রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে স্থবিরতা

- আপডেট সময় : ২৬৮ বার পড়া হয়েছে
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে সারা দেশ থেকে আসা হাজারও শিক্ষক গতকাল বুধবার সকাল থেকে অবস্থান করছেন রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। এ সময় একসঙ্গে সড়কে অনেক মানুষ জড়ো হওয়ায় প্রেসক্লাবসহ আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হওয়া মানুষ। এ সময় যানজটে আটকে পড়া অনেককে পাঁয়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়া হতে দেখা যায়।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, শিক্ষকদের মহাসমাবেশের মূল মঞ্চ প্রেস ক্লাবের সামনে হলেও এটির বিস্তৃতি হাইকোর্ট মোড় থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত ছড়িয়েছে। যার কারণে যানবাহনের চাপ বেড়েছে আশপাশের প্রতিটি পয়েন্টে। মৎস ভবন, শাহবাগ, পল্টন, কাকরাইল ও মগবাজার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
রাস্তা বন্ধ হওয়ার ফলে প্রেসক্লাব হয়ে চলাচল করা যানবাহনগুলো সচিবালয়ের সামনের রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করতে দেখা গেছে। ফলে ওই সড়কে যেমন ছিল যানবাহনের ধীরগতি, তেমনি দীর্ঘ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বেলা ১২টার দিকে কাঁটাবন থেকে গুলিস্থান উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসাইন। কাঁটাবন থেকে বাসে উঠলেও তাকে বহন করা বাসটি শাহবাগ মোড় পার হয়েই যানজটে আটকে যায়। অনেক সময় অপেক্ষা করে তিনি হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।
মৎসভবনে গাড়িতে বসে থাকা আরেক যাত্রী কাউছার আহমেদ বলেন, যাবো সদরঘাট। এতদূর হেঁটে যাওয়া সম্ভব না। তাই অপেক্ষা করছি। গাড়ি একটু নড়ে, আবার থেমে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ ডিএমপির রমনা ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, সমাবেশের কারণে প্রেসক্লাবসহ পাশেপাশের বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ির চাপ বেড়েছে। ছাড়িয়েছে অলিগলিও।
দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ ডিএমপির রমনা ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রেসক্লাবে সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর চাপ পাশেপাশের সড়কগুলোতেও পড়েছে। বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সরে দাঁড়ালেও সড়কে যানবাহনের চাপ এখনও রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি স্বাভাবিক রাখতে। আমাদের সদস্যরা কাজ করছে।শিক্ষকদের মহাসমাবেশ ঘিরে প্রেস ক্লাব এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে বেশ সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। এদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রেসক্লাব এলাকা না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।