ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

রামগতিতে তাঁতী লীগ নেতাকে জিয়া মঞ্চের আহবায়ক ঘোষণা

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে চরগাজী ইউনিয়ন তাঁতী লীগের আহবায়ক মীর মোঃ জিয়াউর রহমান সুমনকে উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক করা হয়।এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে সমালোচনার ঝড়। ৫ আগস্টের পর রামগতিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মী পলাতক থাকলেও হঠাৎ তাঁতী লীগ নেতা মীর মোঃ জিয়াউর রহমান সুমন বিএনপির পরিচয়ে বুক ফুলিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করে।একাধিক সূত্রে জানাযায়, তার ওপেন চলাফিরা ও তদবির বাণিজ্য করার লাইসেন্স দিয়েছে খোদ বিএনপির কতিপয় নেতা। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত সুমন তাঁতীলীগের বড় নেতা ছিলেন। সরকারের পতনের পর হঠাৎ তাকে দেওয়া হয় উপজেলা জিয়া মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক। ইউনিয়ন থেকে এবার সুৃমন হলেন উপজেলা নেতা। চলতি বছরের ১৬ জুলাই জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মাসুদুর রহমান রুবেল ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুমনকে উপজেলা জিয়া মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক করা হয়।মীর জিয়াউর রহমান সুমনের মত একজন তুখোড় আওয়ামী লীগ নেতাকে রাতারাতি বিএনপি বানিয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক করা নিয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ অসন্তোষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক জন নেতা বলেন, বিএনপির কতিপয় নেতা এখন বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। তারা টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের লোকজনকে পদ পদবি দিচ্ছে। না হয় জিয়াউর রহমান সুমনের মত একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে কিভাবে উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক করা হয়? এঘটনায় তারা হতভম্ব হয়েছেন। তারা বলেন,বিএনপিতে কি লোকের অভাব পড়ছে যে, আওয়ামী লীগের লোক এনে পদ পদবি দিতে হবে?
এ ব্যাপারে মীর মোঃ জিয়াউর রহমান সুমনএব্যাপারে মীর মোঃ জিয়াউর রহমান সুমন বলেন, আমি আগেও বিএনপি করতাম। ১৬ বছর একটানা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় বিভিন্ন কারণে তাকে আওয়ামী লীগ করতে হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মাসুদুর রহমান রুবেলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রামগতিতে তাঁতী লীগ নেতাকে জিয়া মঞ্চের আহবায়ক ঘোষণা

আপডেট সময় :

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে চরগাজী ইউনিয়ন তাঁতী লীগের আহবায়ক মীর মোঃ জিয়াউর রহমান সুমনকে উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক করা হয়।এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে সমালোচনার ঝড়। ৫ আগস্টের পর রামগতিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মী পলাতক থাকলেও হঠাৎ তাঁতী লীগ নেতা মীর মোঃ জিয়াউর রহমান সুমন বিএনপির পরিচয়ে বুক ফুলিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করে।একাধিক সূত্রে জানাযায়, তার ওপেন চলাফিরা ও তদবির বাণিজ্য করার লাইসেন্স দিয়েছে খোদ বিএনপির কতিপয় নেতা। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত সুমন তাঁতীলীগের বড় নেতা ছিলেন। সরকারের পতনের পর হঠাৎ তাকে দেওয়া হয় উপজেলা জিয়া মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক। ইউনিয়ন থেকে এবার সুৃমন হলেন উপজেলা নেতা। চলতি বছরের ১৬ জুলাই জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মাসুদুর রহমান রুবেল ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুমনকে উপজেলা জিয়া মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক করা হয়।মীর জিয়াউর রহমান সুমনের মত একজন তুখোড় আওয়ামী লীগ নেতাকে রাতারাতি বিএনপি বানিয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক করা নিয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ অসন্তোষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক জন নেতা বলেন, বিএনপির কতিপয় নেতা এখন বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। তারা টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের লোকজনকে পদ পদবি দিচ্ছে। না হয় জিয়াউর রহমান সুমনের মত একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে কিভাবে উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক করা হয়? এঘটনায় তারা হতভম্ব হয়েছেন। তারা বলেন,বিএনপিতে কি লোকের অভাব পড়ছে যে, আওয়ামী লীগের লোক এনে পদ পদবি দিতে হবে?
এ ব্যাপারে মীর মোঃ জিয়াউর রহমান সুমনএব্যাপারে মীর মোঃ জিয়াউর রহমান সুমন বলেন, আমি আগেও বিএনপি করতাম। ১৬ বছর একটানা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় বিভিন্ন কারণে তাকে আওয়ামী লীগ করতে হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মাসুদুর রহমান রুবেলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।