ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লাভজনক হওয়ায় রসুন আবাদে ঝুকছেন রাজবাড়ীর চাষিরা

আতিয়ার রহমান, রাজবাড়ী
  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিগত তিন চার বছর ধরে বাজার দর বেশি ও আবাদ লাভজনক হওয়ায় রসুন আবাদে ঝুকছেন রাজবাড়ীর চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর ফলন ভালো হয়েছে।তবে গত বছরের চাইতে বিঘা প্রতি খরচ বেড়েছে তিন থেকে চার হাজার টাকা বেশি।অতিরিক্ত খরচ বেড়ে যাওয়ায় ঘরে রসুন সংরক্ষন করে বিক্রি করলে চাষিরা ভালো লাভ পাবেন বলে জানান কৃষি বিভাগ। রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের রসুন চাষি নুর ইসলাম খান তার রসুন ক্ষেত পরিচর্যা করছেন।বাজার দর বেশি থাকায় এবছর ভালো লাভের আশায় বার্মিজ (বাঘাট) জাতের উচ্চফলনশীল জাতের দেড় বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করেছেন। এবছর রসুন বীজের দাম, সার, ঔষধ, কীটনাশকের অত্যাধিক দামের কারনে তার দেড় বিঘা জমিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছে।ভালো ফলনের আশায় বার্মিজ জাতের রসুন আবাদে ফলন ভালো হয়েছে।

তিনি আশা করছেন শতক প্রতি ২ মণ রসুন উৎপাদন হবে।আর দেড় বিঘা জমি থেকে তিনি ৬০/৭০ মণ রসুন উৎপাদনের আশা করছেন।এতে তিনি বাজার দর মণ প্রতি ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পেলে দুই লক্ষাধিক টাকার রসুন বিক্রি করেতে পারবেন বলে জানান।একই এলাকার আরেক রসুন চাষি মো.সেলিম মন্ডল বলেন,তিনিও দুই বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করেছেন।এবছর সার, ঔষধ,কীটনাশক ও রসুন বীজের অতিরিক্ত দামের কারনে খরচ বেড়েছে। তার দুই বিঘা জমিতে ৫০/৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।এবছর আবহাওয়া ও ফলন ভালো রয়েছে।তিনিও আশা করছেন বর্তমান বাজার দরের চাইতে কমে ৮০ থেকে ১ শ টাকা কেজি ও মণ প্রতি ৪ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারলেও বিঘা প্রতি লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন বলে জানান। জেলার রাজবাড়ী সদর,বালিয়াকান্দি, কালুখালী, গোয়ালন্দ ও পাংশা উপজেলায় এবছর ৩ হাজার ৬ শ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদ হয়েছে।যা গত বছরের চাইতে ১ শ হেক্টর বেশি। গত বছর আবাদ হয়েছিলো ৩ হাজার ৫ শ হেক্টর। তবে উচ্চফলনশীল বার্মিজ ও বারি – ৫ জাতের রসুন আবাদে বিঘা প্রতি ফলন বেশি ও বাজার দর ভালো পাওয়া যায় বলে রসুন আবাদ বেশি করছেন চাষিরা।

বর্তমানে প্রতি কেজি দেশী রসুন ২শ টাকার বেশি থাকলেও রসুন উত্তোলনের সময় অর্ধেক দাম পেলেও চাষিরা রসুন আবাদে লাভবান হওয়ার বলে কথা বলেন। রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম রাসুল বলেন বলেন, বিগত কয়েক বছর বাজারে রসুনের ভালো দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় রসুন চাষিরা লাভবান হচ্ছে।একারনে তারা উচ্চফলনশীল জাতের বারি-৫ ও বার্মিজ জাতের রসুন আবাদ করেছেন। গত বছরের চাইতে এবছর ১ শ হেক্টর বেশি রসুন আবাদ করেছেন। তবে খরচ বেশি হওয়ায় ভালো দাম পেতে চাষিদের ঘরে রসুন সংরক্ষণের পরামর্শ দিচ্চেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লাভজনক হওয়ায় রসুন আবাদে ঝুকছেন রাজবাড়ীর চাষিরা

আপডেট সময় : ০৪:৩১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

বিগত তিন চার বছর ধরে বাজার দর বেশি ও আবাদ লাভজনক হওয়ায় রসুন আবাদে ঝুকছেন রাজবাড়ীর চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর ফলন ভালো হয়েছে।তবে গত বছরের চাইতে বিঘা প্রতি খরচ বেড়েছে তিন থেকে চার হাজার টাকা বেশি।অতিরিক্ত খরচ বেড়ে যাওয়ায় ঘরে রসুন সংরক্ষন করে বিক্রি করলে চাষিরা ভালো লাভ পাবেন বলে জানান কৃষি বিভাগ। রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের রসুন চাষি নুর ইসলাম খান তার রসুন ক্ষেত পরিচর্যা করছেন।বাজার দর বেশি থাকায় এবছর ভালো লাভের আশায় বার্মিজ (বাঘাট) জাতের উচ্চফলনশীল জাতের দেড় বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করেছেন। এবছর রসুন বীজের দাম, সার, ঔষধ, কীটনাশকের অত্যাধিক দামের কারনে তার দেড় বিঘা জমিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছে।ভালো ফলনের আশায় বার্মিজ জাতের রসুন আবাদে ফলন ভালো হয়েছে।

তিনি আশা করছেন শতক প্রতি ২ মণ রসুন উৎপাদন হবে।আর দেড় বিঘা জমি থেকে তিনি ৬০/৭০ মণ রসুন উৎপাদনের আশা করছেন।এতে তিনি বাজার দর মণ প্রতি ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পেলে দুই লক্ষাধিক টাকার রসুন বিক্রি করেতে পারবেন বলে জানান।একই এলাকার আরেক রসুন চাষি মো.সেলিম মন্ডল বলেন,তিনিও দুই বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করেছেন।এবছর সার, ঔষধ,কীটনাশক ও রসুন বীজের অতিরিক্ত দামের কারনে খরচ বেড়েছে। তার দুই বিঘা জমিতে ৫০/৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।এবছর আবহাওয়া ও ফলন ভালো রয়েছে।তিনিও আশা করছেন বর্তমান বাজার দরের চাইতে কমে ৮০ থেকে ১ শ টাকা কেজি ও মণ প্রতি ৪ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারলেও বিঘা প্রতি লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন বলে জানান। জেলার রাজবাড়ী সদর,বালিয়াকান্দি, কালুখালী, গোয়ালন্দ ও পাংশা উপজেলায় এবছর ৩ হাজার ৬ শ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদ হয়েছে।যা গত বছরের চাইতে ১ শ হেক্টর বেশি। গত বছর আবাদ হয়েছিলো ৩ হাজার ৫ শ হেক্টর। তবে উচ্চফলনশীল বার্মিজ ও বারি – ৫ জাতের রসুন আবাদে বিঘা প্রতি ফলন বেশি ও বাজার দর ভালো পাওয়া যায় বলে রসুন আবাদ বেশি করছেন চাষিরা।

বর্তমানে প্রতি কেজি দেশী রসুন ২শ টাকার বেশি থাকলেও রসুন উত্তোলনের সময় অর্ধেক দাম পেলেও চাষিরা রসুন আবাদে লাভবান হওয়ার বলে কথা বলেন। রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম রাসুল বলেন বলেন, বিগত কয়েক বছর বাজারে রসুনের ভালো দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় রসুন চাষিরা লাভবান হচ্ছে।একারনে তারা উচ্চফলনশীল জাতের বারি-৫ ও বার্মিজ জাতের রসুন আবাদ করেছেন। গত বছরের চাইতে এবছর ১ শ হেক্টর বেশি রসুন আবাদ করেছেন। তবে খরচ বেশি হওয়ায় ভালো দাম পেতে চাষিদের ঘরে রসুন সংরক্ষণের পরামর্শ দিচ্চেন।