কটিয়াদীতে ৫ ডাক্তার দিয়ে চলছে ১০০ শয্যার হাসপাতাল
যন্ত্রপাতি অকেজো, রোগীদের চরম ভোগান্তি

- আপডেট সময় : ৬৩ বার পড়া হয়েছে
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০০ শয্যার অবকাঠামো থাকলেও চিকিৎসা সেবা চলছে মাত্র ৫ জন ডাক্তার দিয়ে। ডাক্তার ও জনবল সংকটের কারণে প্রতিদিন শত শত রোগীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত হলেও এখনো মেলেনি প্রশাসনিক অনুমোদন। নতুন চারতলা ও সাততলা ভবন নির্মাণ শেষ হলেও মূল ফটকে ঝুলছে তালা। কোটি টাকার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি মাসের পর মাস অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। ব্যবহার শুরু না হলে এগুলো অকেজো হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ৫০ শয্যার সীমিত কাঠামোতেই চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম, তাও আবার জনবল সংকটে। স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনিক অনুমোদন ও পর্যাপ্ত ডাক্তার নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৭-৮ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় অনেকে বারান্দা বা ফ্লোরে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন। ডাক্তার সংকটের কারণে সরকারি হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে অধিকাংশ রোগীকে যেতে হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকে। এতে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
হাসপাতালে রয়েছে অপারেশন থিয়েটার, আধুনিক ল্যাব, এক্স-রে, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন, অক্সিজেন প্লান্ট ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা। কিন্তু টেকনিশিয়ান ও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় এসব যন্ত্রপাতি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক পদ রয়েছে ৩১টি। এর মধ্যে মাত্র ১১ জন পদায়িত আছেন, কিন্তু ৬ জন কর্মরত রয়েছেন ঢাকায় ডেপুটেশনে। ফলে কার্যত মাত্র ৫ জন চিকিৎসকের ওপরই চাপ পড়ছে পুরো উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা। টিকেট কাউন্টারের অব্যবস্থাপনায় নারী-পুরুষ ঠেলাঠেলি করে টিকেট নিতে বাধ্য হন। এতে প্রায়ই ঘটে চুরি ও নানা অপ্রীতিকর ঘটনা।
চিকিৎসা নিতে আসা শাহানা আক্তার জানান, হাসপালে বড় বড় বিল্ডিং অইছে, কিন্তু ডাক্তার নাই। লম্বা লাইনে দাঁড়ায়া টিকেট নিতে হয়, আবার বাইরের ক্লিনিকে পরীক্ষা করন লাগে। কিছু ওষুধ পায়, বাকিটা কিনতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ শাহরিয়ার অনীক বলেন, দৈনিক ৭-৮ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। জনবল সংকটের কারণে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। টেকনিশিয়ান না থাকায় কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে যাচ্ছে।