ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

মোংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের

মনির হোসেন, মোংলা
  • আপডেট সময় : ৫২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কন্টেইনার অপারেটিং সিস্টেমের আধুনিকায়নের কারনে মোংলা বন্দর দিয়ে ধারাবাহিকভাবে পণ্য আমদানি রপ্তানি বেড়েছে। বন্দরে অটোমেশন সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে তৈরী পোষাক এখন মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদিত পোষাক স্বল্প খরচে কম সময়ের মধ্যে মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি করতে পারছে গার্মেন্টস
শিল্পের ব্যবসায়ীরা। বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত মোট পোশাকের মধ্যে ২০ শতাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি করা হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, এ সাফল্যের পিছনে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বন্দর ব্যবহারকারীদের সময়মতো কনটেইনার ডেলিভারি গ্রহণ ও নিয়মিত যোগাযোগ বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমকে আরো কর্মমূখর রাখতে সহায়তা করছে।
মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ৪০ শতাংশ পোষাক রপ্তানির জন্য ইতিমধ্যে সংস্থাটির চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান এর সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছেন বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ পোষাক শিল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও গার্মেন্টস শিল্পের রপ্তানিকারকদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলেও জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনংযোগ) মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমান ছিল ৯৮০৪ টিইউজ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২১ হাজার ৪৫৬ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল। সে তুলনায় এ বছর পোষাক রপ্তানির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের আমদানি রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান গতি অব্যাহত থাকলে ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন মাইলফলকে পৌঁছাবে মোংলা বন্দর।
পোষাক শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকরা এ প্রতিবেদককে বলেন, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক খাতের দাপুটে অবস্থান রয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিলে আমরা এ বন্দর ব্যবহার করেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পোষাক রপ্তানি করতে পারবো। মোংলা বন্দর ব্যবহারের বিষয়টিকে আমরা সবসময় ইতিবাচক হিসেবে দেখি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মোংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের

আপডেট সময় :

কন্টেইনার অপারেটিং সিস্টেমের আধুনিকায়নের কারনে মোংলা বন্দর দিয়ে ধারাবাহিকভাবে পণ্য আমদানি রপ্তানি বেড়েছে। বন্দরে অটোমেশন সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে তৈরী পোষাক এখন মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদিত পোষাক স্বল্প খরচে কম সময়ের মধ্যে মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি করতে পারছে গার্মেন্টস
শিল্পের ব্যবসায়ীরা। বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত মোট পোশাকের মধ্যে ২০ শতাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি করা হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, এ সাফল্যের পিছনে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বন্দর ব্যবহারকারীদের সময়মতো কনটেইনার ডেলিভারি গ্রহণ ও নিয়মিত যোগাযোগ বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমকে আরো কর্মমূখর রাখতে সহায়তা করছে।
মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ৪০ শতাংশ পোষাক রপ্তানির জন্য ইতিমধ্যে সংস্থাটির চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান এর সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছেন বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ পোষাক শিল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও গার্মেন্টস শিল্পের রপ্তানিকারকদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলেও জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনংযোগ) মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমান ছিল ৯৮০৪ টিইউজ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২১ হাজার ৪৫৬ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল। সে তুলনায় এ বছর পোষাক রপ্তানির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের আমদানি রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান গতি অব্যাহত থাকলে ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন মাইলফলকে পৌঁছাবে মোংলা বন্দর।
পোষাক শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকরা এ প্রতিবেদককে বলেন, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক খাতের দাপুটে অবস্থান রয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিলে আমরা এ বন্দর ব্যবহার করেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পোষাক রপ্তানি করতে পারবো। মোংলা বন্দর ব্যবহারের বিষয়টিকে আমরা সবসময় ইতিবাচক হিসেবে দেখি।