোধে গত ৮ম সালিশে চাচা হাবিবুর রহমান তার ভুল বুঝতে পারে । অতঃপর সালিশে উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং এ অভিযোগ অতি দ্রুত প্রত্যাহার করবে বলে অঙ্গীকার করলে ও এখন পর্যন্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করেন নি এবং ১০-৫-২৫ ইং শনিবার সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকায় পুনরায় সালিশের তারিখ দিয়ে,তারিখ বাতিল করে বিভিন্ন টালবাহানা করে যাচ্ছেন   । পূর্বের গ্রাম্য  সালিশে সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান চান্দু এবং উপস্থিত ছিলেন  তাদের আত্মীয় স্বজন ও উভয় পক্ষের উকিল এডভোকেট আব্দুর রহমান গাজী, এডভোকেট ইকবাল হোসেন , এডভোকেট খোকন, এডভোকেট সিদ্দিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তারা হলেন বুলু রহমত আলী, আওলাদ, হোসেন চান গাজী, সাইফুল ইসলাম, বাচ্চু মিয়া, আরিফুল ইসলাম খোকন, লুৎফর রহমান, কাদের মিয়া, মনসুর মিয়া, মানু মোল্লা, তারেক মোশারফ, মনু মিয়া, সালাম মিলিটারি, শাহজাহান, মিশুক,  মনোয়ার, দেলোয়ার হোসেন সালাম, আরজু মিয়া, সায়েম, ফজল মিয়া, ইসাক, আরো অনেকে ।
উপস্থিত সকলের দাবি, সেনা সদস্য  আবুল কাশেম ভদ্র ও হাসিখুশি ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং তাকে স্বপদে বহাল রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও সেনাপ্রধানের নিকট বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, সেই সাথে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী মোঃ হাবিবুর রহমানের  বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মানিকগঞ্জে সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

আপডেট সময় :
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান  ২৩/০৪/২০২৫ তারিখে সেনা সদস্য মোঃ আবুল কাশেম এর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ সেনাপ্রধান বরাবর  প্রেরণ করেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা,  বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।যার ফলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্ত ক্ষুন্ন হয়েছে বলে জানা যায়, এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এমন মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে হাবিবুর রহমান উল্লেখ করেছে যে, মোঃ আবুল কাশেম নামের ওই সেনা সদস্য নিজেকে ‘মেজর’ পরিচয় দিয়ে এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে।  এছাড়া কাশেম তার আত্মীয় বিডিআরের সাবেক কর্মকর্তা রহমত আলীর সহায়তায় বেআইনি ও অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত।
অভিযোগে কাশেমের বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং জমি জোরপূর্বক দখলের মতো গুরুতর বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে। হাবিবুর রহমানের দাবি, বর্তমানে ওই জমিতে কাশেম ভবন নির্মাণ করছে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে।কিন্তু সাংবাদিকরা ঘটনা সম্পর্কে ওই এলাকায় জানতে গেলে,এলাকাবাসী বলেন হাবিবুর রহমান অনেক খারাপ প্রকৃতির লোক, থানা সহ বিভিন্ন স্থানে আট বার সালিশ করা হয়েছে, সব সালিশেই হাবিবুর রহমান অপমান অপদস্ত হয়েছেন, তারপরও একজন নিরপরাধ সেনা সদস্য কে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ এবং অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
 তথ্য নিয়ে জানা যায়, সেনা সদস্য আবুল কাশেম হলেন হাবিবুর রহমানের বড় ভাইয়ের ছেলে অর্থাৎ ভাতিজা। মূলত জমি সংক্রান্ত শত্রুতায় তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য এ মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেন । স্থানীয় মৃত আদারী বেপারির ৫ পুত্রের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত থানায় ২টি ও গ্রাম্য ভাবে ৭টি বড় ধরনের সালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে গত২০দিন আগে গ্রাম্য ৮ম সালিশের তারিখ ২৬ শে এপ্রিল ধার্য করা হলেও এরই মাঝে গত ৩দিন আগে এমন বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগপত্রের অনুলিপি মানিকগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং দুর্নীতি দমন কমিশনেও পাঠানো হয়েছে । যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মান ও ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন করা হয়েছে  অনেকে দাবি করেন ।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী হাবিবুর রহমান কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, মূলত  জমি নিয়েই এমন বিরোধ । জমি সংক্রান্ত বিরোধে গত ৮ম সালিশে চাচা হাবিবুর রহমান তার ভুল বুঝতে পারে । অতঃপর সালিশে উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং এ অভিযোগ অতি দ্রুত প্রত্যাহার করবে বলে অঙ্গীকার করলে ও এখন পর্যন্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করেন নি এবং ১০-৫-২৫ ইং শনিবার সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকায় পুনরায় সালিশের তারিখ দিয়ে,তারিখ বাতিল করে বিভিন্ন টালবাহানা করে যাচ্ছেন   । পূর্বের গ্রাম্য  সালিশে সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান চান্দু এবং উপস্থিত ছিলেন  তাদের আত্মীয় স্বজন ও উভয় পক্ষের উকিল এডভোকেট আব্দুর রহমান গাজী, এডভোকেট ইকবাল হোসেন , এডভোকেট খোকন, এডভোকেট সিদ্দিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তারা হলেন বুলু রহমত আলী, আওলাদ, হোসেন চান গাজী, সাইফুল ইসলাম, বাচ্চু মিয়া, আরিফুল ইসলাম খোকন, লুৎফর রহমান, কাদের মিয়া, মনসুর মিয়া, মানু মোল্লা, তারেক মোশারফ, মনু মিয়া, সালাম মিলিটারি, শাহজাহান, মিশুক,  মনোয়ার, দেলোয়ার হোসেন সালাম, আরজু মিয়া, সায়েম, ফজল মিয়া, ইসাক, আরো অনেকে ।
উপস্থিত সকলের দাবি, সেনা সদস্য  আবুল কাশেম ভদ্র ও হাসিখুশি ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং তাকে স্বপদে বহাল রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও সেনাপ্রধানের নিকট বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, সেই সাথে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী মোঃ হাবিবুর রহমানের  বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি ।