মোংলাকে শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা

- আপডেট সময় : ১৩ বার পড়া হয়েছে
দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলাকে আমদানি নির্ভর সমুদ্র বন্দর বলা হলেও পদ্মা সেতু চালুর পর এ বন্দর দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছে দেশীয় তৈরী পোষাক, মেশিনারিজ মালামাল, খেলনা সামগ্রীসহ আরো বিভিন্ন ধরনের পণ্য। চট্রগ্রামের মত মোংলা বন্দরকে শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সময়মত বন্দরের জেটিতে জাহাজ আগমন, কন্টেইনার ভাড়া কমানো, মোংলা- খুলনা মহাসড়কর চার লেনে উন্নীত করনের পাশাপাশি বন্দরের ট্যারিফ চার্জ আরো কমানো হলে মোংলা বন্দর দ্রুত গতিতে একটি রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট আমদানি-রপ্তানিকারকরা জানান, মোংলা বন্দরে পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষের হয়রানি। এ বন্দরে পণ্য আনার পর সেই পণ্য শতভাগ কায়িক পরিক্ষার নামে অনেক পণ্যের বাক্স নষ্ট করা হয়। পরবর্তীতে সেই পণ্য আর ডেলিভারী করা সম্ভব হয় না। এতে ক্ষতি হয় আমদানি রপ্তানিকারকদের। এজন্য মোংলা বন্দর ব্যবহারে কেউ আগ্রহী হয় না। পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রণীত নীতিমালা আরো সহজ করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
বন্দর ব্যবহারকারী ও শিপিং এজেন্টদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বন্দরে বিদেশি জাহাজের আগমন বাড়াতে পারলে এখান থেকে শতভাগ পণ্য রপ্তানি করা যেতে পারে বিশেষ করে এক মাসে ১০টি কন্টেইনার জাহাজ এবং অন্যান্য মেশিনারিজ জাহাজ বন্দরে আসলে শতভাগ না হলেও মোংলা ইপিজেডসহ অন্যান্য কারখানায় উৎপাদিত ৭০ ভাগ পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা বন্দর দিয়ে ৩০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। বিশেষ করে তৈরী পোষাক এখন এই বন্দর দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি করা হয়।
বন্দরের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, পশুর চ্যানেলের ড্রেজিং শেষ হলে বড় জাহাজগুলো জেটিতে ভিড়তে পারবে। তখন আমাদের বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি আরো বাড়বে। পাশাপাশি মোংলা-খুলনা মহাসড়কের চার লেনের কাজ সমাপ্ত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি ফিরবে। তখন চট্রগ্রামের বিকল্প হিসেবে মোংলা বন্দর দিয়েই শতভাগ পণ্য রপ্তানি করতে পারবে ব্যবসায়ীরা।