ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা Logo ডাকসু হল সংসদে মাগুরার জয়জয়কার: ছয় কৃতি মুখে গর্বিত জনপদ Logo ইসলামপুরে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo জামালপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্মরণসভা Logo ঘাটাইলে স্বাধীন বাংলা মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo গৌরীপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও দলকে নির্বাচন মুখী করতে বিএনপির আলোচনা সভা Logo গোলাপগঞ্জে শিশু ধর্ষনের মিথ্যা মামলার অভিযোগে মানববন্ধন Logo ভেদরগঞ্জে জমি বিক্রির বায়না নিয়ে প্রতারণায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ Logo খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে চাঁদাবাজি করছে সরকারি সংস্থা

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি অভিযোগ করেছে, রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে চাঁদাবাজিতে নেমেছে সরকারি সংস্থা। সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ উপস্থাপন করে সমিতি।

বাংলাদেশ রোস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান বিভিন্ন সরকারী সংস্থার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলেন, বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর অভিযানের নামে সরকারি সংস্থা। তারা রেস্তোরাঁয় চাঁদাবাজি করছে।

বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডের পর সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ।

ইমরান হাসান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য তুলে ধরে বলেন, সারাদেশে রেস্তোরাঁ রয়েছে ৪ লাখ ৮১ হাজারের অধিক। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২ কোটি মানুষ এই সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল। ৩০ লাখ শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মসংস্থান করা হয়েছে।

রেস্তোরাঁ শিল্পে আয়ের পরিমাণ ৩.৭৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। এই সেক্টরের বিনিয়োগ ২ লাখ কোটি টাকা।

বর্তমানে ৮০০-এর মতো রেস্তোরাঁ বন্ধ। অভিযানে সিলগালা করা হয়েছে, প্রায় ২৩০টি। ভয়ে অনেকেই রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখেছেন। অভিযানের নামে রেস্তোরাঁ সেক্টরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে সুযোগ নিয়ে সব সংস্থা ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে। আমি বলবো না আমরা ব্যবসায়ী সবাই সহিভাবে ব্যবসা করি। ব্যবসায়ীদের অনেকেই অতিলোভি। আমাদের ৯৫ শতাংশ মালিক-শ্রমিক অদক্ষ।

ইমরান বলেন, সিলিন্ডারের কারণে শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ঢালাওভাবে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক কাগজ/ডকুমেন্টস থাকা সত্ত্বেও রাজউক তার অনাধিকার চর্চা করছে।

সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ৬ মাস পূর্বে নোটিশ দিতে হয়। সময় বেঁধে দিতে হয়, কিন্তু বিনা নোটিশে ভাঙচুর করে বন্ধ করে দিচ্ছে রেস্তোরাঁগুলো। এ জন্য রেস্তোরাঁ সেক্টরটি বর্তমানে ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন।

রাজউকের এফ-১ ও এফ-২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে বলেও অভিযোগ ইমরানের। আমরা জানি কমার্শিয়াল স্পেসে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা যাবে। রাজউকের ২০২২-৩৫ সাল পর্যন্ত ড্যাপের মাস্টার প্লানেও ব্যবসায়ীদেরকে ভবন মিশ্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। সুতরাং রাজউকের এফ-১ ও এফ-২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে তা, সঠিক নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে চাঁদাবাজি করছে সরকারি সংস্থা

আপডেট সময় :

 

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি অভিযোগ করেছে, রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে চাঁদাবাজিতে নেমেছে সরকারি সংস্থা। সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ উপস্থাপন করে সমিতি।

বাংলাদেশ রোস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান বিভিন্ন সরকারী সংস্থার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলেন, বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর অভিযানের নামে সরকারি সংস্থা। তারা রেস্তোরাঁয় চাঁদাবাজি করছে।

বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডের পর সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ।

ইমরান হাসান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য তুলে ধরে বলেন, সারাদেশে রেস্তোরাঁ রয়েছে ৪ লাখ ৮১ হাজারের অধিক। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২ কোটি মানুষ এই সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল। ৩০ লাখ শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মসংস্থান করা হয়েছে।

রেস্তোরাঁ শিল্পে আয়ের পরিমাণ ৩.৭৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। এই সেক্টরের বিনিয়োগ ২ লাখ কোটি টাকা।

বর্তমানে ৮০০-এর মতো রেস্তোরাঁ বন্ধ। অভিযানে সিলগালা করা হয়েছে, প্রায় ২৩০টি। ভয়ে অনেকেই রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখেছেন। অভিযানের নামে রেস্তোরাঁ সেক্টরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে সুযোগ নিয়ে সব সংস্থা ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে। আমি বলবো না আমরা ব্যবসায়ী সবাই সহিভাবে ব্যবসা করি। ব্যবসায়ীদের অনেকেই অতিলোভি। আমাদের ৯৫ শতাংশ মালিক-শ্রমিক অদক্ষ।

ইমরান বলেন, সিলিন্ডারের কারণে শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ঢালাওভাবে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক কাগজ/ডকুমেন্টস থাকা সত্ত্বেও রাজউক তার অনাধিকার চর্চা করছে।

সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ৬ মাস পূর্বে নোটিশ দিতে হয়। সময় বেঁধে দিতে হয়, কিন্তু বিনা নোটিশে ভাঙচুর করে বন্ধ করে দিচ্ছে রেস্তোরাঁগুলো। এ জন্য রেস্তোরাঁ সেক্টরটি বর্তমানে ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন।

রাজউকের এফ-১ ও এফ-২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে বলেও অভিযোগ ইমরানের। আমরা জানি কমার্শিয়াল স্পেসে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা যাবে। রাজউকের ২০২২-৩৫ সাল পর্যন্ত ড্যাপের মাস্টার প্লানেও ব্যবসায়ীদেরকে ভবন মিশ্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। সুতরাং রাজউকের এফ-১ ও এফ-২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে তা, সঠিক নয়।