ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

মহাসড়কে ডবল বিটুমিনাস সারফেস ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি

রাজবাড়ীতে ভাঙ্গাচোরা সংষ্কারে উল্টো নষ্ট হচ্ছে রাস্তা

আতিয়ার রহমান, রাজবাড়ী
  • আপডেট সময় : ২৯ বার পড়া হয়েছে

module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: Auto; cct_value: 5375; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 230.22357; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

* দুর্ভোগ ঝুঁকি ও ক্ষতির মুখে পরেছে ছোট বড় যানবাহন
* চালকেরা-সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট

 

রাজবাড়ী মহাসড়কের উপরিভাগ নষ্ট হয়ে যাওয়া ভাঙ্গাচোরা মেরামতে নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে উল্টো সংষ্কার করা রাস্তা গুলো নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে গেছে। ডবল বিটুমিনাস সারফেস ট্রিটমেন্ট পদ্ধতিতে মহাসড়কের ভাঙ্গাচোরা মেরামতে- উল্টো নষ্ট হচ্ছে রাস্তাগুলো।রাস্তাগুলোর সমস্ত বড় বড় পাথর গুলো উঠে গীয়ে সাধারন পথচারী, ছোট বড় যানবাহন চালক ও যানবাহনগুলো চরম-ক্ষতির মুখে পরছে।
চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে রাজবাড়ী অংশের ঢাকা-ফরিদপুর-দৌলতদিয়া প্যাকেজের গোয়ালন্দমোড় অংশের সাত কিলোমিটার মহাসড়কের কাজ করেছে রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগ।এ কাজে সড়কে প্রথমে পিচ গলিয়ে রাস্তায় ছিটিয়ে দিয়ে এর উপরে পাথর ঢেলে ঢালাই যন্ত্রের মাধ্যমে সমান করে রাখা হয়।এর ফলে রাস্তার উপর যে পিচ ছিটানো হয়েছে তার উপর পাথর ফেলে সমান করা হয় এই পদ্ধতিতে রাস্তা মেরামত করার ফলে,রাস্তায় যানবাহন চলাচলের কারনে সমস্ত পাথরগুলো উঠে রাস্তা ও রাস্তার দুই পাশে জমা হয়ে যাচ্ছে।উঠে যাওয়া আলগা পাথর এত পরিমান উঠেছে যে এর উপর দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল প্রচন্ড ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরেছে।বর্তমানে মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই রাস্তার আগের সেই পুরাতন ভাঙ্গাচোড়া রাস্তায় পরিণত হয়েছে।স্থানে স্থানে পাথর উঠে ফেটে গেছে,বড় বড় গর্ত হয়ে পুরো রাস্তাটি এখন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে গেছে।মহাসড়কে ছোট ছোট যানবাহন,মোটর সাইকেল চালকেরা মারাত্বক দুর্ঘটনা সহ যান বাহনের ক্ষতির মুখে পরছেন।আর বড় বড় যানবাহন চালকেরা পরছেন আরো বড় ঝুকির মধ্যে। যানবাহনগুলো বড় বড় পাথরের উপর দিয়ে চলার কারনে যানবাহন যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে।নষ্ট হচ্ছে দামী সব যানবাহের ইঞ্জিন,টায়ার,বডি সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি।বড় পাথর ব্যবহার করায় ইচ্ছে হলে চলন্ত যানবাহন থামানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পরে।স্থানীয়রা জানান,রাস্তাটি আগেই ভালো ছিলে। এতে সরকারের শুধু কোটি কোটি টাকাই নষ্ট করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
রাস্তার এমন অবস্থার পরও সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঢাকা খুলনা মহাসড়কে একই পদ্ধতি (ডিবিএসটি) ব্যবহার করে রাস্তাগুলো নষ্ট করেছে। ফরিদপুর-রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ১৬ কিলো ৯শ মিটার অংশের মধ্যে ৯ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে।এ পুরো কাজে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ৭ কিলেমিটার অংশের কাজে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা।
সরোজমিন গীয়ে দেখা যায়, ফরিদপুর থেকে গোয়ালন্দ মোড় পর্যন্ত কাজে অনেক অংশেই কাজ না করে পরের অংশের কাজ শুরু করেছে।সাধারণ জনগনের ধারণা যে অংশ কাজ না করে চলে গেছে সেখানে আর কাজ করা হবেনা।তাহলে যে অংশ কাজ ফেলে রেখে গেছে সেই অংশের বরাদ্দ অর্থ লোপাট করার পায়তারা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যদিও কাজের তদারকি করছে রোডস এ্যান্ড হাই ওয়ে তাহলে তারা কি তদারকি করছেন।গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী সাইনবোর্ড পর্যন্ত পুরো অংশের নতুন কাজের থিকনেস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কোনমতো পিচ ও পাথর ফেলা হয়েছে এই অংশে।অন্যদিকে একই কাজে রাজবাড়ী থেকে গোয়ালন্দ মোড় পর্যন্ত রাস্তার কাজের মান বিবেচনায় এ প্রশ্ন জনমনে উঠেছে।
এ মহাসড়কে যাতায়াত করা যানবাহন চালক আক্তার হোসেন জানান, রাস্তার উপর বড় বড় পাথর দিয়ে রাস্তা মেরামত করার কারনে সব পাথর উঠে রাস্তার দুই পাশে সরে গেছে। রাস্তা মেরামতে কিভাবে করা হলোযে পাথর উঠে যানবাহন চলাচলে ঝুকিপূর্ণ হয়েছে।পুরো রাস্তা নষ্ট হয়ে আগের চাইতে বেশি খারাপ হয়ে গেছে।রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে।এলাকাবাসি মো. আমির হোসেন বলেন,বর্তমানে রাস্তাটিতে বড় বড় খোয়া দিয়ে সংস্কার করার কারনে চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। রাস্তায় শুধু জনগণ ও সরকারের কোটি কোটি টাকাই নষ্ট করা হয়েছে।তা কোন কাজেই আসেনি।
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কুমারেশ বিশ্বাস বলেন, রাজবাড়ী দুটি প্যাকেজে ডিবিএসটি পদ্ধতিতে রাস্তা সংষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে।এর মধ্যে ফরিদপুর-রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া মহাসড়কের ১৬ কিলো ৯শ মিটার অংশের মধ্যে ৯ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে।পুরো কাজে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।ডিবিএসটি কাজে কিছুটা পাথর উঠবে এটা স্বাভাবিক।তবে রাস্তার অবস্থা যদি তিন বছরের মধ্যে খারাপ হয় সেটা ঠিকাদার মেরামত করে দিবে এই দায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। দ্বিতীয় ডিবিএসটি কাজটি রাজবাড়ী-ঢাকা- খুলনা মহাসড়কের সদরের গোয়ালন্দমোড়, কালখালী ও মাছপাড়া অংশের কাজ শেষ হয়েছে।এ কাজের বরাদ্দ ছিলো ৯ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মহাসড়কে ডবল বিটুমিনাস সারফেস ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি

রাজবাড়ীতে ভাঙ্গাচোরা সংষ্কারে উল্টো নষ্ট হচ্ছে রাস্তা

আপডেট সময় :

* দুর্ভোগ ঝুঁকি ও ক্ষতির মুখে পরেছে ছোট বড় যানবাহন
* চালকেরা-সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট

 

রাজবাড়ী মহাসড়কের উপরিভাগ নষ্ট হয়ে যাওয়া ভাঙ্গাচোরা মেরামতে নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে উল্টো সংষ্কার করা রাস্তা গুলো নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে গেছে। ডবল বিটুমিনাস সারফেস ট্রিটমেন্ট পদ্ধতিতে মহাসড়কের ভাঙ্গাচোরা মেরামতে- উল্টো নষ্ট হচ্ছে রাস্তাগুলো।রাস্তাগুলোর সমস্ত বড় বড় পাথর গুলো উঠে গীয়ে সাধারন পথচারী, ছোট বড় যানবাহন চালক ও যানবাহনগুলো চরম-ক্ষতির মুখে পরছে।
চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে রাজবাড়ী অংশের ঢাকা-ফরিদপুর-দৌলতদিয়া প্যাকেজের গোয়ালন্দমোড় অংশের সাত কিলোমিটার মহাসড়কের কাজ করেছে রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগ।এ কাজে সড়কে প্রথমে পিচ গলিয়ে রাস্তায় ছিটিয়ে দিয়ে এর উপরে পাথর ঢেলে ঢালাই যন্ত্রের মাধ্যমে সমান করে রাখা হয়।এর ফলে রাস্তার উপর যে পিচ ছিটানো হয়েছে তার উপর পাথর ফেলে সমান করা হয় এই পদ্ধতিতে রাস্তা মেরামত করার ফলে,রাস্তায় যানবাহন চলাচলের কারনে সমস্ত পাথরগুলো উঠে রাস্তা ও রাস্তার দুই পাশে জমা হয়ে যাচ্ছে।উঠে যাওয়া আলগা পাথর এত পরিমান উঠেছে যে এর উপর দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল প্রচন্ড ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরেছে।বর্তমানে মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই রাস্তার আগের সেই পুরাতন ভাঙ্গাচোড়া রাস্তায় পরিণত হয়েছে।স্থানে স্থানে পাথর উঠে ফেটে গেছে,বড় বড় গর্ত হয়ে পুরো রাস্তাটি এখন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে গেছে।মহাসড়কে ছোট ছোট যানবাহন,মোটর সাইকেল চালকেরা মারাত্বক দুর্ঘটনা সহ যান বাহনের ক্ষতির মুখে পরছেন।আর বড় বড় যানবাহন চালকেরা পরছেন আরো বড় ঝুকির মধ্যে। যানবাহনগুলো বড় বড় পাথরের উপর দিয়ে চলার কারনে যানবাহন যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে।নষ্ট হচ্ছে দামী সব যানবাহের ইঞ্জিন,টায়ার,বডি সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি।বড় পাথর ব্যবহার করায় ইচ্ছে হলে চলন্ত যানবাহন থামানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পরে।স্থানীয়রা জানান,রাস্তাটি আগেই ভালো ছিলে। এতে সরকারের শুধু কোটি কোটি টাকাই নষ্ট করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
রাস্তার এমন অবস্থার পরও সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঢাকা খুলনা মহাসড়কে একই পদ্ধতি (ডিবিএসটি) ব্যবহার করে রাস্তাগুলো নষ্ট করেছে। ফরিদপুর-রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ১৬ কিলো ৯শ মিটার অংশের মধ্যে ৯ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে।এ পুরো কাজে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ৭ কিলেমিটার অংশের কাজে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা।
সরোজমিন গীয়ে দেখা যায়, ফরিদপুর থেকে গোয়ালন্দ মোড় পর্যন্ত কাজে অনেক অংশেই কাজ না করে পরের অংশের কাজ শুরু করেছে।সাধারণ জনগনের ধারণা যে অংশ কাজ না করে চলে গেছে সেখানে আর কাজ করা হবেনা।তাহলে যে অংশ কাজ ফেলে রেখে গেছে সেই অংশের বরাদ্দ অর্থ লোপাট করার পায়তারা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যদিও কাজের তদারকি করছে রোডস এ্যান্ড হাই ওয়ে তাহলে তারা কি তদারকি করছেন।গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী সাইনবোর্ড পর্যন্ত পুরো অংশের নতুন কাজের থিকনেস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কোনমতো পিচ ও পাথর ফেলা হয়েছে এই অংশে।অন্যদিকে একই কাজে রাজবাড়ী থেকে গোয়ালন্দ মোড় পর্যন্ত রাস্তার কাজের মান বিবেচনায় এ প্রশ্ন জনমনে উঠেছে।
এ মহাসড়কে যাতায়াত করা যানবাহন চালক আক্তার হোসেন জানান, রাস্তার উপর বড় বড় পাথর দিয়ে রাস্তা মেরামত করার কারনে সব পাথর উঠে রাস্তার দুই পাশে সরে গেছে। রাস্তা মেরামতে কিভাবে করা হলোযে পাথর উঠে যানবাহন চলাচলে ঝুকিপূর্ণ হয়েছে।পুরো রাস্তা নষ্ট হয়ে আগের চাইতে বেশি খারাপ হয়ে গেছে।রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে।এলাকাবাসি মো. আমির হোসেন বলেন,বর্তমানে রাস্তাটিতে বড় বড় খোয়া দিয়ে সংস্কার করার কারনে চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। রাস্তায় শুধু জনগণ ও সরকারের কোটি কোটি টাকাই নষ্ট করা হয়েছে।তা কোন কাজেই আসেনি।
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কুমারেশ বিশ্বাস বলেন, রাজবাড়ী দুটি প্যাকেজে ডিবিএসটি পদ্ধতিতে রাস্তা সংষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে।এর মধ্যে ফরিদপুর-রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া মহাসড়কের ১৬ কিলো ৯শ মিটার অংশের মধ্যে ৯ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে।পুরো কাজে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।ডিবিএসটি কাজে কিছুটা পাথর উঠবে এটা স্বাভাবিক।তবে রাস্তার অবস্থা যদি তিন বছরের মধ্যে খারাপ হয় সেটা ঠিকাদার মেরামত করে দিবে এই দায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। দ্বিতীয় ডিবিএসটি কাজটি রাজবাড়ী-ঢাকা- খুলনা মহাসড়কের সদরের গোয়ালন্দমোড়, কালখালী ও মাছপাড়া অংশের কাজ শেষ হয়েছে।এ কাজের বরাদ্দ ছিলো ৯ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা।