ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক ৩ সদস্য তদন্ত কমিটি

মোরেলগঞ্জে শাফায়েত হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অভিক্ষোভ মিছিল

নকীব মিজানুর রহমান,  বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শাফায়েত তালুকদার (৩০) নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এ ঘটনার নেতৃত্বদানকারি থানার এ,এস,আই পিন্টু  চন্দ্রের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮মে) বিকেল  দিকে জিউধরা বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নিহত শাফায়েত তালুকদারের পিতা, মাতা, বিধাব স্ত্রী ও দুই বোনসহ শতশত নারী পুরুষ, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসি অংশ গ্রহন করেন।

মানববন্ধনে নিহত শাফায়েত তালুকদারের পিতা ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, ‘থানার এ,এস,আই পিন্টু চন্দ্র পূর্ব শত্রুতার কারনে পরিকল্পিতভাবে আর ও কয়েকজন পুলিশ সদসস্যের সহযোগীতায় শাফায়েতকে নির্দয়ভাবে পিটয়ে হত্যা করেছে। শাফায়েতের শরীরে জলন্ত সিগারেটের ছ্যাকাও দিয়েছে। অথচ শাফায়েতের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অভিযোগ তাদের কাছে নেই’। অথচ নিরাপরাধ শাফায়েতকে কেনো পিটিয়ে মারা হয়েছে এমন প্রশ্ন পরিবারের স্বজনদের।

নির্মম নিযার্তন করে ঘটনাস্থলে শাফায়েত মারা যায়। পরে লাশ গাড়িতে তুলে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে এ, এস,আই পিন্টু ও তার সহযোগীরা গা ঢাকা দেয় বলেও নিহতের পিতা ফারুক হোসেন তালুকদার উল্লেখ করেন। এ সময়  এ, এস,আই পিন্টুর ফাঁসির দাবি করেন তিনি। মানববন্ধনে শেষে নিহত শাফায়েতের মা সাফিয়া বেগম, স্ত্রী রোজি বেগম, বোন মারজিয়া, স্কুল শিক্ষক চাচা শাহজাহান হাওলাদার ও হিরা আক্তারসহ সকলে এ, এস আই পিন্টুর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার জিউধরা গ্রামে একজন ওয়ারেন্টি আসামীকে আটকের জন্য এ,এস আই পিন্টুর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। ওই অভিযানে জিউধরা গ্রামের ফারুক হোসেন তালুকদারের ছেলে শাফায়েত আটক হবার পরে পুলিশের মারপিটে মারা যায় ও গুরুতর আহত অবস্থায়, আরো তিন জন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(২৫০শয্য) চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর থেকে এ, এস আই পিন্টুকে মোরেলগঞ্জ থানায় আর দেখা যায়নি। তাকে শাস্তিমূলক বদলীর আদেশে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবং নিহত শাফায়েতের পরিবার এখনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক ৩ সদস্য তদন্ত কমিটি

মোরেলগঞ্জে শাফায়েত হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অভিক্ষোভ মিছিল

আপডেট সময় : ১২:৪৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শাফায়েত তালুকদার (৩০) নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এ ঘটনার নেতৃত্বদানকারি থানার এ,এস,আই পিন্টু  চন্দ্রের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮মে) বিকেল  দিকে জিউধরা বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নিহত শাফায়েত তালুকদারের পিতা, মাতা, বিধাব স্ত্রী ও দুই বোনসহ শতশত নারী পুরুষ, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসি অংশ গ্রহন করেন।

মানববন্ধনে নিহত শাফায়েত তালুকদারের পিতা ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, ‘থানার এ,এস,আই পিন্টু চন্দ্র পূর্ব শত্রুতার কারনে পরিকল্পিতভাবে আর ও কয়েকজন পুলিশ সদসস্যের সহযোগীতায় শাফায়েতকে নির্দয়ভাবে পিটয়ে হত্যা করেছে। শাফায়েতের শরীরে জলন্ত সিগারেটের ছ্যাকাও দিয়েছে। অথচ শাফায়েতের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অভিযোগ তাদের কাছে নেই’। অথচ নিরাপরাধ শাফায়েতকে কেনো পিটিয়ে মারা হয়েছে এমন প্রশ্ন পরিবারের স্বজনদের।

নির্মম নিযার্তন করে ঘটনাস্থলে শাফায়েত মারা যায়। পরে লাশ গাড়িতে তুলে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে এ, এস,আই পিন্টু ও তার সহযোগীরা গা ঢাকা দেয় বলেও নিহতের পিতা ফারুক হোসেন তালুকদার উল্লেখ করেন। এ সময়  এ, এস,আই পিন্টুর ফাঁসির দাবি করেন তিনি। মানববন্ধনে শেষে নিহত শাফায়েতের মা সাফিয়া বেগম, স্ত্রী রোজি বেগম, বোন মারজিয়া, স্কুল শিক্ষক চাচা শাহজাহান হাওলাদার ও হিরা আক্তারসহ সকলে এ, এস আই পিন্টুর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার জিউধরা গ্রামে একজন ওয়ারেন্টি আসামীকে আটকের জন্য এ,এস আই পিন্টুর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। ওই অভিযানে জিউধরা গ্রামের ফারুক হোসেন তালুকদারের ছেলে শাফায়েত আটক হবার পরে পুলিশের মারপিটে মারা যায় ও গুরুতর আহত অবস্থায়, আরো তিন জন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(২৫০শয্য) চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর থেকে এ, এস আই পিন্টুকে মোরেলগঞ্জ থানায় আর দেখা যায়নি। তাকে শাস্তিমূলক বদলীর আদেশে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবং নিহত শাফায়েতের পরিবার এখনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।