ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

লাইসেন্স পাওয়ার পথে স্টারলিংক

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যাচাই ও পরিদর্শন শেষে চূড়ান্তভাবে স্টারলিংককে লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স দেওয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ করেছে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই লাইসেন্স পাবে স্টারলিংক

ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক স্টারলিংক লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) গত ৭ এপ্রিল আবেদন করে। সেই আবেদন যাচাইয়ে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি যাচাই ও পরিদর্শন শেষে চূড়ান্তভাবে লাইসেন্স দিতে সুপারিশ করেছে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের স্টারলিংককে লাইসেন্স দেওয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ করেছে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই লাইসেন্স পাবে স্টারলিংক। বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. এমদাদ উল বারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পূর্বানুমোদনের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। অনুমোদন পাওয়া গেলেই নির্ধারিত ফি নিয়ে লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।
বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিটিআরসিতে লাইসেন্সের আবেদন জমা পড়ার পর এটিই সবচেয়ে দ্রুত সময়ে সুপারিশ পেয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে সব কাজ শেষ করে স্টারলিংককে লাইসেন্স দিতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি, যা এর আগে কখনও হয়নি।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, গত ৭ এপ্রিল লাইসেন্সের জন্য বিটিআরসিতে আবেদন করে স্টারলিংক। স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেড বিটিআরসির ‘নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটরদের জন্য নির্দেশিকা’ অনুযায়ী এ আবেদন করেছে। স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেড নামের কোম্পানিটির নিবন্ধনে উল্লেখ রয়েছে, তাদের স্থানীয় অফিস রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি ভবনে অবস্থিত।
স্টারলিংকের আবেদন পাওয়ার পর এটি পর্যালোচনার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিটিআরসি। কমিটি সমস্ত নথিপত্র সঠিক ও বৈধ বলে নিশ্চিত করে। তাছাড়া দুই সদস্যের একটি টিম কারওয়ান বাজারে স্টারলিংকের অফিস সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এরপর স্টারলিংককে লাইসেন্সের জন্য সুপারিশ করে ওই কমিটি।
টেলিযোগাযোগ আইন অনুসারে লাইসেন্স দেওয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিটিআরসিকে মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন নিতে হয়। সেই অনুমতি পেতে এখন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। স্টারলিংক ২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছে। চলতি বছরের মার্চে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্টারলিংকের বাণিজ্যিক উদ্বোধন ৯০ দিনের মধ্যে নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে বিটিআরসি স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের জন্য নির্দেশিকা তৈরি করতে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের অনুমোদন দেয়। খসড়াটি ২০২৪ সালের অক্টোবরে তৈরি করা হয় এবং চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে চূড়ান্ত নির্দেশিকাটি জারি করা হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লাইসেন্স পাওয়ার পথে স্টারলিংক

আপডেট সময় : ১০:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

যাচাই ও পরিদর্শন শেষে চূড়ান্তভাবে স্টারলিংককে লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স দেওয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ করেছে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই লাইসেন্স পাবে স্টারলিংক

ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক স্টারলিংক লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) গত ৭ এপ্রিল আবেদন করে। সেই আবেদন যাচাইয়ে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি যাচাই ও পরিদর্শন শেষে চূড়ান্তভাবে লাইসেন্স দিতে সুপারিশ করেছে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের স্টারলিংককে লাইসেন্স দেওয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ করেছে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই লাইসেন্স পাবে স্টারলিংক। বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. এমদাদ উল বারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পূর্বানুমোদনের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। অনুমোদন পাওয়া গেলেই নির্ধারিত ফি নিয়ে লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।
বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিটিআরসিতে লাইসেন্সের আবেদন জমা পড়ার পর এটিই সবচেয়ে দ্রুত সময়ে সুপারিশ পেয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে সব কাজ শেষ করে স্টারলিংককে লাইসেন্স দিতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি, যা এর আগে কখনও হয়নি।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, গত ৭ এপ্রিল লাইসেন্সের জন্য বিটিআরসিতে আবেদন করে স্টারলিংক। স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেড বিটিআরসির ‘নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটরদের জন্য নির্দেশিকা’ অনুযায়ী এ আবেদন করেছে। স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেড নামের কোম্পানিটির নিবন্ধনে উল্লেখ রয়েছে, তাদের স্থানীয় অফিস রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি ভবনে অবস্থিত।
স্টারলিংকের আবেদন পাওয়ার পর এটি পর্যালোচনার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিটিআরসি। কমিটি সমস্ত নথিপত্র সঠিক ও বৈধ বলে নিশ্চিত করে। তাছাড়া দুই সদস্যের একটি টিম কারওয়ান বাজারে স্টারলিংকের অফিস সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এরপর স্টারলিংককে লাইসেন্সের জন্য সুপারিশ করে ওই কমিটি।
টেলিযোগাযোগ আইন অনুসারে লাইসেন্স দেওয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিটিআরসিকে মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন নিতে হয়। সেই অনুমতি পেতে এখন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। স্টারলিংক ২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছে। চলতি বছরের মার্চে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্টারলিংকের বাণিজ্যিক উদ্বোধন ৯০ দিনের মধ্যে নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে বিটিআরসি স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের জন্য নির্দেশিকা তৈরি করতে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের অনুমোদন দেয়। খসড়াটি ২০২৪ সালের অক্টোবরে তৈরি করা হয় এবং চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে চূড়ান্ত নির্দেশিকাটি জারি করা হয়।