লোহাগড়ায় পৌর কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ২৮ বার পড়া হয়েছে
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী ওসমান গনির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,কর্মচারী ওসমান গনি নিয়মিত অফিস করে না। প্রতিদিন সকালে স্বাক্ষর করেই চলে যান নিজের মতো। এছাড়া পৌরসভার কাজে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না বলেই জানিয়েছেন সহকর্মীরা। পৌর ভবনের নিচতলায় ওসমান গনি নিজেই আরেকটি অফিস খুলেছেন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি পৌর কর্মকর্তাদের হুমকি-ধামকি দেন। এমনকি কর্মকর্তারা তার অনৈতিক কর্মকান্ডের সহযোগিতা না করলে তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য তৈরি করে কিছু সাংবাদিকের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করান।
লোহাগড়া পৌরসভার কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নাম না বলার শর্তে জানান,ওসমান গনি কম্পিউটারের কাজে পারদর্শী হওয়ায় পৌরসভার লোকবল কম থাকায় কিছুদিন প্রকৌশল শাখা ও ডিজিটাল সেন্টারে কাজ করার সুবাদে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় তথ্য তিনি বাইরে পাচার করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে যোগ দেন ওসমান গনি। তখন থেকেই তিনি পৌরসভার রোলার ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন। পরে পৌরসভার দুটি ট্রাক ও একটি রোলার নিয়মিত ভাড়া দিয়ে আসলেও এর কোনো হিসাব পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে গেলে দলীয় প্রভাব দেখিয়ে তিনি ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেন। ওসমানের এহেন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর লোহাগড়া পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পৌর প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উন্নয়নমূলক কাজ ও অফিস নিয়মিত না করার ব্যাপারে উদাসীন এবং অফিসের গোপনীয়তা রক্ষা না করার অভিযোগ আনা হয়।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত ওসমান গনিকে পৌরসভা কার্যালয়ে খোঁজ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমার বিরুদ্বে সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে কিছু লোক আমার বিরুদ্বে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবারহ করছে।
লোহাগড়া পৌরসভার প্রশাসক মিঠুন মৈত্র বলেন,এমন অনিয়মের তথ্য আমিও শুনেছি। ইতোমধ্যে অফিসের অন্যান্য স্টাফরাও তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
















