ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ১৫ বছরে অন্যায় কাজের জন্য পুলিশ দুঃখিত ও লজ্জিত: আইজিপি Logo রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের Logo সমমনা দলের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক Logo জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার-১ Logo আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে :  ড্যাব মহাসচিব Logo বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা Logo ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির Logo মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্কহেডসহ আটক ৯ Logo বান্দরবানে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কর্মশালা

রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় ৩২ লাখ শিশু ঝুঁকিতে: ইউনিসেফ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪ ২১০ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঘূর্ণিঝড় রমালের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের ৩২ লাখ শিশু ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। রেমালের আঘাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, স্যানিটেশন ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি থাকা ৮৪ লাখের বেশি মানুষ যার মধ্যে রয়েছে ৩২ লাখ শিশু রয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। বিবৃতিতে মি. শেলডন বলেন, এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে ভোলা, পটুয়াখালী ও বাগেরহাট সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার অনেক উপজেলা প্লাবিত হয়েছে।

ইউনিসেফ শুরু থেকেই মাঠে রয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রাথমিক সতর্কতামূলক প্রচারণা ও প্রচেষ্টা থেকে শুরু করে সর্বাত্মক সহায়তা করছে।

মি. শেলডন বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সরকার ও অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। প্রয়োজনে দ্রুত সহায়তা ও ত্রাণ প্রদানে সমন্বিত প্রচেষ্টা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের অগ্রাধিকার হলো সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষের জীবন রক্ষা এবং তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা। বিশেষ করে শিশুদের, যারা এ ধরনের দুর্যোগের সময় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে।

তিনি বলেন, এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াতে তাদের সহায়তা করতে প্রয়োজনীয় সব কিছু প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত কমিউনিটি ও আশ্রয়কেন্দ্রে বিতরণের জন্য ইউনিসেফ দেশব্যাপী ৩৫টি গুদামে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, জেরিক্যান, মোবাইল টয়লেট, স্বাস্থ্যবিধি (হাইজিন) ও পরিবারের জন্য উপযোগী (ফ্যামিলি) কিটসহ বিভিন্ন সামগ্রী মজুদ রেখেছে।

প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় ৩২ লাখ শিশু ঝুঁকিতে: ইউনিসেফ

আপডেট সময় : ১০:১৫:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

 

ঘূর্ণিঝড় রমালের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের ৩২ লাখ শিশু ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। রেমালের আঘাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, স্যানিটেশন ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি থাকা ৮৪ লাখের বেশি মানুষ যার মধ্যে রয়েছে ৩২ লাখ শিশু রয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। বিবৃতিতে মি. শেলডন বলেন, এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে ভোলা, পটুয়াখালী ও বাগেরহাট সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার অনেক উপজেলা প্লাবিত হয়েছে।

ইউনিসেফ শুরু থেকেই মাঠে রয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রাথমিক সতর্কতামূলক প্রচারণা ও প্রচেষ্টা থেকে শুরু করে সর্বাত্মক সহায়তা করছে।

মি. শেলডন বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সরকার ও অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। প্রয়োজনে দ্রুত সহায়তা ও ত্রাণ প্রদানে সমন্বিত প্রচেষ্টা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের অগ্রাধিকার হলো সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষের জীবন রক্ষা এবং তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা। বিশেষ করে শিশুদের, যারা এ ধরনের দুর্যোগের সময় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে।

তিনি বলেন, এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াতে তাদের সহায়তা করতে প্রয়োজনীয় সব কিছু প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত কমিউনিটি ও আশ্রয়কেন্দ্রে বিতরণের জন্য ইউনিসেফ দেশব্যাপী ৩৫টি গুদামে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, জেরিক্যান, মোবাইল টয়লেট, স্বাস্থ্যবিধি (হাইজিন) ও পরিবারের জন্য উপযোগী (ফ্যামিলি) কিটসহ বিভিন্ন সামগ্রী মজুদ রেখেছে।

প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি।