ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাকার বৈঠক

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ২৫২ বার পড়া হয়েছে

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

চলমান রোহিঙ্গা সংকট ও বৈশ্বিক অভিবাসন সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠকে ‘বাংলাদেশের ওপর চাপানো একটি উল্লেখযোগ্য বোঝা’ দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে বলা হয়, এর মাধ্যমে সম্ভাব্য সমাধানগুলো খুঁজে বের করে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনকে সহজতর করতে পারে। সেইসঙ্গে ব্যাপক বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া এবং প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা জনগণের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এমন একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের পরে এখানে এসেছে, যাকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নির্মূলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছে এবং অন্যান্য অধিকার গোষ্ঠীগুলো এটিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

গত সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাও দেশে ফেরত যায়নি। মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে আস্থার ঘাটতির কারণে প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা দুবার ব্যর্থ হয়েছে।

Touhid

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ

একই দিনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুও ছিল রোহিঙ্গা সঙ্কট। উভয়পক্ষই বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা, মঙ্গল এবং অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপায়গুলো খুঁজে বের করার ওপর জোর দেন।

পোপ গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও মানবিক পদ্ধতিতে অভিবাসন পরিচালনার জন্য দেশটির প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেন। তিনি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে সৃষ্ট অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চলমান প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য আইওএম-এর প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাকার বৈঠক

আপডেট সময় :

 

চলমান রোহিঙ্গা সংকট ও বৈশ্বিক অভিবাসন সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠকে ‘বাংলাদেশের ওপর চাপানো একটি উল্লেখযোগ্য বোঝা’ দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে বলা হয়, এর মাধ্যমে সম্ভাব্য সমাধানগুলো খুঁজে বের করে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনকে সহজতর করতে পারে। সেইসঙ্গে ব্যাপক বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া এবং প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা জনগণের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এমন একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের পরে এখানে এসেছে, যাকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নির্মূলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছে এবং অন্যান্য অধিকার গোষ্ঠীগুলো এটিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

গত সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাও দেশে ফেরত যায়নি। মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে আস্থার ঘাটতির কারণে প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা দুবার ব্যর্থ হয়েছে।

Touhid

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ

একই দিনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুও ছিল রোহিঙ্গা সঙ্কট। উভয়পক্ষই বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা, মঙ্গল এবং অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপায়গুলো খুঁজে বের করার ওপর জোর দেন।

পোপ গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও মানবিক পদ্ধতিতে অভিবাসন পরিচালনার জন্য দেশটির প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেন। তিনি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে সৃষ্ট অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চলমান প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য আইওএম-এর প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন।