ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মোংলায় উপজেলা নির্বাচনে অন্তত ১০জন বিতর্কিত প্রিজাইডিং অফিসার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪ ২৬৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে একতরফা করতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্রিজাইডিং ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপন করেন প্রতিদ্বন্দ্বি এক প্রার্থী।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (আনারস প্রতীক)। অভিযোগে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নির্দেশ দিলেও বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

কারণ মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিংড়ি প্রতীকের আবু তাহের হাওলাদারের সহিত শখ্যতার মাধ্যমে তার মনোনীত প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন। যাদের অন্তত ১০জন বিতর্কিত প্রিজাইডিং অফিসার রয়েছেন।

তারা হলেন, বিশ্বজিৎ মন্ডল, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, পুষ্পজিৎ মন্ডল, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, বাগেরহাট, আ, ই, শ, ম বাকী বিল্লাহ, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, শেখ আনোয়ার হোসেন, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মো. কামাল উদ্দিন, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মনোজ কান্তি বিশ্বাস, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মো. জাফর রানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার, মিলন ফকির, সহকারী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মোংলা উপ-বিভাগ, গুরুদাস বিশ্বাস, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সোহান আহম্মেদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা সকলেই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চিংড়ি মাছ প্রতীকের নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এসব কর্মকর্তাদের দিয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন একতরফা নির্বাচনের নকশা তৈরী করছেন।

সাবেক মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সরোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মোংলা সরকারি কলেজ ও বঙ্গবন্ধু মহিলা সরকারি কলেজর প্রভাষকগণ সরাসরি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনের সাথে জড়িত। তাই উক্ত নির্বাচনে উক্ত কলেজ দুটি’র প্রভাষকগণকে নির্বাচনি দায়িত্ব দিলে তারা পক্ষপাতিত্ব মূলক নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবেন।

অভিযোগে বলা হয়, মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ৬ মাস পূর্বে মোংলা হতে বদলির আদেশ প্রাপ্ত হন। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে কারচুপি করার পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু তাহের হাওলাদার উপর মহলে তদবীর করে উক্ত নির্বাচন কর্মকর্তাকে মোংলাতে বহাল রেখেছেন।

যে কারণে উক্ত নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন সর্বাত্মকভাবে আবু তাহের হাওলাদারের পক্ষপাতিত্ব করবেন এটাই স্বাভাবিক। এ অবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সিইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মোংলায় উপজেলা নির্বাচনে অন্তত ১০জন বিতর্কিত প্রিজাইডিং অফিসার

আপডেট সময় : ০৫:৪০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে একতরফা করতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্রিজাইডিং ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপন করেন প্রতিদ্বন্দ্বি এক প্রার্থী।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (আনারস প্রতীক)। অভিযোগে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নির্দেশ দিলেও বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

কারণ মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিংড়ি প্রতীকের আবু তাহের হাওলাদারের সহিত শখ্যতার মাধ্যমে তার মনোনীত প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন। যাদের অন্তত ১০জন বিতর্কিত প্রিজাইডিং অফিসার রয়েছেন।

তারা হলেন, বিশ্বজিৎ মন্ডল, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, পুষ্পজিৎ মন্ডল, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, বাগেরহাট, আ, ই, শ, ম বাকী বিল্লাহ, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, শেখ আনোয়ার হোসেন, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মো. কামাল উদ্দিন, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মনোজ কান্তি বিশ্বাস, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মো. জাফর রানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার, মিলন ফকির, সহকারী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মোংলা উপ-বিভাগ, গুরুদাস বিশ্বাস, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সোহান আহম্মেদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা সকলেই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চিংড়ি মাছ প্রতীকের নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এসব কর্মকর্তাদের দিয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন একতরফা নির্বাচনের নকশা তৈরী করছেন।

সাবেক মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সরোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মোংলা সরকারি কলেজ ও বঙ্গবন্ধু মহিলা সরকারি কলেজর প্রভাষকগণ সরাসরি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনের সাথে জড়িত। তাই উক্ত নির্বাচনে উক্ত কলেজ দুটি’র প্রভাষকগণকে নির্বাচনি দায়িত্ব দিলে তারা পক্ষপাতিত্ব মূলক নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবেন।

অভিযোগে বলা হয়, মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ৬ মাস পূর্বে মোংলা হতে বদলির আদেশ প্রাপ্ত হন। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে কারচুপি করার পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু তাহের হাওলাদার উপর মহলে তদবীর করে উক্ত নির্বাচন কর্মকর্তাকে মোংলাতে বহাল রেখেছেন।

যে কারণে উক্ত নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন সর্বাত্মকভাবে আবু তাহের হাওলাদারের পক্ষপাতিত্ব করবেন এটাই স্বাভাবিক। এ অবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সিইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।