ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

চিনু রঞ্জন তালুকদার, মৌলভীবাজার
  • আপডেট সময় : ১৫১ বার পড়া হয়েছে

oplus_0

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পূর্ব বিরোধের জের ধরে হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৬ মে দুপুরে। আসামী জিলাল মিয়াগংদের সাথে যোগাযোগীমূলে অবৈধ ভাবে বিপুল পরিমান টাকার বিনিময়ে আমার স্বামীর চিকিৎসা সংক্রান্ত জখমী সনদপত্রে ভোঁতা অস্ত্রে সাধারণ আঘাত প্রাপ্ত জখম উল্লেখ সত্যের বিপরীতে মিথ্যা রিপোট প্রদান করায় উক্ত মামলার বিচারকার্য ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার সমুহ আশংকা দেখা দেয়ায়, পুনরায় সঠিক ভাবে চিকিৎসা সংক্রান্ত জখমী সনদপত্র প্রদান ও মামলাটি অধিকতর তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম।

 

লিখিত বক্তব্য তিনি জানান- গত ০১/০৭/২০২৩ইং, দুপুর অনুমান ২ ঘটিকার দিকে জিলাল মিয়াগংরা আমার স্বামী সুরুজ মিয়া-কে ধারালো দা দিয়ে মাথায় ছেদ মেরে গুরুতর আঘাত করে। হত্যার উদ্যেশে নাভিতে ও পেটের ডান পাশে বারি মারে। যাতে ৫টি সেলাই লাগে। তয়াহিদ মিয়া লোহার রড দিয়ে বারি মেরে বাম চোখের উপরে মারান্তক রক্ত জমাট আঘাত করে। তাদের সহযোগীরা কিল, ঘুষি, লাথি মেরে শরীরের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে লীলা-ফুলা জখম করে। এ সময় হাল্লা চিৎকার শুনে স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন চলে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকে ও মারধর করেন। এ সময় প্রতিবেশী গুরুতর জখমী অবস্থায় উদ্ধার করে  ১ম কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে (০১/০৭/২০২৩ইং তারিখ হইতে ০২/০৭/২০২৩ই) ভর্তি করেন। গোপালনগর হাসপাতালে মরনাপন্ন অবস্থায় তার মাথায় ৫টি সেলাই প্রদান করেন। চিকিৎসা গ্রহন করার পরও সুস্থ না হওয়ার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরের নুরজাহান (প্রাঃ) হাসপাতাল, মৌলভীবাজার বিগত ০২/০৭/২০২৩ইং, চিকিৎসা করানো হয়। এ ঘটনায় একই এলাকার মৃত : আব্দুন নুর মিয়া এর পুত্র জিলাল মিয়া (৫৫), জিলাল মিয়ার পুত্র তয়াহিদ মিয়া (৩৫) , শাহিদ মিয়া (৩০), এবং জিলাল মিয়ার স্ত্রী রুশনা বেগম (৪০) গংদের আসামী করে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, ৩নং আমলী আদালতে মামলা (সিআর মামলা নং- ৩৭৭/২০২৩ইং (কমলগঞ্জ) দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), মৌলভীবাজার-কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা, বিপি-৯১১৭১৯৮৭৩০, সাব-ইন্সপেক্টর (নিঃ) শরীফ উদ্দিন, গত ২৯/১১/২০২৩ইং, বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন (স্বারক নং- পিবিআই/মৌলভীবাজার জেলা/২২৫৫, তারিখ : ২৯/১১/২০২৩ইং) প্রেরণ করেন।

তিনি অভিযোগের পর্যালোচনা ও উক্ত প্রতিবেদনে আংশিক সত্যতা উল্লেখ করেন, এবং ভোঁতা অস্ত্রে সাধারণ আঘাত প্রাপ্ত জখম উল্লেখ করেন। মামলার বাদী সুরুজ মিয়া উক্ত তদন্ত প্রতিবেদন এর বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য, গত ২৯/০১/২০২৪ইং, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, মৌলভীবাজার-কে নির্দেশ প্রদান করেন। প্রভাবশালী তয়াহিদ মিয়া গংদের বিভিন্ন লোকজন দিয়ে হয়রানী ও ভয়ভীতি, হুমকি-ধামকির কারনে তার স্বামী সুরুজ মিয়াসহ পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সুরুজ মিয়া, আব্দুল বারিক, মো: শহিদ মিয়া প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় :

পূর্ব বিরোধের জের ধরে হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৬ মে দুপুরে। আসামী জিলাল মিয়াগংদের সাথে যোগাযোগীমূলে অবৈধ ভাবে বিপুল পরিমান টাকার বিনিময়ে আমার স্বামীর চিকিৎসা সংক্রান্ত জখমী সনদপত্রে ভোঁতা অস্ত্রে সাধারণ আঘাত প্রাপ্ত জখম উল্লেখ সত্যের বিপরীতে মিথ্যা রিপোট প্রদান করায় উক্ত মামলার বিচারকার্য ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার সমুহ আশংকা দেখা দেয়ায়, পুনরায় সঠিক ভাবে চিকিৎসা সংক্রান্ত জখমী সনদপত্র প্রদান ও মামলাটি অধিকতর তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম।

 

লিখিত বক্তব্য তিনি জানান- গত ০১/০৭/২০২৩ইং, দুপুর অনুমান ২ ঘটিকার দিকে জিলাল মিয়াগংরা আমার স্বামী সুরুজ মিয়া-কে ধারালো দা দিয়ে মাথায় ছেদ মেরে গুরুতর আঘাত করে। হত্যার উদ্যেশে নাভিতে ও পেটের ডান পাশে বারি মারে। যাতে ৫টি সেলাই লাগে। তয়াহিদ মিয়া লোহার রড দিয়ে বারি মেরে বাম চোখের উপরে মারান্তক রক্ত জমাট আঘাত করে। তাদের সহযোগীরা কিল, ঘুষি, লাথি মেরে শরীরের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে লীলা-ফুলা জখম করে। এ সময় হাল্লা চিৎকার শুনে স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন চলে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকে ও মারধর করেন। এ সময় প্রতিবেশী গুরুতর জখমী অবস্থায় উদ্ধার করে  ১ম কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে (০১/০৭/২০২৩ইং তারিখ হইতে ০২/০৭/২০২৩ই) ভর্তি করেন। গোপালনগর হাসপাতালে মরনাপন্ন অবস্থায় তার মাথায় ৫টি সেলাই প্রদান করেন। চিকিৎসা গ্রহন করার পরও সুস্থ না হওয়ার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরের নুরজাহান (প্রাঃ) হাসপাতাল, মৌলভীবাজার বিগত ০২/০৭/২০২৩ইং, চিকিৎসা করানো হয়। এ ঘটনায় একই এলাকার মৃত : আব্দুন নুর মিয়া এর পুত্র জিলাল মিয়া (৫৫), জিলাল মিয়ার পুত্র তয়াহিদ মিয়া (৩৫) , শাহিদ মিয়া (৩০), এবং জিলাল মিয়ার স্ত্রী রুশনা বেগম (৪০) গংদের আসামী করে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, ৩নং আমলী আদালতে মামলা (সিআর মামলা নং- ৩৭৭/২০২৩ইং (কমলগঞ্জ) দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), মৌলভীবাজার-কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা, বিপি-৯১১৭১৯৮৭৩০, সাব-ইন্সপেক্টর (নিঃ) শরীফ উদ্দিন, গত ২৯/১১/২০২৩ইং, বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন (স্বারক নং- পিবিআই/মৌলভীবাজার জেলা/২২৫৫, তারিখ : ২৯/১১/২০২৩ইং) প্রেরণ করেন।

তিনি অভিযোগের পর্যালোচনা ও উক্ত প্রতিবেদনে আংশিক সত্যতা উল্লেখ করেন, এবং ভোঁতা অস্ত্রে সাধারণ আঘাত প্রাপ্ত জখম উল্লেখ করেন। মামলার বাদী সুরুজ মিয়া উক্ত তদন্ত প্রতিবেদন এর বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য, গত ২৯/০১/২০২৪ইং, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, মৌলভীবাজার-কে নির্দেশ প্রদান করেন। প্রভাবশালী তয়াহিদ মিয়া গংদের বিভিন্ন লোকজন দিয়ে হয়রানী ও ভয়ভীতি, হুমকি-ধামকির কারনে তার স্বামী সুরুজ মিয়াসহ পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সুরুজ মিয়া, আব্দুল বারিক, মো: শহিদ মিয়া প্রমুখ।