ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ডামুড্যায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ কর্তৃক ১৩৮৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার Logo কুড়িগ্রামে বাড়ির পাশের ভুট্রাক্ষেত থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার Logo তিতাসে ৯ ইউনিয়নে বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করে আংশিক কমিটি প্রকাশ নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ উৎস  Logo বাদীর কবর দখল বাড়িতে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ Logo রামু উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিমান্তে গরু চোরা চালানরোধে আরো কঠোর হওয়ার আহবান Logo রাণাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন সুলতান মাহমুদ  Logo মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে নরসিংদীতে যুবককে হত্যা Logo রামগতিতে সড়ক দুর্ঘটনায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিহত Logo ধামরাইয়ে ৪ অপহরণকারী জনতার হাতে আটক পুলিশে সোপর্দ

রামুতে বৈধ কাগজ থাকা স্বত্বেও গরু আটক , ক্ষতিগ্রস্ত খামারী ও ব্যবসায়ী

এস এম হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার 
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কক্সবাজারের রামুতে ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্র থাকা স্বত্বেও ব্যবসায়ীদের গরু আটক করার অভিযোগ উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  বিরুদ্ধে। জানা যায়, মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু আসার কারণে খামারি ও দেশীয় পশু ব্যবসায়ীদের ওপর নেতীবাচক প্রভাব পড়েছে। এঅবস্থায় বৈধ পন্থায় গরু পরিবহন ও সরবরাহের  সময় সড়ক থেকে গরু বোঝাই গাড়ি ধরে নিয়ে যাচ্ছে বিজিবি। বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ খামার ও আড়ত বন্ধ  হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি  সীমান্ত দিয়ে আসা অবৈধ গরু-মহিষ আটকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য  তৎপরতা নেই। অথচ সরকারীভাবে ইজারাকৃত বাজার থেকে  ক্রয়কৃত বৈধ গরু আটক করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ নিয়ে প্রান্তিক খামারী ও ব্যবসায়ী মহলে চরম উদ্বেগ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বিজিবির গরু আটকের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আবুল বাশার  জানান, জেলা প্রশাসনের স্থায়ী পশুর হাট রামুর চাকমারকুল  বাজার থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে  রশিদ সহকারে ১৮টি গরু ক্রয় করে ঢাকার  উদ্দশ্যে যাত্রা করছিলেন। প্রতিমধ্যে  রশিদ নগর পর্যন্ত পৌঁছালে উক্ত গরু বোঝায় গাড়ি আটকে দেয় ৩০বিজিবি। ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্র থাকা স্বত্বেও বিজিবি’র সদস্যরা কোন কথাই শুনতে চাননি। তারা গরুগুলো ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
 এদিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবুল বাশার ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিবিধ মামলা নং ১/২০২৫ এর মাধ্যমে গরুগুলো নিজ জিম্মায় পেতে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত রামু থানা অফিসার ইনচার্জকে আগামী ৭ মে এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে রামুর ব্যবসায়ীরা জানান, ক্রয়ের যথাযথ কাগজপত্র থাকা স্বত্বেও বিজিবি বৈধ গরু আটক করছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীদের নিঃস্ব হয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। একই সাথে মূলধন হারিয়ে অনেক ব্যবসায়ী পশু ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন।
চাকমারকুল বাজার ইজারাদার জাবেদ ইকবাল  জনান, রামুর চাকমারকুল বাজার জেলা প্রশাসনের তালিকাভূক্ত একটি স্থায়ী পশুর হাট।  যেখানে সপ্তাহে সাতদিনই পশু বেচাকেনা করা হয়।
এমতাবস্থায় বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও বিজিবির গরু আটক প্রান্তিক খামারী ও ব্যবসায়ীদেরকে চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করছে।  এব্যাপারে রামুর খামারী ও ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এব্যাপারে রামু থানা অফিসার ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, আদালতের একটি আদেশনামা পেয়েছেন।  আদেশনামা পর্যালোচনা এবং বিজিবির সাথে কথা বলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের কথা জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রামুতে বৈধ কাগজ থাকা স্বত্বেও গরু আটক , ক্ষতিগ্রস্ত খামারী ও ব্যবসায়ী

আপডেট সময় : ০১:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
কক্সবাজারের রামুতে ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্র থাকা স্বত্বেও ব্যবসায়ীদের গরু আটক করার অভিযোগ উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  বিরুদ্ধে। জানা যায়, মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু আসার কারণে খামারি ও দেশীয় পশু ব্যবসায়ীদের ওপর নেতীবাচক প্রভাব পড়েছে। এঅবস্থায় বৈধ পন্থায় গরু পরিবহন ও সরবরাহের  সময় সড়ক থেকে গরু বোঝাই গাড়ি ধরে নিয়ে যাচ্ছে বিজিবি। বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ খামার ও আড়ত বন্ধ  হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি  সীমান্ত দিয়ে আসা অবৈধ গরু-মহিষ আটকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য  তৎপরতা নেই। অথচ সরকারীভাবে ইজারাকৃত বাজার থেকে  ক্রয়কৃত বৈধ গরু আটক করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ নিয়ে প্রান্তিক খামারী ও ব্যবসায়ী মহলে চরম উদ্বেগ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বিজিবির গরু আটকের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আবুল বাশার  জানান, জেলা প্রশাসনের স্থায়ী পশুর হাট রামুর চাকমারকুল  বাজার থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে  রশিদ সহকারে ১৮টি গরু ক্রয় করে ঢাকার  উদ্দশ্যে যাত্রা করছিলেন। প্রতিমধ্যে  রশিদ নগর পর্যন্ত পৌঁছালে উক্ত গরু বোঝায় গাড়ি আটকে দেয় ৩০বিজিবি। ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্র থাকা স্বত্বেও বিজিবি’র সদস্যরা কোন কথাই শুনতে চাননি। তারা গরুগুলো ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
 এদিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবুল বাশার ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিবিধ মামলা নং ১/২০২৫ এর মাধ্যমে গরুগুলো নিজ জিম্মায় পেতে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত রামু থানা অফিসার ইনচার্জকে আগামী ৭ মে এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে রামুর ব্যবসায়ীরা জানান, ক্রয়ের যথাযথ কাগজপত্র থাকা স্বত্বেও বিজিবি বৈধ গরু আটক করছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীদের নিঃস্ব হয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। একই সাথে মূলধন হারিয়ে অনেক ব্যবসায়ী পশু ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন।
চাকমারকুল বাজার ইজারাদার জাবেদ ইকবাল  জনান, রামুর চাকমারকুল বাজার জেলা প্রশাসনের তালিকাভূক্ত একটি স্থায়ী পশুর হাট।  যেখানে সপ্তাহে সাতদিনই পশু বেচাকেনা করা হয়।
এমতাবস্থায় বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও বিজিবির গরু আটক প্রান্তিক খামারী ও ব্যবসায়ীদেরকে চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করছে।  এব্যাপারে রামুর খামারী ও ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এব্যাপারে রামু থানা অফিসার ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, আদালতের একটি আদেশনামা পেয়েছেন।  আদেশনামা পর্যালোচনা এবং বিজিবির সাথে কথা বলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের কথা জানান।