ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রতিবেশীদের আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধান প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ। আট বছরে বড় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আমরা যতটা সমর্থন আশা করেছিলাম, তা আসেনি।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বলেন, প্রশ্ন আসে, চীন কেন বাংলাদেশের পক্ষে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসছে না? কারণ বঙ্গোপসাগরের জন্য মিয়ানমার তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

একইভাবে ভারতও মনে করে কালাদান প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ এবং এই প্রকল্পের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকা পড়েছে উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমি কাউকে দোষারোপ করছি না, সবাই নিজের স্বার্থ দেখে। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের স্বার্থের সঙ্গে কারো মিল আছে বলে মনে হয় না এবং যার জন্য বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং টানেলের শেষে কোনো আলো দেখা যাচ্ছে না।

এই খুব দ্রুত এবং খুব সহজে সমাধান হবে না বলে মনে করেন তৌহিদ হোসেন। এই সমস্যার সমাধান না হলে, এটি বাকি বিশ্বের জন্য সমস্যা হয়ে উঠবে।

রোহিঙ্গা তরুণদের ভবিষ্যত নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, যে তরুণ প্রজন্ম যাদের ভবিষ্যতের কোনো আশা নেই, তারা অলস বসে থেকে অন্যরা কী করছে তা দেখবে এটা হতে পারে না।

একটা সময় আসবে যখন তারা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আমাদের প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের জন্যও গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রতিবেশীদের আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১০:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধান প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ। আট বছরে বড় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আমরা যতটা সমর্থন আশা করেছিলাম, তা আসেনি।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বলেন, প্রশ্ন আসে, চীন কেন বাংলাদেশের পক্ষে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসছে না? কারণ বঙ্গোপসাগরের জন্য মিয়ানমার তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

একইভাবে ভারতও মনে করে কালাদান প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ এবং এই প্রকল্পের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকা পড়েছে উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমি কাউকে দোষারোপ করছি না, সবাই নিজের স্বার্থ দেখে। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের স্বার্থের সঙ্গে কারো মিল আছে বলে মনে হয় না এবং যার জন্য বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং টানেলের শেষে কোনো আলো দেখা যাচ্ছে না।

এই খুব দ্রুত এবং খুব সহজে সমাধান হবে না বলে মনে করেন তৌহিদ হোসেন। এই সমস্যার সমাধান না হলে, এটি বাকি বিশ্বের জন্য সমস্যা হয়ে উঠবে।

রোহিঙ্গা তরুণদের ভবিষ্যত নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, যে তরুণ প্রজন্ম যাদের ভবিষ্যতের কোনো আশা নেই, তারা অলস বসে থেকে অন্যরা কী করছে তা দেখবে এটা হতে পারে না।

একটা সময় আসবে যখন তারা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আমাদের প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের জন্যও গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।