ঢাকা ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নালিতাবাড়ীতে রাতের আঁধারে শতাধিক গাছের চারা কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা Logo মঠবাড়িয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভা করলেন বিএনপি নেতা রুহুল আমিন দুলাল Logo রাজশাহীতে ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে বেদখলের চেষ্টা  Logo ধামরাইয়ে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ,পুলিশসহ আহত-১০ Logo ভারতে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ  Logo শিবালয় ঘাতকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা Logo চাপাই নবাবগঞ্জ কারাগারে জেলার এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ  Logo মুরাদনগরে মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য করলেন পিতা Logo মোল্লাহাটে ব্যাপ্টিষ্ট’র উদ্যোগে জারিগান ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত Logo ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ৩০০ গ্রামবাসীর বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সেবা

রাজশাহীতে ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে বেদখলের চেষ্টা 

রাজশাহী ব্যুরো
  • আপডেট সময় : ১২:১০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
১৯৮২ সালে মহানগরীর কয়েরদাঁড়া মৌজায় .৩৭ একর জমি ক্রয় করেন কয়েরদাঁড়া এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মফিজুল হাসান। কিন্তু সেই ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত করতে একটি পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চলছে মামালা মোকদ্দমা।
জমিটি নিয়ে গত ২২ এপ্রিল জমির ক্রয়কৃত মালিক মফিজুল হাসান ও তার পক্ষের লোক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করে রফিকুল ইসলাম বজলু গং। সেখানে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ” অবৈধভাবে জমি দখল ও ওয়ারিশদের হুমকি এবং হয়রানির অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হলে সকল ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শফিকুল ইসলাম। বক্তব্যে তিনি দাবি করেন গত ২২ এপ্রিল  আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অবৈধভাবে জমি দখল ও ওয়ারিশদের হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ তুলে আমার বিরুদ্ধে আনায়ন করিয়াছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিক্তিহীন ও বানোয়াট। আমি এই ধরনের কাজ কখনই করি নাই। গত দিনে রফিকুল ইসলাম (বজলু)সহ যারা সংবাদ সম্মেলন করিয়াছে, তারা মুলত সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ ও পরধন লোভী। নালিশী সম্পত্তি আমার চাচা মোঃ মফিজুল হাসান এর ক্রয়কৃত সম্পত্তি। আমার চাচা এই সম্পত্তি ১৯৮২ সালে ক্রয় করেন এবং এখন পর্যন্ত দখলে ভোগে আছেন। কিন্তু বজলু গং উক্ত সম্পতিতে গত ২৫ আগষ্ট ২৩ ইং তারিখে মোঃ রফিকুল ইসলাম (বজল), মোঃ ফারুক, মো: জুলমত, মোঃ মহরম আলী, মো: আরমান আলী সহ আরও ১০/১৫ জন মিলে দলবদ্ধ হয়ে আমাদের এই জমিতে অনুপ্রবেশ করে জোর করে এবং বিভিন্ন রকম গাছ লাগানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমি আমার চাচার পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাজশাহীতে ফোজদারী কার্য বিধি ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং-১৯০৪ (বোয়ালিয়া)। সেই মামলায় আদালত সরজমিত তদন্ত করে ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিজ্ঞ আদালত বিবাদী দ্বয়কে সম্পত্তিতে প্রবেশাদিকার  বারিদ করে এবং  প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বোয়ালিয়া থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
আমার চাচা মফিজুল হাসানের মৃত্যুর পর উক্ত জমিটির দেখভালের দ্বায়িত্ব দেয় আমাকে। সেই আলোকে চাচার ওয়ারিসদের অনুমতিক্রমে এই সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রয় শর্তে বিভিন্ন লোকের কাছে হস্তান্তর করি। তারাও বাড়ী ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত ২১ মার্চ (১) মোঃ রফিকুল ইসলাম (বজল), (২) মোঃ ফারুক,(৩)মো: জুলমত,(৪) মোঃ মহরম আলী, (৫)মো: আরমান আলী সহ আরও ১০/১৫ জন মিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার নির্মাণাধিন শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ ও তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার নির্মাণ শ্রমিকদের মারমুখি আচরণ ও হুমকি প্রদান করে স্থলে গিয়ে নির্মাণস্থত বাড়ীর জানালা গুলো হাতুরী, জি আই  পাইব, সাবল দ্বারা ভেঙ্গে নিয়ে যায় ও বাড়ীর মেইন ভেঙ্গে নিয়ে যায়। পরে এঘটনায় আমি বোয়ালিয়া মডেল থানায় গিয়ে ৩ এপ্রিল একটি লুটপাটের অভিযোগ দায়ের করি। এই দায়ের করার পর বিবাদী পক্ষ অভিযোগের বিষয় জানতে পেরে আমাকে এই অভিযোগ উঠানোর জন্য মোঃ রফিকুল ইসলাম (বজল), এই অভিযোগ না উঠালে আমাকে মারধর করে আমার জমি দখল করে নিবে।  এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বজলুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যার্থ করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাজশাহীতে ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে বেদখলের চেষ্টা 

আপডেট সময় : ১২:১০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
১৯৮২ সালে মহানগরীর কয়েরদাঁড়া মৌজায় .৩৭ একর জমি ক্রয় করেন কয়েরদাঁড়া এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মফিজুল হাসান। কিন্তু সেই ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত করতে একটি পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চলছে মামালা মোকদ্দমা।
জমিটি নিয়ে গত ২২ এপ্রিল জমির ক্রয়কৃত মালিক মফিজুল হাসান ও তার পক্ষের লোক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করে রফিকুল ইসলাম বজলু গং। সেখানে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ” অবৈধভাবে জমি দখল ও ওয়ারিশদের হুমকি এবং হয়রানির অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হলে সকল ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শফিকুল ইসলাম। বক্তব্যে তিনি দাবি করেন গত ২২ এপ্রিল  আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অবৈধভাবে জমি দখল ও ওয়ারিশদের হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ তুলে আমার বিরুদ্ধে আনায়ন করিয়াছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিক্তিহীন ও বানোয়াট। আমি এই ধরনের কাজ কখনই করি নাই। গত দিনে রফিকুল ইসলাম (বজলু)সহ যারা সংবাদ সম্মেলন করিয়াছে, তারা মুলত সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ ও পরধন লোভী। নালিশী সম্পত্তি আমার চাচা মোঃ মফিজুল হাসান এর ক্রয়কৃত সম্পত্তি। আমার চাচা এই সম্পত্তি ১৯৮২ সালে ক্রয় করেন এবং এখন পর্যন্ত দখলে ভোগে আছেন। কিন্তু বজলু গং উক্ত সম্পতিতে গত ২৫ আগষ্ট ২৩ ইং তারিখে মোঃ রফিকুল ইসলাম (বজল), মোঃ ফারুক, মো: জুলমত, মোঃ মহরম আলী, মো: আরমান আলী সহ আরও ১০/১৫ জন মিলে দলবদ্ধ হয়ে আমাদের এই জমিতে অনুপ্রবেশ করে জোর করে এবং বিভিন্ন রকম গাছ লাগানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমি আমার চাচার পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাজশাহীতে ফোজদারী কার্য বিধি ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং-১৯০৪ (বোয়ালিয়া)। সেই মামলায় আদালত সরজমিত তদন্ত করে ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিজ্ঞ আদালত বিবাদী দ্বয়কে সম্পত্তিতে প্রবেশাদিকার  বারিদ করে এবং  প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বোয়ালিয়া থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
আমার চাচা মফিজুল হাসানের মৃত্যুর পর উক্ত জমিটির দেখভালের দ্বায়িত্ব দেয় আমাকে। সেই আলোকে চাচার ওয়ারিসদের অনুমতিক্রমে এই সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রয় শর্তে বিভিন্ন লোকের কাছে হস্তান্তর করি। তারাও বাড়ী ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত ২১ মার্চ (১) মোঃ রফিকুল ইসলাম (বজল), (২) মোঃ ফারুক,(৩)মো: জুলমত,(৪) মোঃ মহরম আলী, (৫)মো: আরমান আলী সহ আরও ১০/১৫ জন মিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার নির্মাণাধিন শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ ও তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার নির্মাণ শ্রমিকদের মারমুখি আচরণ ও হুমকি প্রদান করে স্থলে গিয়ে নির্মাণস্থত বাড়ীর জানালা গুলো হাতুরী, জি আই  পাইব, সাবল দ্বারা ভেঙ্গে নিয়ে যায় ও বাড়ীর মেইন ভেঙ্গে নিয়ে যায়। পরে এঘটনায় আমি বোয়ালিয়া মডেল থানায় গিয়ে ৩ এপ্রিল একটি লুটপাটের অভিযোগ দায়ের করি। এই দায়ের করার পর বিবাদী পক্ষ অভিযোগের বিষয় জানতে পেরে আমাকে এই অভিযোগ উঠানোর জন্য মোঃ রফিকুল ইসলাম (বজল), এই অভিযোগ না উঠালে আমাকে মারধর করে আমার জমি দখল করে নিবে।  এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বজলুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যার্থ করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি।