মোংলা বন্দরে বছরে ১৫০০ বিদেশি জাহাজ আনার টার্গেট
- আপডেট সময় : ২৬ বার পড়া হয়েছে
দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলার মোট সক্ষমতার ৬০ শতাংশ ব্যবহৃত হলেও বন্দরটির পুরো সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে ইতিমধ্যে কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় বন্দরটির ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যাহত থাকায় আমদানি রপ্তানিও বেড়েছে। বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে যাওয়ায় মোংলা বন্দরের আমদানি রপ্তানিতে যোগ হয়েছে নতুনমাত্রা । এ বন্দরের যে সক্ষমতা রয়েছে সেটিকে শতভাগ কাজে লাগানো গেলে বন্দরের বার্ষিক রাজস্ব আয় হবে দ্বিগুন। অন্যদিকে মোংলা কাস্টমসের রাজস্ব আয় অনেক বেড়ে যাবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বাড়াতে এবং এ বন্দরকে বিশ্বমানের সমুদ্র বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে যার একটি শেষ হয়েছে বাকী ৪টি চলমান রয়েছে। এ চার প্রকল্পের কাজ দ্রুতই শেষ হবে।
সমাপ্ত হওয়া প্রকল্পটি হল ‘আধুনিক বর্জ্য ও তেল নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পটি চলতি বছরের জুনে সম্পন্ন করেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে জাহাজ ও আশপাশের শিল্পকারখানাগুলোর বর্জ্য পরিবেশবান্ধব উপায়ে সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা করা হবে। অন্য চার প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে জরুরি সেবা ও কার্যকর পরিচালনার জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ, পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ৮.৫ মিটার গভীরতা অর্জনের লক্ষ্যে ড্রেজিং করা যাতে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজগুলো ওই চ্যানেল দিয়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারে। এছাড়াও রয়েছে আধুনিক কনটেইনার শেড নির্মাণ এবং দুটি অসমাপ্ত জেটি নির্মাণ।
বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, মোংলা বন্দর ব্যবহারে ব্যবসায়ীরা ভালো সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। এখানে কোনো জাহাজ জট নেই। কম খরচে অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীরা আমদানি রপ্তানি করা পণ্য সহজেই আনা নেয়া করতে পারছে। মোংলা বন্দর রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে কাছের বন্দর হওয়ায় এখানে খরচ তুলনামূলক কম। তিনি আরো বলেন, মোংলা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে দেশের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম আরও গতিশীল হচ্ছে পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও এ বন্দরের ইতিবাচক প্রভাব বাড়ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, বন্দরের শতভাগ সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে ইতিমধ্যে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে বাকীগুলো চলমান রয়েছে। প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে বছরে ১৫০০ বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন, ২০ হাজার গাড়ি আমদানি, ১ লাখ টিইউজ কন্টেইনার এবং ১৫ কোটি মেট্রিকটন কার্গো হ্যান্ডলিং সম্ভব হবে। রাজস্ব আয় দ্বিগুন হবে। তিনি আরো বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে মোংলা বন্দরের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দর দিয়ে নেপাল, ভুটান, চীন ও ভারতের পণ্য আমদানি রপ্তানি হয়। প্রতিবেশী দেশগুলোর আগ্রহের কারণে বন্দরের ওপর চাপ বাড়ছে। ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে এ বন্দরের পরিধি আরো বাড়ানো হবে।



















