ঢাকা ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার: প্রেস সচিব

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০২:৪২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রোহিঙ্গারা যেন মর্যাদার সাথে এবং স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ একটা বড় সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। আমাদের সেখানে মূল ফোকাস থাকবে রোহিঙ্গারা যেন মর্যাদার সাথে ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে এবং রাখাইনের সকল জনগোষ্ঠী যেন সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারেন। এর জন্য যত ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর প্রয়োজন, আমরা তার সবই করছি।’

রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক আর্থিক সহায়তার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করবে জাতিসংঘ। তার সঙ্গে ফিনল্যান্ড এবং মালয়েশিয়া যুক্ত হয়েছে কো-স্পন্সর হিসেবে। আমরা আশা করছি জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরকে ঘিরে এই আয়োজনে আরও ডেভেলপমেন্ট হবে। আমরা চাচ্ছি এই সম্মেলনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার একটা দ্রুত সমাধান তৈরি হোক।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অনেক কমে গেছে। আমরা আশা করছি জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর মানবিক সহায়তা সংগ্রহের ব্যাপারে একটি ভূমিকা রাখবে। রোহিঙ্গাদের পুষ্টি সহায়তা খুবই জরুরি। আমরা চাই রোহিঙ্গাদের পুষ্টির চাহিদা যাতে কোনোভাবে কম্প্রোমাইজ না হয়। সেজন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজন হয়, রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতিমাসে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার দরকার। আমরা আশা করছি, জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফর এখানে বিশ্বের নজর ফিরিয়ে আনবে। রোহিঙ্গাদের জন্য যে সহায়তা আসে সেটি যেন বন্ধ না হয়, তাতে যেন কোনো প্রভাব না পড়ে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার: প্রেস সচিব

আপডেট সময় : ০২:৪২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

রোহিঙ্গারা যেন মর্যাদার সাথে এবং স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ একটা বড় সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। আমাদের সেখানে মূল ফোকাস থাকবে রোহিঙ্গারা যেন মর্যাদার সাথে ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে এবং রাখাইনের সকল জনগোষ্ঠী যেন সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারেন। এর জন্য যত ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর প্রয়োজন, আমরা তার সবই করছি।’

রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক আর্থিক সহায়তার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করবে জাতিসংঘ। তার সঙ্গে ফিনল্যান্ড এবং মালয়েশিয়া যুক্ত হয়েছে কো-স্পন্সর হিসেবে। আমরা আশা করছি জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরকে ঘিরে এই আয়োজনে আরও ডেভেলপমেন্ট হবে। আমরা চাচ্ছি এই সম্মেলনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার একটা দ্রুত সমাধান তৈরি হোক।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অনেক কমে গেছে। আমরা আশা করছি জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর মানবিক সহায়তা সংগ্রহের ব্যাপারে একটি ভূমিকা রাখবে। রোহিঙ্গাদের পুষ্টি সহায়তা খুবই জরুরি। আমরা চাই রোহিঙ্গাদের পুষ্টির চাহিদা যাতে কোনোভাবে কম্প্রোমাইজ না হয়। সেজন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজন হয়, রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতিমাসে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার দরকার। আমরা আশা করছি, জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফর এখানে বিশ্বের নজর ফিরিয়ে আনবে। রোহিঙ্গাদের জন্য যে সহায়তা আসে সেটি যেন বন্ধ না হয়, তাতে যেন কোনো প্রভাব না পড়ে।