লালমনিরহাটে ০৫ দিন সুর্য্যের দেখা মেলেনি, তীব্র শীতে মানুষ কাহিল

- আপডেট সময় : ০৪:২৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
লালমনিরহাট জেলা সহ উত্তরাঞ্চলের ০৫ জেলায় টানা ৫দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পড়েছে হিমালয় ঘেঁষা লালমনিরহাট সহ আশে পাশের জেলা গুলো।ঘন কুয়াশায় বাতাসের সঙ্গে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো ঝড়ছে।এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার দিনভর অপরিবর্তিত রয়েছে আবহাওয়া,ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকায় আজও সুর্য্যের দেখা মেলেনি।
গত ৫ দিন ধরে সূর্যের দেখা না পাওয়ায় শীতের দাপট বেড়েছে উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলিতে, শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে গ্রামের মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ঘন কুয়াশার কারনে ভারী ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে,মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে। গতকয়েক দিন থেকে সকাল সন্ধ্যা সমানতালে ঝির ঝির বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। কয়েকদিন থেকে ঠান্ডার দাপট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতাল গুলোতে শীতজর্নিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতাল গুলোতে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়োবৃদ্ধ ও শিশু রোগীরা। কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা। বিশেষ করে দাপুটে শীতে বেশি কষ্টে রয়েছেন তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষ। জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে,তবে প্রয়োজনের তুলনায় ও অপ্রতুল বলছেন শীতার্ত মানুষেরা। সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের নাজমা বেওয়া (৬৭) বৃদ্ধা জানান, এবারের জাড়োত কাবু হয়া গেলাম কায়ে একটা কম্বল মোক দিলনা, কেমন করি এই জাড়োত মুই বাঁচি থাকোং। মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তা পাড়ের নজরুল মিয়া (৭১) জানান ৫দিন ধরি সুর্য্য উঠেনা মুই বাড়ী থিকি বেড়বার পাং না,ঠান্ডাত মুই জমি জাবার লাগছোং একটা কম্বল কায়ো দিল না মোক, ঠান্ডাত মুই আর বাচোং এ না।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজার রহমান জানান, শুক্রবার দুপুরে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমে শীত বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার সারাদিনও সূর্যের দেখা না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন,ইতোমধ্যে জেলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে বরাদ্দকৃত কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। তিস্তা চরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষকে গুরুত্ব দিয়ে তিস্তার চরাঞ্চলে তুলনামূলক বেশি শীত বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে ।