মৌলভীবাজারে আইনজীবি খুন, শহরে বিক্ষোভ মিছিল : আদালত বর্জন
- আপডেট সময় : ১৮৮ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র চত্বরের সম্মুখে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা চঁপটি ও ফুসকার দোকানে কিশোরগ্যাং এর চুরিকাঘাতে নিহত তরুন আইনজীবি সুজন মিয়া (৩২) নিহত এর ঘটনায় কোর্ট বর্জন করে মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবি সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ৭ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে জেলা বারের সামন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা বারের সামনে গিয়ে সমাপ্তি হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মো: মুজিবুরর রহমান, এড. শান্তিপদ ঘোষ, এড. মামুনুর রশিদ, এড. আব্দুল মতিন চৌধুরী, এড. বকসী জুবায়ের আহমেদ, এড, রমাকান্ত দাশ গুপ্ত, এড মাহবুবুর রহমান শামীম, এড. নিয়ামুল হক প্রমুখ। সহকর্মীর মৃত্যুতে বক্তারা বলেন- অবিলম্বে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুজন হত্যাকারীদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।
না হলে আমরা আরো কটুর আন্দোলনে ঘোষনা করবো। গত ৬ এপ্রিল রোববার রাত সাড়ে ১০টার পর মেয়র চত্তরের উত্তর পাশে ফুটপাতে একটি ফুসকার দোকানে বসে আইনজীবী সুজনসহ ৪ বন্ধু মিলে ফুসকা খাচ্ছিলেন। এ সময় ৭ থেকে ৮ জন কিশোর এসে আইনজীবী সুজন মিয়ার পাশে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে একজন ছুরিকাঘাত করে একত্রে পালিয়ে যায়। পরে তার সাথে থাকা লোকজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা ছুটে যান হাসপাতালে। তিনি শহরতলীর পূর্ব হিলালপুর ( খিদুর) এলাকার জহিরুল ইসলামের পুত্র। নিহত আইনজীবী সুজন মিয়া পৈত্রিক বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের ধুবলাপাড়া এলাকায়। মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মিনহাজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। হত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি, আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।




















