সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীর শাস্তির দাবী
মিথ্যা মামলায় গোলাপগঞ্জে আসামী হওয়ার প্রতিবাদ এলাকাবাসীর
- আপডেট সময় : ৬৭ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত থাকা অবস্থায় জিল্লু হত্যা চেষ্টার মামলার প্রধান আসামি হলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউপির মাইনুল ইসলাম শুভ। অথচ ঘটনার সময় বৃহস্পতিবার (৫জুন) দিনগত রাত ১২টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত সিলেটের শিবগঞ্জস্থ ফাওযান ফার্মা ফার্মেসীর কর্মরত ছিলেন মাইনুল ইসলাম শুভ। তাকে ষড়যন্ত্রমূলুক ফাঁসানো হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মাইনুল ইসলাম শুভ’র মা মা মিনারা বেগম।
তিনি বলেন, আমার ছেলে মাইনুল ইসলাম শুভ ভাদেশ্বর মোকাম বাজারস্থ জিল্লু রহমানের এর সত্ত্বাধিকারী তাসনুবা ফার্মেসীতে দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে চাকুরীর পাশাপাশি জিল্লুু রহমানের অনুরোধে তাহার ছোট মেয়েকে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়াতো। এ কারণে আমার ছেলে মাইনুল ইসলাম শুভ ও তাসনুবা ফার্মেসীর মালিক জিল্লুু রহমান ও তার পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল।
এ অবস্থায় তাসনুবা ফার্মেসীর মালিক জিল্লু রহমান আমার ছেলে মাইনুল ইসলাম শুভ’র বেতন নিয়ে গড়িমসি করতে থাকিলে আমার ছেলে মাইনুল ইসলাম শুভ তাহার ফার্মেসীতে চাকুরী করিবেনা বলিয়া জানায়। এই অবস্থায় জিল্লু রহমান আমার ছেলেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। এবং তার মেয়েকে প্রাইভেট না পড়াইলে তার মেয়ের লেখাপড়ার ক্ষতি হবে। এবং তার ফার্মেসীতে কাজ করতে বলে জোর পূর্বক চাপ দিতে থাকে। তা না হলে আমার ছেলে ভবিষ্যৎ ধ্বংস সহ এর প্রতিশোধ নিবে বলিয়া হুমকি দেন। যাহা আমার ছেলে বাড়িতে আসিয়া আমাকে এবং তার ভাই ও বোনদেরকে জানায়।
তাসনুবা ফার্মেসীতে চাকুরী ও প্রাইভেট না পড়ানোর কারণে প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা সহিত আমার ছেলেকে জড়াইয়াছে। আমার ছেলেরা কোন অবস্থাতে এই ঘটনার সাথে জড়িতো নয়। শুধু তাই নয়, আমার ছেলে তাহার ফার্মেসী হইতে মে মাসে প্রথম সাপ্তাহে চলিয়া আসার কথা বলার পর থেকে আমার ছেলেকে বিভিন্ন ধরনের চাপ সহ হুমকি দিতে থাকে জিল্লু রহমান।
তিনি আরোও বলেন, আমার ছেলে মাইনুল ইসলাম শুভ তার চাচাতো ভাইয়ের সিলেটস্থ, শিবগঞ্জের ফাওযান ফার্মা ফার্মেসীতে ৩০শে মে ২০২৫ইং তারিখে কাজে যোগদান করে। ৩০শে মে ২০২৫ইং তারিখ হইতে ০৬ই জুন ২০২৫ইং রাত ১২ টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত কর্মরত ছিলো। যাহা ফাওযান ফার্মা ফার্মেসীর মালিকের বক্তব্য ও ফাওযান ফার্মা ফার্মেসী সিসি ক্যামেরা ফুটেছ প্রমান করে । অথচ জিল্লুু রহমান তাহার মামলার এজহারে উল্লেখ করেছেন ০৫ই জুন ২০২৫ইং রাত অনুমান ১২.৪৫মিনিটে জিল্লু রহমানের উপর মর্মান্তিক ঘটনাটি আমার ছেলে মাইনুল ইসলাম শুভ সহ তার ভাইয়েরা এই ঘটনাটি ঘটাইছে ।
আমার ছেলে জিল্লু রহমানের তাসনুবা ফার্মেসীতে চাকুরীতে থাকা কালিন অবস্থায় তার বাড়িতে প্রাইভেট পড়ানোর সময় জানতে ও শুনতে পায় জিল্লুু রহমানের ছোট ভাই বুলু আহমদ ব্রাজিল প্রবাসি ছিলো। তার ছোট ভাই বুলু আহমদ দেশে আসার পর হইতে বড় ভাই জিল্লু রহমানের কাছে বুলু আহমদের ব্রাজিল থেকে পাঠানো টাকা পয়সার হিসাব চাইলে বড় ভাই জিল্লু রহমান তার ছোট ভাই বুলু আহমদের পাঠানো টাকা পয়সার হিসাব দিতে না পারায় এবং জিল্লুু রহমান টাকা পয়সা অস্বীকার করায় তাদের মধ্যে চরম বিবাধ সৃষ্টি হয় এবং বড় ভাই জিল্লু রহমান ও ছোট ভাই বুলু আহমদের মধ্যে বিভিন্ন ঝগড়া বিবাদ চলছে। আমার ছেলে মাইনুল ইসলাম শুভ প্রায় সময় বাড়িতে আসিয়া তাদের পারিবারিক বিরোধের কথা আমাদের সাথে আলাপ করত। এক পর্যায়ে এক জন আরেক জনের মুখ দেখতে না পায়, সেজন্য তাদের একই ঘরের মধ্যে পাকা দেওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। এর পর ও এক জন আরেক জনের সাথে ঝগড়া লেগেই থাকতো ।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে মাইনুল ইসলাম শুভ মিথ্যা অপবাদে জেলে থাকায় আমি বা আমার পরিবার বর্তমানে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করিতেছি। আমাদের ধারণা তাদের ভাইয়ে ভাইয়ে পারিবারিক বিবোধ ও আমার ছেলের বিরোধ সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ নিয়ে তৃতীয় পক্ষ কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাইয়াছে। আমি মনে করি মাইনুল ইসলাম শুভ এর উপর জিল্লু রহমান সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ও গভীর ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসা মূলক ভাবে ঘটনার সাথে জড়াইয়াছে। তাছাড়া মাইনুল ইসলাম শুভ সিলেটস্থ শিবগঞ্জের ফাওযান ফার্মা ফার্মেসী কর্মরত থাকা অবস্থায় ফার্মেসীর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ গোলাপগঞ্জ মডেল থানার তদন্ত কারীর অফিসারে নিকট জমা দেওয়া হয়েছে। অথচ একজন লোক সিলেটের শিবগঞ্জ ফার্মেসী সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী ০৫ই জুন ২০২৫ইং রাত ১২টা ৫৭ মিনিট থাকা অবস্থায় হিসাব নিকাশ শেষ করে দোকান বন্ধ করে ভাদেশ্বর আসতে অত্যান্ত দেড় ঘন্টা বা কম বেশি সময় লাগবে এজহার অনুযায়ী জিল্লুু রহমানের উপর আক্রমনের সময় যদি সিলেটের শিবগঞ্জ ফার্মেসীতে কর্মরত থাকে, তাহলে কিভাবে ভাদেশ্বর এসে জিল্লুু রহমানকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে? সে প্রশ্নটা প্রশাসন, এলাকাবাসী, সাংবাদিক ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট রইলো। আপনাদের সুচিন্তিত মতামতে যদি আমার ছেলে নির্দোষ হয় তাহলে বিনা দোষে কেন আমার ছেলে জেলে। এবং মানুষিক, আর্থিক ও সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন হলাম আমি বা আমার পরিবারের সদস্যরা, এর দায়ভার কে নেবে ।
তিনি বলেন, সাংবাদিক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সঠিক ভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ট বিচারের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি তাহার নির্দোষ ছেলে মাইনুল ইসলাম শুভ সহ তার ভাইদের কে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহিত দেওয়ার জোর দাবি জানান মাইনুল ইসলাম শুভ’র মা মিনারা বেগম।


















