ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঠাকুরগাঁওয়ে জুলাই বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে জুলাইয়ের মায়েদের গল্প শোনা ও সংবর্ধনা প্রদান Logo টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির ঘটনায় ৪ বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫ Logo সরিষাবাড়ী সাতপোয়া আল-বূশরা সামাজিক গোরস্তানের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন Logo শ্রমিকবান্ধব দেশগঠনে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে গণ জোয়ার সৃষ্টি করতে হবে Logo তিতাসে জুলাই বিপ্লবের বিজয় মিছিল উপলক্ষে বিএনপির প্রস্ততি সভা Logo গোবিন্দগঞ্জে এক যুবকের মরদে’হ উদ্ধার Logo মালখানগর রথবাড়ি তালতলা রাস্তার বেহাল দশা, জনগণের চরম ভোগান্তি Logo কোম্পানীগঞ্জে বাসাপ’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি Logo হোমনা-মেঘনা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-২ আসন বহাল রাখার দাবিতে বিএনপির সাংবাদ সম্মেলন Logo কেশবপুরে বিএনপির উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

রোববার গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রোববারের (৪ আগস্ট) মধ্যে আটকদের মুক্তি দিতে এবং সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। শুক্রবার (২ অগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনতার
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে রোববার গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।

এর আগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।

প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ শেষে এদিন সাড়ে ৫টার দিকে কর্মসূচি শেষ করে শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করেন আন্দোলনকারীরা।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম। তিনি বলেন, গণগ্রেফতার বন্ধ করতে হবে, গ্রেফতার সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। রোববারের মধ্যে কারফিউ তুলে নিতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। রোববারের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

এসব দাবি পূরণ না হলে রোববার দুপুর তিনটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হবে।

শুক্রবার বেলা আড়াইটার নাগাদ দ্রোহযাত্রায় অংশ নিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে দ্রোহযাত্রা শুরু করেন তারা।

এসময় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবো। আমাদের আন্দোলনের মধ্যে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারেন। আমরা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। আজ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, নারী-পুরুষ একত্রিত হয়েছেন। আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর কাউকে ব্যবসা করতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে জনতার হাতে আনতে হবে। যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে হবে। এ হত্যাকাণ্ডের দায় শিকার করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের প্রধান আলোচ্য বিষয়, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনত হবে।

এর আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নানান ধরনের স্লোগান দেন। এসময় তারা গানের মাধ্যমেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। স্লোগানে তারা বলেন, আমার ভাই মরলো কেন, স্বৈরাচার জবাব চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রোববার গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা

আপডেট সময় :

 

রোববারের (৪ আগস্ট) মধ্যে আটকদের মুক্তি দিতে এবং সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। শুক্রবার (২ অগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনতার
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে রোববার গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।

এর আগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।

প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ শেষে এদিন সাড়ে ৫টার দিকে কর্মসূচি শেষ করে শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করেন আন্দোলনকারীরা।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম। তিনি বলেন, গণগ্রেফতার বন্ধ করতে হবে, গ্রেফতার সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। রোববারের মধ্যে কারফিউ তুলে নিতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। রোববারের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

এসব দাবি পূরণ না হলে রোববার দুপুর তিনটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হবে।

শুক্রবার বেলা আড়াইটার নাগাদ দ্রোহযাত্রায় অংশ নিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে দ্রোহযাত্রা শুরু করেন তারা।

এসময় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবো। আমাদের আন্দোলনের মধ্যে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারেন। আমরা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। আজ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, নারী-পুরুষ একত্রিত হয়েছেন। আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর কাউকে ব্যবসা করতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে জনতার হাতে আনতে হবে। যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে হবে। এ হত্যাকাণ্ডের দায় শিকার করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের প্রধান আলোচ্য বিষয়, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনত হবে।

এর আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নানান ধরনের স্লোগান দেন। এসময় তারা গানের মাধ্যমেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। স্লোগানে তারা বলেন, আমার ভাই মরলো কেন, স্বৈরাচার জবাব চাই।