মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে খেলনার মোড়কে এলো নতুন ধরণের মাদক
- আপডেট সময় : ০৩:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ২০৪ বার পড়া হয়েছে
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সক্ষমতায় জব্দ হলো কোটি টাকার মাদক। এই নতুন ধরণের মাদক উড়ে এসেছে সুদূর মার্কিন মুল্লুক থেকে। দৃষ্টিনন্দন খেলনার মোড়কে।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগে চালানটি আসার পর সংশ্লিষ্টদের সন্দেহ হয়। তারা খবর দেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে। খবর পেয়ে অধিদপ্তরের একটি চৌকস দল ছুটে যান জিপিওতে। তারা খেলনার প্যাকেটের পার্সেল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নতুন ধরণের গাজার সন্ধ্যান পান।
পার্সেলের গায়ে থাকা মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মাদক নিয়ন্ত্রণ অদিদপ্তরে ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী ।
শুধু তাই নয় এখানে একটি আইটেম রয়েছে, যা মিশিয়ে খাবার কেক তৈরি করা যায়। অর্থাৎ গাজার কেক। সম্ভব এই গাজার কেক বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কোথাও কোথাও বিক্রি হয়ে থাকতে পারে!
ডিজি বলেন, আগের তুলনায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অদিদপ্তরের সক্ষমতা বেড়েছে। নতুন নতুন মাদক চিহ্নিত এবং বিভিন্ন স্তরের যোগাযোগ রক্ষার যে সুফলতা রয়েছে, নতুন ধরণের এই মাদক উদ্ধারের মধ্য দিয়ে তারই প্রমাণ রাখলো অধিদপ্তর।
ডিজি বলেন, এই মাদক আমদানির নেপথ্যে কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কারা এই মাদক পাঠালো তার সঠিক ঠিকানা না থাকলেও বাংলাদেশের মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মহাপরিচালক জানায়, এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাদক কেনা বেচায় মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
মহাপরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ ধরনের মাদক কার মাধ্যমে আসে, কোন শ্রেণীর মানুষ তা সেবন করে, সে বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হবে।
মহাপরিচালক জানান, কর্মকর্তারা একটি কার্টনের ভেতর ৬টি প্যাকেটের মধ্যে থেকে ১ হাজার ৩৫০ গ্রাম কুশ উদ্ধার করেন। একই কার্টনের ভেতরে প্রতিটি ২৮ গ্রাম ওজনের ৯টি গাঁজার চকলেট উদ্ধার করা হয়। গাঁজার কেক উদ্ধার করা হয় ১০টি, প্রতিটির ওজন ৬০ গ্রাম। সবগুলোই যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে তাদের করা ৩ হাজার ৬৬৯টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ৪৬ শতাংশ মামলায় সাজা হয়েছে। এক হাজার ৯৭১টি মামলায় কারও অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি অধিদপ্তর।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল, উপপরিচালক আবুল হোসাইনসহ অধিপ্তরের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।