ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই শতাধিক পেঁপে গাছ নিধনের অভিযোগ Logo দাগনভূঞায় সেতু আছে, সড়ক নেই। জনভোগান্তি চরমে Logo বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে Logo নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক Logo দিনাজপুরে পুষ্টির সচেতনতামূলক বৃদ্ধিকরন নিয়ে কর্মশালা Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চালু হলো ৩ কেবিন  Logo পাথরঘাটায় প্রবাসী স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, ১৮ লাখ চাঁদা দাবি  Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন

মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৭৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। যেসব মুক্তিযোদ্ধা অন্য দলে গেছে সেটি বিবেচ্য নয়, তাদের সম্মান দিতে হবে। যে যে দলই করুক না কেন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান নিশ্চিত করতে হবে। লাখো শহীদের রক্তে কেনা বাংলাদেশ কখনও ব্যর্থ হবে না।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‌‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪-২৫’ এর নির্বাচিত ফেলোদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ফেলোশিপ চালু করলেও বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেটি বন্ধ করে দেয়। যারা ফেলোশিপ নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলো ২০০১ এ সরকার পরিবর্তনের কারণে বিএনপি ফেলোশিপ বন্ধ করে দিয়েছিলো। এতে অনেকে বিপদে পড়েছিলো। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিলো অন্ধকার সময়।

শেখ হাসিনা বলেন, ফেলোশিপকে ট্রাস্ট ফান্ড হিসেবে তৈরি করে দেয়া হবে, যাতে কেউ এসে সেটি বন্ধ করে দিতে না পারে। ফেলোশিপের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করা হবে। কারণ, যারা বিদেশে উন্নত শিক্ষার জন্য যাবে তাদের গবেষণা দেশের কাজে লাগবে।

তিনি বলেন, ফেলোশিপেরর মাধ্যমে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবেন, গবেষণা দেশের কাজে লাগাতে হবে। মনে রাখতে হবে, জনগণের টাকায় ফেলোশিপ। গবেষণার সুফল যেন জনগণ পায়, সেটি মাথায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি মেধাবী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার তাদের মেধাবিকাশের সুযোগ তৈরি করে দিতে চায়।

দেশের কোনো নাগরিক অবহেলিত থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায় যা যা প্রয়োজন সরকার তার সব করবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবেন। যারা উন্নত শিক্ষার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন তাদের দেশের দায়িত্ব নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। আমাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। যেসব মুক্তিযোদ্ধা অন্য দলে গেছে সেটি বিবেচ্য নয়, তাদের সম্মান দিতে হবে। যে যে দলই করুক না কেন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান নিশ্চিত করতে হবে। লাখো শহীদের রক্তে কেনা বাংলাদেশ কখনও ব্যর্থ হবে না।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‌‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪-২৫’ এর নির্বাচিত ফেলোদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ফেলোশিপ চালু করলেও বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেটি বন্ধ করে দেয়। যারা ফেলোশিপ নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলো ২০০১ এ সরকার পরিবর্তনের কারণে বিএনপি ফেলোশিপ বন্ধ করে দিয়েছিলো। এতে অনেকে বিপদে পড়েছিলো। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিলো অন্ধকার সময়।

শেখ হাসিনা বলেন, ফেলোশিপকে ট্রাস্ট ফান্ড হিসেবে তৈরি করে দেয়া হবে, যাতে কেউ এসে সেটি বন্ধ করে দিতে না পারে। ফেলোশিপের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করা হবে। কারণ, যারা বিদেশে উন্নত শিক্ষার জন্য যাবে তাদের গবেষণা দেশের কাজে লাগবে।

তিনি বলেন, ফেলোশিপেরর মাধ্যমে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবেন, গবেষণা দেশের কাজে লাগাতে হবে। মনে রাখতে হবে, জনগণের টাকায় ফেলোশিপ। গবেষণার সুফল যেন জনগণ পায়, সেটি মাথায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি মেধাবী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার তাদের মেধাবিকাশের সুযোগ তৈরি করে দিতে চায়।

দেশের কোনো নাগরিক অবহেলিত থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায় যা যা প্রয়োজন সরকার তার সব করবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবেন। যারা উন্নত শিক্ষার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন তাদের দেশের দায়িত্ব নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। আমাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।