ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীতে ভূয়া সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদার টাকা নিতে এসে চক্রের সদস্য গ্রেফতার, থানায় মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
  • রাজধানীতে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি: প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার, বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা

সারাদেশে শিক্ষিত বেকারদের বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী ফ্রিলান্সিং ও আউটসোসিং প্রতিষ্ঠান ই–লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড–এ সাংবাদিক পরিচয়ে দাবী করা ২০ লক্ষ টাকা আনতে গিয়ে চাঁদাবাজি চক্রের অন্যতম সদস্য জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
গত ৮ ডিসেম্বর সোমবার রাজধানীর কল্যাণপুরে ই–লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড এ একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন মোবাইল থেকে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন করে চাঁদা দাবি ও হুমকি প্রদর্শন করে। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং সেখান থেকে প্রতি মাসে তাদেরকে টাকা (চাঁদা) দিতে হবে—অন্যথায় মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করবে।
এমন ঘটনায় ওই চাদাঁবাজী চক্রের সদস্যদের সাথে প্রতিষ্ঠানটি কৌশলগতভাবে চক্রের একজন সদস্যকে “সেটেলমেন্ট আলোচনার” নাম করে অফিসে আমন্ত্রণ জানায়। সেই সূত্র ধরে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আলোচনার জন্য অফিসে উপস্থিত হলে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং তাকে ঘটনাস্থলেই গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্রের ওই সদস্য স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, নিজেদের বানানো ফেইসবুক পেইজ ও অনুমোদনহীন অন লাইন ওয়েব সাইট বানিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানী এবং সরকারী কর্মকর্তাদের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় তারা। এঘটনায় আরো কিছু আন্ডারগ্রাউন পত্রিকার সাংবাদিক জড়িত আছে। প্রথমে তারা আওয়ামীলীগের ট্যাগ ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের দমন কাজে জড়িত আছে বলে হুমকি দেয়, পরে আপোষের প্রস্তাব দিলে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রিত জায়গায় নিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।
গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে, একই চক্রের কয়েকজন সদস্য ই–লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড–এর অফিসে এসে পুনরায় ২০ লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবি করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এঘটনায় ওই আটককৃত চক্রের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের তথ্যমতে জড়িতদের নামে দারুস সালাম থানায় ৮ জনের নাম উল্ল্যেখ করে আরো অজ্ঞাত নাম রেখে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হিসাব রক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম। এই চক্রের পলাতক বাকী সদস্যরা হলেন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ মেছ মাউল আলম মোহন, খাদিজা আক্তার পূর্ণী, এস এম মোরশেদ, আব্দুর রহমান সজীব, রূপক, মীর আনিস।
এ বিষয় দারুসসালাম থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, ঘটনার সত্যতা ও আটককৃত আসামীর স্বীকারোক্তিতে সত্যতা পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। বাকি পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং চক্রটিকে সম্পূর্ণভাবে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এ বিষয় ই–লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড–এর পক্ষ থেকে জানানো হয়,“ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ভয়ভীতি, ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ আদায়ের এ ধরনের ঘটনা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণার অংশ। আমরা আইনের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাশীল, এবং এই চক্রের সকল সদস্যকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাজধানীতে ভূয়া সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদার টাকা নিতে এসে চক্রের সদস্য গ্রেফতার, থানায় মামলা

আপডেট সময় :
  • রাজধানীতে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি: প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার, বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা

সারাদেশে শিক্ষিত বেকারদের বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী ফ্রিলান্সিং ও আউটসোসিং প্রতিষ্ঠান ই–লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড–এ সাংবাদিক পরিচয়ে দাবী করা ২০ লক্ষ টাকা আনতে গিয়ে চাঁদাবাজি চক্রের অন্যতম সদস্য জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
গত ৮ ডিসেম্বর সোমবার রাজধানীর কল্যাণপুরে ই–লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড এ একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন মোবাইল থেকে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন করে চাঁদা দাবি ও হুমকি প্রদর্শন করে। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং সেখান থেকে প্রতি মাসে তাদেরকে টাকা (চাঁদা) দিতে হবে—অন্যথায় মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করবে।
এমন ঘটনায় ওই চাদাঁবাজী চক্রের সদস্যদের সাথে প্রতিষ্ঠানটি কৌশলগতভাবে চক্রের একজন সদস্যকে “সেটেলমেন্ট আলোচনার” নাম করে অফিসে আমন্ত্রণ জানায়। সেই সূত্র ধরে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আলোচনার জন্য অফিসে উপস্থিত হলে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং তাকে ঘটনাস্থলেই গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্রের ওই সদস্য স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, নিজেদের বানানো ফেইসবুক পেইজ ও অনুমোদনহীন অন লাইন ওয়েব সাইট বানিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানী এবং সরকারী কর্মকর্তাদের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় তারা। এঘটনায় আরো কিছু আন্ডারগ্রাউন পত্রিকার সাংবাদিক জড়িত আছে। প্রথমে তারা আওয়ামীলীগের ট্যাগ ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের দমন কাজে জড়িত আছে বলে হুমকি দেয়, পরে আপোষের প্রস্তাব দিলে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রিত জায়গায় নিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।
গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে, একই চক্রের কয়েকজন সদস্য ই–লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড–এর অফিসে এসে পুনরায় ২০ লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবি করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এঘটনায় ওই আটককৃত চক্রের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের তথ্যমতে জড়িতদের নামে দারুস সালাম থানায় ৮ জনের নাম উল্ল্যেখ করে আরো অজ্ঞাত নাম রেখে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হিসাব রক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম। এই চক্রের পলাতক বাকী সদস্যরা হলেন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ মেছ মাউল আলম মোহন, খাদিজা আক্তার পূর্ণী, এস এম মোরশেদ, আব্দুর রহমান সজীব, রূপক, মীর আনিস।
এ বিষয় দারুসসালাম থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, ঘটনার সত্যতা ও আটককৃত আসামীর স্বীকারোক্তিতে সত্যতা পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। বাকি পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং চক্রটিকে সম্পূর্ণভাবে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এ বিষয় ই–লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড–এর পক্ষ থেকে জানানো হয়,“ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ভয়ভীতি, ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ আদায়ের এ ধরনের ঘটনা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণার অংশ। আমরা আইনের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাশীল, এবং এই চক্রের সকল সদস্যকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”