রক্তের জন্য হাহাকার

- আপডেট সময় : ৬৬ বার পড়া হয়েছে
বার্ন হাসপাতালে অভিভাবকদের আহাজারি
ঢাকা মেডিকেল জাতীয় বার্ন প্লাষ্টিক সার্জরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন উত্তরার মাইলষ্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ৬০ জন শিক্ষার্থী। এদের সিংহভাগই শিশু ও কিশোর। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এদের প্রত্যেকের শরীরের ২৮ শতাংশ থেকে শুরু কওে ৯৮ শতাংশ পুড়ে ঝলসে গেছে। পাশাপাশি অনেকের শ্বাসনালীও পুড়েছে। এদেরকে ইনটেনসিফ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। কিছু রোগী সিসিউইতে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের বেঁচে থাকার বিষয়টি আল্লাহর উপঁর ছেড়ে দিয়েছে চিকিৎসকরা।
এবিষয়ে বার্ন ইউনটের সার্জন আইউব হোসেন বলেছেন, তাদের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় জরুরী প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। কিন্তু হঠাৎ করে এতো রক্ত সংগ্রহ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঢাকা মেডিকেল ব্লাডব্যাংক, সন্ধানী, বাঁধন, কোয়ান্টাম এলিফেন্ট রোডের রিদম ব্লাড ব্যাংকে রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে। দগ্ধ চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের অভিভাকরা সন্তানকে বাঁচাতে রক্ত সংগ্রহে হন্য হয়ে ঘুরছেন। আর হাসপাতালে আহাজারি করছেন। পাশাপাশি নিহত শিক্ষাথীদের অভিভাবকদের চিৎকারে বার্ন ইউনিটের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৬০ জনের মতো দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ছাড়াও উত্তরার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন। রাজধানীর অধিকাংশ ব্লাড ব্যাংকে রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার শাওন বিন রহমান বলেন, উত্তরায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে নারী শিশুসহ অন্তত ৬০ জন জরুরি বিভাগে এসেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও বলেন, এখনো বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় রোগী আমাদের এখানে আসছে।
মাইলস্টোন কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) বুলবুল আহমেদ বলেন, ঘটনার সময় আমাদের প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণির ক্লাস চলছিল। বিকট শব্দে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়ে, শিক্ষকরা দ্রুত তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপর হন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করি।’ তবে হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য তিনি জানাতে পারেননি তিনি।