ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

রাজবাড়ীতে  কুরবানির  পশু লালন পালনে ব্যস্ত খামারিরা

আতিয়ার রহমান
  • আপডেট সময় : ১২৮ বার পড়া হয়েছে

module:1facing:0; ?hw-remosaic: 0; ?touch: (-1.0, -1.0); ?modeInfo: ; ?sceneMode: LLHDR; ?cct_value: 0; ?AI_Scene: (200, -1); ?aec_lux: 0.0; ?hist255: 0.0; ?hist252~255: 0.0; ?hist0~15: 0.0; ?module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: LLHDR; cct_value: 0; AI_Scene: (200, -1); aec_lux: 0.0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
রাজবাড়ীতে কুরবানির ঈদ’কে সামনে রেখে গবাদি পশু মোটাতাজা করনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।তবে পশু খাদ্যের দাম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় পশু লালন পালনে হিমশিম খাচ্ছেন খামারিরা।খরচ কমাতে নিজ উৎপাদিত খাবার খাওয়াচ্ছেন তারা।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের  কামালদিয়া গোপিনাথদিয়া গ্রামের উজ্জল শেখ এবছর ২০ টি হরিয়ানা,দেশী ও শওকর জাতের গরু লালন পালন করেছেন।গত একবছর ধরে তিনি এ গরু গুলো লালন পালন করে মোটাতাজা করছেন।তবে বাজার থেকে কেনা গো- খাদ্যের অত্যাধিক দামের কারনে তার খরচ বেড়েগেছে।এ কারনে তিনি খরচ কমাতে কাঁচা ঘাস,ভুট্টা,খর ও ধানের ভূষি নিজেই উৎপাদক করে গরুকে খাওয়াচ্ছেন।তবে তিনি কৃত্তিম কোন খাবার কাওয়াচ্ছেন না।কিছু দানাদার খাবার বাজার থেকে কিনে খাওয়াতে হচ্ছে।তিনি চান বাজারের দানাদার খাবারের দাম কমানোর ব্যবস্থা যেন সরকার করে ও ঈদে যেন তার লালন পালন করা গরুগুলো ভালো ভাবে বিক্রি করতে পারেন সে আশা করেন।
রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি উপজেলাতে এবছর চাহিদার তুলনায় বেশি কুরবানির পশু লালন পালন ও মেটাতাজাকরন করা হচ্ছে।ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে খামারিদের ব্যাস্ততাও বাড়ছে।পশুগুলোকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করন করছেন তারা।মোটাতাজা করনে খরচ অত্যাধিক বেড়ে যাওয়াশ খামারিরা এবছর নিজেরাই খাদ্য উৎপাদক করে লালন পালন করছেন।গত বছরের চাইতে বাজার থেকে কেনা খাবার বস্তা প্রতি ৬/৭ শো টাকা বেড়ে যাওয়ায় গরু মোটাতাজা ও লালন পালন করতে তাদের খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন।ভূষি খাবার,গমের ছাল,ধানের কূড়া,ডালের ভূষি সহ এসব খাবারের দাম বস্তা প্রতি বেড়েছে গত বছরের চাইতে ৫/৭শ টাকা।এদিকে খরের দামও বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। এতে গবাদি পশু পালনে খামারিরা হিমশিম খাচ্ছেন। ঈদে এসব গরু পালনকারী খমারিরা খরচ বেশি হওয়ায় এবছর তারা গরু বিক্রি করে খরচ তুলতে পারবেন কিনা সে দিঃশ্চিন্তায় রয়েছেন।জেলায় গরু,মহিষ,ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করা হয়েছে ৮৯ হাজার ৫ শো ৬৬ টি।এর মধ্যে চাহিদার চাইতে প্রায়  ৩৪ হাজার গবাদি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
রাজবাড়ী ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি ,আবুল কালাম আজাদ জানান,গো- খাদ্যের অত্যাধিক দাম বৃদ্ধির কারনে খামারিরা পশু পালনে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।তবে বাহিরের দেশ থেকে পশু আমদানি না করা হয় তাহলে খামারিরা ভালো দাম পাবে,এতে সরকারী সহযোগীতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। রাজবাড়ী সদর উপজেলা, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মে. উমর ফারুক,জানান ,গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে খামারিরা বিপাকে পরেছেন।সঠিক দাম পাবেন কিনা সে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন।তবে প্রাকৃতিক উপায়ে খাদ্য উৎপাদনে তাদের খরচ কিছুটা কমেছে।খরচ কমানোর জন্য তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাজবাড়ী প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা,ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস্ তিনি বলেন,রাজবাড়ীতে ছয় হাজারেরও বেশি ছোট বড় গবাদি পশুর খামার ও খামারি রয়েছে। আর গবাদি পশু গরু,মহিষ,ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করা হয়েছে ৮৯ হাজার।এর মধ্যে ২৬ হাজাররের কিছু বেশি রয়েছে গরু।তবে জেলার খামারিরা এবছর কোন ধরনের কৃত্তিম স্টেরয়েড ব্যবহার করে পশু মোটাতাজা করা হয়নি।পশু পালনে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারনে খরচ বেশি হওয়ায় খামারিরা বিপাকে রয়েছেন।তারা যেন ক্ষতিগ্রস্থ্য না হয় এজন্য তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাজবাড়ীতে  কুরবানির  পশু লালন পালনে ব্যস্ত খামারিরা

আপডেট সময় :
রাজবাড়ীতে কুরবানির ঈদ’কে সামনে রেখে গবাদি পশু মোটাতাজা করনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।তবে পশু খাদ্যের দাম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় পশু লালন পালনে হিমশিম খাচ্ছেন খামারিরা।খরচ কমাতে নিজ উৎপাদিত খাবার খাওয়াচ্ছেন তারা।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের  কামালদিয়া গোপিনাথদিয়া গ্রামের উজ্জল শেখ এবছর ২০ টি হরিয়ানা,দেশী ও শওকর জাতের গরু লালন পালন করেছেন।গত একবছর ধরে তিনি এ গরু গুলো লালন পালন করে মোটাতাজা করছেন।তবে বাজার থেকে কেনা গো- খাদ্যের অত্যাধিক দামের কারনে তার খরচ বেড়েগেছে।এ কারনে তিনি খরচ কমাতে কাঁচা ঘাস,ভুট্টা,খর ও ধানের ভূষি নিজেই উৎপাদক করে গরুকে খাওয়াচ্ছেন।তবে তিনি কৃত্তিম কোন খাবার কাওয়াচ্ছেন না।কিছু দানাদার খাবার বাজার থেকে কিনে খাওয়াতে হচ্ছে।তিনি চান বাজারের দানাদার খাবারের দাম কমানোর ব্যবস্থা যেন সরকার করে ও ঈদে যেন তার লালন পালন করা গরুগুলো ভালো ভাবে বিক্রি করতে পারেন সে আশা করেন।
রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি উপজেলাতে এবছর চাহিদার তুলনায় বেশি কুরবানির পশু লালন পালন ও মেটাতাজাকরন করা হচ্ছে।ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে খামারিদের ব্যাস্ততাও বাড়ছে।পশুগুলোকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করন করছেন তারা।মোটাতাজা করনে খরচ অত্যাধিক বেড়ে যাওয়াশ খামারিরা এবছর নিজেরাই খাদ্য উৎপাদক করে লালন পালন করছেন।গত বছরের চাইতে বাজার থেকে কেনা খাবার বস্তা প্রতি ৬/৭ শো টাকা বেড়ে যাওয়ায় গরু মোটাতাজা ও লালন পালন করতে তাদের খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন।ভূষি খাবার,গমের ছাল,ধানের কূড়া,ডালের ভূষি সহ এসব খাবারের দাম বস্তা প্রতি বেড়েছে গত বছরের চাইতে ৫/৭শ টাকা।এদিকে খরের দামও বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। এতে গবাদি পশু পালনে খামারিরা হিমশিম খাচ্ছেন। ঈদে এসব গরু পালনকারী খমারিরা খরচ বেশি হওয়ায় এবছর তারা গরু বিক্রি করে খরচ তুলতে পারবেন কিনা সে দিঃশ্চিন্তায় রয়েছেন।জেলায় গরু,মহিষ,ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করা হয়েছে ৮৯ হাজার ৫ শো ৬৬ টি।এর মধ্যে চাহিদার চাইতে প্রায়  ৩৪ হাজার গবাদি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
রাজবাড়ী ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি ,আবুল কালাম আজাদ জানান,গো- খাদ্যের অত্যাধিক দাম বৃদ্ধির কারনে খামারিরা পশু পালনে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।তবে বাহিরের দেশ থেকে পশু আমদানি না করা হয় তাহলে খামারিরা ভালো দাম পাবে,এতে সরকারী সহযোগীতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। রাজবাড়ী সদর উপজেলা, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মে. উমর ফারুক,জানান ,গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে খামারিরা বিপাকে পরেছেন।সঠিক দাম পাবেন কিনা সে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন।তবে প্রাকৃতিক উপায়ে খাদ্য উৎপাদনে তাদের খরচ কিছুটা কমেছে।খরচ কমানোর জন্য তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাজবাড়ী প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা,ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস্ তিনি বলেন,রাজবাড়ীতে ছয় হাজারেরও বেশি ছোট বড় গবাদি পশুর খামার ও খামারি রয়েছে। আর গবাদি পশু গরু,মহিষ,ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করা হয়েছে ৮৯ হাজার।এর মধ্যে ২৬ হাজাররের কিছু বেশি রয়েছে গরু।তবে জেলার খামারিরা এবছর কোন ধরনের কৃত্তিম স্টেরয়েড ব্যবহার করে পশু মোটাতাজা করা হয়নি।পশু পালনে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারনে খরচ বেশি হওয়ায় খামারিরা বিপাকে রয়েছেন।তারা যেন ক্ষতিগ্রস্থ্য না হয় এজন্য তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।