ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি ঈদে দেবে পাড়ি

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৫১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঈদযাত্রাকে সামনে রেখে এরই মধ্যে নতুন করে সাজছে বিভিন্ন রুটের গণপরিবহন। যাত্রীচাপ সামাল দিতে দৌরাত্ম্য বাড়ে ফিটনেসবিহীন গাড়িরও। পরিবহন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নির্বিঘ্নে বাড়িফেরা নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়াতে হবে

ক’দিন বাদেই ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করবে ঘরমুখো মানুষ। ঈদযাত্রাকে সামনে রেখে এরই মধ্যে নতুন করে সাজছে বিভিন্ন রুটের গণপরিবহন। যাত্রীচাপ সামাল দিতে দৌরাত্ম্য বাড়ে ফিটনেসবিহীন গাড়িরও। পরিবহন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নির্বিঘ্নে বাড়িফেরা নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে যাত্রী হয়রানি বন্ধ ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পরিবহন নেতাদের। স্বপ্নযাত্রার প্রস্তুতি চলছে। আর ক’দিন পরেই ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরবে মানুষ।
সে যাত্রাকে পরিপূর্ণ করতে দম ফেলবার ফুরসত নেই পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের। ওয়ার্কশপ ঘুরে দেখা যায়, নতুন রূপে রাস্তায় নামতে তৈরি হচ্ছে নতুন বাস। চলছে মেরামত। রঙিন আবহে সাজছে মহাসড়কের যাত্রীবাহী গাড়ি। নতুন বাসের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন সিট।
বাস মেরামত শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘আমরা পুরাতন বাসগুলোকে রং ও মেরামত করে ডেলিভারি দেই। এছাড়া নতুন বাসও থাকে। আরেকজন বলেন, ‘নতুন কাজ একটু কম হয়। পুরাতন বাসের কাজই এখানে বেশি হয়।’
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যমতে, এবার ঈদে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের প্রায় ৭৫ শতাংশই ফিরবেন সড়কপথে। এতে বেড়ে যায় গণপরিবহনের চাহিদা। তবে নতুন গাড়ি তৈরি বা পুরোনো গাড়ি মেরামত হলেও ঈদে চাহিদার তুলনায় গণপরিবহন সংকট যেন নতুন নয়।
আর এই সংকটকে পুঁজি করে বেশকিছু সুযোগসন্ধানী ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে যাত্রী পরিবহন করে। পথে পথে সৃষ্টি হয় দুর্ভোগ, যানজট। ঘটে দুর্ঘটনাও। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, গেল বছর ঈদে প্রায় ৩৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩৬৭ জন। আহত হয়েছে অন্তত দেড় হাজার মানুষ। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৯.২০ শতাংশ বেশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাভারের আমিন বাজার, বলিয়ারপুর হেমায়েতপুর, বিশমাইল ও আশুলিয়ার নিরিবিলি, নয়ারহাট, বাইপাইল, জিরানীসহ বিভিন্ন এলাকার ওয়ার্কশপের শ্রমিকদের ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। সাভারের বলিয়ারপুরে অবস্থিত আলম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে গিয়ে দেখা গেছে, ফিটনেসবিহীন ভাঙাচোরা গাড়িগুলো জোড়াতালি, রং, ঝালাই দেওয়া হচ্ছে। এখন রমজানের শেষ সময় হওয়ায় মিস্ত্রিরা পুরনো গাড়ি মেরামতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। কারণ ঈদের আগে তাদের গাড়ি নতুন করে সড়কে নামাতে হবে। তারা গাড়ির ইঞ্জিন বা ব্রেকে সমস্যা কিংবা সিটগুলোর কাজ করছেন। আবার কোনো গাড়ির বডিতে রং দিচ্ছেন। বহু বছরের পুরনো এসব গাড়ি ওয়ার্কশপ থেকে ‘নতুন’ বানানো হচ্ছে।
পুরাতন গাড়িকে রং দিয়ে নতুন করা হচ্ছে প্রজাপতি, পরিস্থান, তানজিল ও বিকাশ পরিবহন। ২৭ রোজার মধ্যে গাড়িতে রং-চং শেষ করে ডেলিভারি দিতে হবে। গাড়িগুলোকে এমন করে রং করা হচ্ছে, দেখে বোঝার উপায় নেই, কোনটা পুরাতন আর কোনটা নতুন। ফিটনেসবিহীন বাস মেরামত ও রং দিয়ে নতুন করা হচ্ছে। ফিটনেসবিহীন বাস মেরামত ও রং দিয়ে নতুন করা হচ্ছে। এমনটাই বলেছেন বডি মিস্ত্রি সাঈপুল ইসলাম ও আলম।
একই এলাকায় শাকিল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, সবসময় আমার ওয়ার্কশপে কাজের চাপ বেশি থাকে। তবে ঈদ মৌসুম এলে এ চাপ আরো বেড়ে যায়। তাই এ সময় অতিরিক্ত কারিগর রাখা হয়। মোট আটটি গাড়ির বডি মেরামত ও রং করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে মালিকের কাছে তাদের ডেলিভারি দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ঈদ আসার আগেই এসব ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা সড়কে বেড়ে যায়। কয়েক বছরের পুরনো গাড়িগুলো রং করে রাস্তায় চলাচল করলেও তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোনো মনিটরিং দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা। কলাবাগানের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদে প্রতিবার বাসে করে বাড়ি যান তিনি। তিনি জানান, অনেক গাড়ি আছে উপর থেকে চিক চাক দেখা গেলেও ভেতরে আসলে কিছুই নেই।
এদিকে ঈদে সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করতে পারবে না এমন আশ্বাস দিয়ে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ঈদে যাতে সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি না চলতে পারে সে বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সড়কে যদি ফিটনেসবিহীন গাড়ি ধরা পড়ে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, কর্তৃপক্ষ আছে। তাদের দেখা উচিত মহাসড়কে কী ধরনের গাড়ি নামছে। শুধু রং করে ফিটনেসবিহীন গাড়ি নামানো হচ্ছে কিনা।স্বস্তিদায়ক যাত্রায় মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সমন্বিত উদ্যোগে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস এই খাতের মানুষদের।
ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, সিটি সার্ভিসের প্রতিটা গাড়ির কোম্পানিকে নিয়ে মিটিং করেছি, যেন এই সব গাড়ি লং রুটে না চলে। সাধারণত এইসব গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে হালকা যানবাহন চালানোর। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো কোনো অবস্থাতেই সিটি সার্ভিসের গাড়ি লং রুটে না চলতে পারে। এছাড়া ঈদে বাড়ি ফিরতে প্রতিবছরই যাত্রীদের গুণতে হয় বাড়তি ভাড়া। সাথে দৌরাত্ম্য বাড়ে টিকিট কালোবাজারি ও ফিটনেসবিহীন গণপরিবহনের। তবে এ বছর এসব বন্ধের উদ্যোগের কথা বলছেন পরিবহন নেতারা।
এবিষয়ে শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, বাড়তি ভাড়া, মলম পার্টি, ছিনতাই এইগুলোর সাথে ব্যক্তি বিশেষ জড়িত থাকে। কোনো ব্যক্তির অন্যায় গোটা কমিউনিটির বদনাম হতে দিবো না। ঈদযাত্রায় মহাসড়কে লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সব ধরনের শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা নিতে হবে হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তবেই আনন্দযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি ঈদে দেবে পাড়ি

আপডেট সময় : ১২:৫১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

ঈদযাত্রাকে সামনে রেখে এরই মধ্যে নতুন করে সাজছে বিভিন্ন রুটের গণপরিবহন। যাত্রীচাপ সামাল দিতে দৌরাত্ম্য বাড়ে ফিটনেসবিহীন গাড়িরও। পরিবহন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নির্বিঘ্নে বাড়িফেরা নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়াতে হবে

ক’দিন বাদেই ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করবে ঘরমুখো মানুষ। ঈদযাত্রাকে সামনে রেখে এরই মধ্যে নতুন করে সাজছে বিভিন্ন রুটের গণপরিবহন। যাত্রীচাপ সামাল দিতে দৌরাত্ম্য বাড়ে ফিটনেসবিহীন গাড়িরও। পরিবহন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নির্বিঘ্নে বাড়িফেরা নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে যাত্রী হয়রানি বন্ধ ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পরিবহন নেতাদের। স্বপ্নযাত্রার প্রস্তুতি চলছে। আর ক’দিন পরেই ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরবে মানুষ।
সে যাত্রাকে পরিপূর্ণ করতে দম ফেলবার ফুরসত নেই পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের। ওয়ার্কশপ ঘুরে দেখা যায়, নতুন রূপে রাস্তায় নামতে তৈরি হচ্ছে নতুন বাস। চলছে মেরামত। রঙিন আবহে সাজছে মহাসড়কের যাত্রীবাহী গাড়ি। নতুন বাসের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন সিট।
বাস মেরামত শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘আমরা পুরাতন বাসগুলোকে রং ও মেরামত করে ডেলিভারি দেই। এছাড়া নতুন বাসও থাকে। আরেকজন বলেন, ‘নতুন কাজ একটু কম হয়। পুরাতন বাসের কাজই এখানে বেশি হয়।’
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যমতে, এবার ঈদে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের প্রায় ৭৫ শতাংশই ফিরবেন সড়কপথে। এতে বেড়ে যায় গণপরিবহনের চাহিদা। তবে নতুন গাড়ি তৈরি বা পুরোনো গাড়ি মেরামত হলেও ঈদে চাহিদার তুলনায় গণপরিবহন সংকট যেন নতুন নয়।
আর এই সংকটকে পুঁজি করে বেশকিছু সুযোগসন্ধানী ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে যাত্রী পরিবহন করে। পথে পথে সৃষ্টি হয় দুর্ভোগ, যানজট। ঘটে দুর্ঘটনাও। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, গেল বছর ঈদে প্রায় ৩৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩৬৭ জন। আহত হয়েছে অন্তত দেড় হাজার মানুষ। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৯.২০ শতাংশ বেশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাভারের আমিন বাজার, বলিয়ারপুর হেমায়েতপুর, বিশমাইল ও আশুলিয়ার নিরিবিলি, নয়ারহাট, বাইপাইল, জিরানীসহ বিভিন্ন এলাকার ওয়ার্কশপের শ্রমিকদের ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। সাভারের বলিয়ারপুরে অবস্থিত আলম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে গিয়ে দেখা গেছে, ফিটনেসবিহীন ভাঙাচোরা গাড়িগুলো জোড়াতালি, রং, ঝালাই দেওয়া হচ্ছে। এখন রমজানের শেষ সময় হওয়ায় মিস্ত্রিরা পুরনো গাড়ি মেরামতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। কারণ ঈদের আগে তাদের গাড়ি নতুন করে সড়কে নামাতে হবে। তারা গাড়ির ইঞ্জিন বা ব্রেকে সমস্যা কিংবা সিটগুলোর কাজ করছেন। আবার কোনো গাড়ির বডিতে রং দিচ্ছেন। বহু বছরের পুরনো এসব গাড়ি ওয়ার্কশপ থেকে ‘নতুন’ বানানো হচ্ছে।
পুরাতন গাড়িকে রং দিয়ে নতুন করা হচ্ছে প্রজাপতি, পরিস্থান, তানজিল ও বিকাশ পরিবহন। ২৭ রোজার মধ্যে গাড়িতে রং-চং শেষ করে ডেলিভারি দিতে হবে। গাড়িগুলোকে এমন করে রং করা হচ্ছে, দেখে বোঝার উপায় নেই, কোনটা পুরাতন আর কোনটা নতুন। ফিটনেসবিহীন বাস মেরামত ও রং দিয়ে নতুন করা হচ্ছে। ফিটনেসবিহীন বাস মেরামত ও রং দিয়ে নতুন করা হচ্ছে। এমনটাই বলেছেন বডি মিস্ত্রি সাঈপুল ইসলাম ও আলম।
একই এলাকায় শাকিল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, সবসময় আমার ওয়ার্কশপে কাজের চাপ বেশি থাকে। তবে ঈদ মৌসুম এলে এ চাপ আরো বেড়ে যায়। তাই এ সময় অতিরিক্ত কারিগর রাখা হয়। মোট আটটি গাড়ির বডি মেরামত ও রং করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে মালিকের কাছে তাদের ডেলিভারি দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ঈদ আসার আগেই এসব ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা সড়কে বেড়ে যায়। কয়েক বছরের পুরনো গাড়িগুলো রং করে রাস্তায় চলাচল করলেও তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোনো মনিটরিং দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা। কলাবাগানের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদে প্রতিবার বাসে করে বাড়ি যান তিনি। তিনি জানান, অনেক গাড়ি আছে উপর থেকে চিক চাক দেখা গেলেও ভেতরে আসলে কিছুই নেই।
এদিকে ঈদে সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করতে পারবে না এমন আশ্বাস দিয়ে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ঈদে যাতে সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি না চলতে পারে সে বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সড়কে যদি ফিটনেসবিহীন গাড়ি ধরা পড়ে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, কর্তৃপক্ষ আছে। তাদের দেখা উচিত মহাসড়কে কী ধরনের গাড়ি নামছে। শুধু রং করে ফিটনেসবিহীন গাড়ি নামানো হচ্ছে কিনা।স্বস্তিদায়ক যাত্রায় মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সমন্বিত উদ্যোগে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস এই খাতের মানুষদের।
ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, সিটি সার্ভিসের প্রতিটা গাড়ির কোম্পানিকে নিয়ে মিটিং করেছি, যেন এই সব গাড়ি লং রুটে না চলে। সাধারণত এইসব গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে হালকা যানবাহন চালানোর। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো কোনো অবস্থাতেই সিটি সার্ভিসের গাড়ি লং রুটে না চলতে পারে। এছাড়া ঈদে বাড়ি ফিরতে প্রতিবছরই যাত্রীদের গুণতে হয় বাড়তি ভাড়া। সাথে দৌরাত্ম্য বাড়ে টিকিট কালোবাজারি ও ফিটনেসবিহীন গণপরিবহনের। তবে এ বছর এসব বন্ধের উদ্যোগের কথা বলছেন পরিবহন নেতারা।
এবিষয়ে শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, বাড়তি ভাড়া, মলম পার্টি, ছিনতাই এইগুলোর সাথে ব্যক্তি বিশেষ জড়িত থাকে। কোনো ব্যক্তির অন্যায় গোটা কমিউনিটির বদনাম হতে দিবো না। ঈদযাত্রায় মহাসড়কে লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সব ধরনের শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা নিতে হবে হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তবেই আনন্দযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন হবে।